ইয়ান ক্রম্ব
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ইয়ান বার্নস ক্রম্ব | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ক্রাইস্টচার্চ, ক্যান্টারবারি, নিউজিল্যান্ড | ২৫ জুন ১৯০৫|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৬ মার্চ ১৯৮৪ ক্রাইস্টচার্চ, ক্যান্টারবারি, নিউজিল্যান্ড | (বয়স ৭৮)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৮) | ২৭ জুন ১৯৩১ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৪ মার্চ ১৯৩২ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৬ জুলাই ২০১৯ |
ইয়ান বার্নস ক্রম্ব (ইংরেজি: Ian Cromb; জন্ম: ২৫ জুন, ১৯০৫ - মৃত্যু: ৬ মার্চ, ১৯৮৪) ক্যান্টারবারির ক্রাইস্টচার্চ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১][২][৩] নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩১ থেকে ১৯৩২ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ক্যান্টারবারি দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন ইয়ান ক্রম্ব।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
[সম্পাদনা]১৯২৯-৩০ মৌসুম থেকে ১৯৪৬-৪৭ মৌসুম পর্যন্ত ইয়ান ক্রম্বের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯২৯-৩০ মৌসুমে ক্যান্টারবারির পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন ও সতেরো বছর পর সর্বশেষ খেলায় অংশ নেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি কার্যকরী সুইং বোলার ছিলেন। ২৯.০৪ গড়ে ৩,৯৫০ রান করেছেন। তন্মধ্যে, তিনটি শতরানের ইনিংস ছিল। ২৭.৭০ গড়ে ২২২ উইকেট পেয়েছেন। ১৯৩৯-৪০ মৌসুমে ওয়েলিংটনের বিপক্ষে ক্যান্টারবারির সদস্যরূপে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৭১ রান তুলেছেন।
১৯২৯-৩০ মৌসুম থেকে ১৯৪৬-৪৭ মৌসুম পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডীয় ঘরোয়া ক্রিকেটে ক্যান্টারবারির পক্ষে খেলেছেন। তন্মধ্যে, ১৯৩৫-৩৬ মৌসুম থেকে ১৯৩৭-৩৮ এবং ১৯৪৫-৪৬ মৌসুম থেকে ১৯৪৬-৪৭ মৌসুম পর্যন্ত দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও, ১৯৩৫-৩৬ মৌসুমে ই. আর. টি. হোমসের নেতৃত্বাধীন সফরকারী এমসিসি দলের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত চারটি প্রতিনিধিত্বমূলক খেলার তিনটিতেই নিউজিল্যান্ডের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তবে, ব্যক্তিগতভাবে তেমন সফলতা পাননি।
১৯৪৪-৪৫ মৌসুমে অকল্যান্ডে অনুষ্ঠিত শেষ খেলায় সাউথ আইল্যান্ডের সদস্যরূপে নর্থ আইল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার জন্যে মনোনয়ন লাভ করেন। নিম্নমুখী রানের খেলায় দলীয় সঙ্গী লেন বাটারফিল্ডের বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ১২-৫-৯-৫।[৪] কিন্তু, বাটারফিল্ড আহত হয়ে মাঠ ত্যাগ করলে নর্থ আইল্যান্ড দূর্দান্তভাবে খেলায় ফিরে আসে। ২৬২ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় ধাবিত হয় তার দল। বাটারফিল্ডের ৫৮ ও তার ৬২ রান করা সত্ত্বেও ৩৪ রানে পরাজয়বরণ করে সাউথ আইল্যান্ড।[৫]
ক্লাব ক্রিকেটে দীর্ঘদিন খেলেন। ৫০-এর দশক পর্যন্ত খেলে ১৩,০০০-এর অধিক রান ও প্রায় ৭০০ উইকেট পেয়েছিলেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
[সম্পাদনা]সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ইয়ান ক্রম্ব। ২৭ জুন, ১৯৩১ তারিখে লর্ডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৪ মার্চ, ১৯৩২ তারিখে ওয়েলিংটনে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৩১ সালে টি. সি. লরি’র নেতৃত্বাধীন নিউজিল্যান্ড দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে অংশগ্রহণকৃত পাঁচ টেস্টের মধ্যে তিনটিই এ সফরে খেলেন।[৬] লর্ডসে জনি আর্নল্ড, ফ্রেড বেকওয়েল ও ওয়ালি হ্যামন্ডের উইকেট লাভ করে ৩/৩১ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। এরপর ১৯৩১-৩২ মৌসুমে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আরও দুই টেস্টে অংশ নেন। ওয়েলিংটনে ব্রুস মিচেলকে শূন্য রানে আউট করে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ৫১ রান তুলেন তিনি।
১৯৩১ সালে লর্ডসে এমসিসি’র বিপক্ষে ৬/৪৬ লাভের পর ডগলাস জারদিন মন্তব্য করেন যে, তার বল ব্যাট দিয়ে মোকাবেলা করার পূর্বেই বল ব্যাটে আঘাত হানে। এ সফরে ৫৮ উইকেট পান। তবে, এরজন্যে গড়ে ২৬.৩০ গড়ে রান খরচ করতে হয়েছিল।
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর ক্যান্টারবারির ক্রিকেট প্রশাসনে যুক্ত ছিলেন। এ সংস্থায় ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও, দল নির্বাচক ও কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। ক্রিকেটের পাশাপাশি গল্ফার হিসেবেও সুনাম ছিল তার। সাউথ আইল্যান্ডের শিরোপা জয়সহ বেশ কয়েকবার ক্যান্টারবারি চ্যাম্পিয়নশীপ জয় করেন। নিউজিল্যান্ডের সর্বাপেক্ষা সফল গল্ফার বব চার্লসের উত্থানে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন।
৬ মার্চ, ১৯৮৪ তারিখে ৭৮ বছর বয়সে ক্যান্টারবারির ক্রাইস্টচার্চ এলাকায় গাড়ি দূর্ঘটনায় ইয়ান ক্রম্বের জীবনাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ List of New Zealand Test Cricketers
- ↑ "New Zealand Test Batting Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "New Zealand Test Bowling Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০১৯।
- ↑ Wisden 2000, p. 1536.
- ↑ North Island v South Island 1944-45
- ↑ Seconi, Adrian (১৩ জানুয়ারি ২০১৩)। "Cricket: The greatest 11 players NZ forgot"। ODT। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০১৭।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ইয়ান ক্রম্ব (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ইয়ান ক্রম্ব (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)