আল রহিম মসজিদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আল রহিম মসজিদ
مسجد الرحيم
মসজিদ আল রহিম
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
অঞ্চলদুবাই মারিনা
অবস্থান
রাজ্যদুবাই
এলাকাসংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)
স্থাপত্য
প্রতিষ্ঠাতাএইচ. এইচ. শেখ মনসুর বিন যায়েদ আল নাহিয়ান
সম্পূর্ণ হয়অক্টোবর ২০১৩

মসজিদ আল রহিম বা আল-রাহীম দুবাই মারিনা অঞ্চলের একমাত্র মসজিদ। আল রহিম শব্দটির অর্ দয়ালু বা ক্ষমাশীল।

আল রহিম মসজিদটি দুবাই মারিনার একেবারেই দক্ষিণ প্রান্তে। মসজিদটি অক্টোবর ২০০৩ এ উদ্বোধন করা হয়।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

মসজিদটি আবু দাবির শেখ মনসুর বিন যায়েদ আল নাহিয়ান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপ প্রধানমন্ত্রী, এর অনুরোধে নির্মাণ করা হয়েছিল। নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হতে প্রায় ৩-৪ বছর সময় লেগে যায়। জনসাধারণের জন্য এটি অক্টোবর ২০০৩ এ খোলে দেওয়া হয়।

স্থাপত্যশৈলী[সম্পাদনা]

রহিম আল মসজিদ নির্মাণে ইসলামি স্থাপত্যশৈলীর প্রায় সবধরনের মানদন্ড অনুসরণ করা হয়েছে। এটিতে রয়েছে একটি মিনার, একটি সুউচ্চ টাওয়ার যেখান থেকে ইমাম সালাত আদায়ের জন্য আহবান করেন (এখানে মোয়াজ্জেন এর দায়িত্ব ইমাম পালন করে থাকেন)। মসজিদটির একটি মাত্র গম্বুজ ইসলামি স্থাপত্যশৈলীকে রূপায়িত করেছে। মসজিদটি আরো রয়েছে একটি জিয়াদা, দুই প্রাচীর দ্বারা পরিবেষ্টিত একটি বড় উঠান। মসজিদটির সম্মুখভাগ মারিনার দিকে যেখানে একটি জলপ্রপাত রয়েছে। সন্ধ্যা বেলায়, ঐ জলপ্রপাত সাদা ও নীল রঙ্গের আলো দ্বারা আলোকিত করা হয়।

মসজিদটি দুইটি অংশের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে:

প্রথমটি প্রধানত পুরুষদের কক্ষ যেটির প্রবেশদ্বার উঠানের সম্মুখভাগে। একই ব্লকের মেঝে মহিলাদের সালাত আদায়ের জন্য একটি ছোট কক্ষ রয়েছে যার প্রবেশদ্বার বাহিরমুথী।মহিলাদের কক্ষটি একটি অস্বচ্ছ কাচেঁর গ্লাস দ্বারা পরিবেষ্টিত। মহিলাদের অজু করার স্থানসহ গতিবিধিব প্রতি লক্ষ রাখার জন্য একটি হাই-টেক গতি নিরূপক যন্ত্র রয়েছে।

দ্বিতীয় অংশটিতে তিনটি আলাদা কক্ষ রয়েছে। যে অংশটি উঠানের সম্মুখ দিকে অবস্থিত সেখানে সালাতে আদায়ের পূর্বে অজু এবং শৌচকার্য সম্পাদনের জন্য পুরুষদের একটি বড় হল রয়েছে। বাহিরের দিকে একটি কুরআন পাঠদান কক্ষ এবং একটি ইসলামি শিক্ষা বিষয়ক পাঠাগার রয়েছে। এই দুইটি কক্ষ শেখ মনসুর বিন যায়েদ আল নাহিয়ার এর পক্ষ থেকে উপটোকন হিসেবে দেওয়া হয়েছে।

অন্যান্য বৈশিষ্ট্য[সম্পাদনা]

সহযোগি ইমামের অনুসারে, মসজিদটিতে একসাথে প্রায় ২,০০০ লোক সালাত আদায় করতে পারে।

মসজিদটি বিশেষ করে শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে (দুপুরের সালাত যা আরবি ভাষা মেত আদ দুহর এবং যা সাধারণত দুপুর ১২:৩০ এ অনুষ্ঠিত হয়) এবং ইসালিম বিশেষ উৎসব যেমন ঈদের সময় প্রচুর মানুষের সমাগম ঘটে।

মসজিদ আল রহিম কোন তীর্থস্থান নয় ( বাহির থেকে চিত্র ধারণ করার অনুমতি ছাড়া) এবং এটি প্রধানত সালাত আদায় করার স্থান হিসেবেই ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Mosque in Dubai Marina has 'brought the community together' over Ramadan"The National UAE। ৫ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৪