আলাপ:চুকাই

ছবি "চুকাই", নাকি "হইলফা"

মাজহার ভাই, আপনার চুকাই নিবন্ধটি দেখলাম। ভালো কাজ, নিঃসন্দেহে। তাছাড়া ছবিগুলোও চমৎকার। আমার বাড়ি সিলেট। সিলেটে এই ফলকে বলা হয় "হইলফা" (উচ্চারণ: হোইল্‌ফা)। আমার জানামতে, অনেকেই এই দুটোকে এক মনে করেন। তাই আপনি একটু এনশিওর করবেন যে, এটা আসলেই হইলফা, নাকি চুকাই? চুকাই বলা হয় সিলেটে, পালং পাতার মতো একপ্রকার পানিসমৃদ্ধ পাতাকে। আর হইলফা বলা হয় এটাকে। দুটোই টক, তবে চুকাই সিলেটে পাতা, আর হইলফা সেখানে ফল। এবিষয়ে একটু যাচাই করার অনুরোধ থাকলো। ভালো থাকবেন। —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ০৭:৫৩, ১৩ ডিসেম্বর ২০১১ (ইউটিসি)

ধন্যবাদ মঈনুল ভাই। আমি আসলে যে বিষয়টি নিয়ে পাতা খুলেছি সেটি হলো সেই ফল যেটার ছবি দিয়েছি। এই ফলটির বৈজ্ঞানিক নামও আমি জানিনা। তবে ঢাকা, রাজশাহী এবং কুমিল্লায় এটিকে যেসব নামে ডাকা হয় সেগুলির ব্যাপারে আমি নিশ্চিতভাবেই জানি। রাজশাহীতে এই ফলটিকেই চুকাই বলা হয়। ধন্যবাদ আপনাকে সিলেটি নামটি জানাবার জন্য। আপনার তথ্যটি যোগ করে দিচ্ছি। আরো তথ্য জানা থাকলে জানাবেন আশা করি। বিশেষ করে বৈজ্ঞানিক নামটি জানতে চাই।

Mazhar Zarif (আলাপ) ১৪:৩৫, ১৩ ডিসেম্বর ২০১১ (ইউটিসি)

আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ

আমিও চাই আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রবন্ধটি সমৃদ্ধ করতে। কিন্তু আর কোনো তথ্য জানি না। কারো জানা থাকলে জানিয়ে উন্নত করবেন প্লিজ। Mazhar Zarif (আলাপ) ১৪:৪২, ১৩ ডিসেম্বর ২০১১ (ইউটিসি)

তথ্যতো আমারও জানা নেই। মজার ব্যাপার হলো কোনো একটা ফল যখন কোনো একটা দেশে পাওয়া যায় (আর কোনো দেশে পাওয়া যায় কিনা আমার জানা নেই), তখন সেটাকে কী করে সারা বিশ্বের ভিত্তিতে লিখবেন? যেটা করতে হবে, সেটা হলো দৃষ্টিকোণ পাল্টে নিতে হবে। নিবন্ধের ভাষা এখন বদলে দিলাম। এই পরিবর্তনটা দেখলে পার্থক্যগুলো বুঝতে পারবেন, আর দেখবেন কিভাবে নিবন্ধটি কিছুটা হলে বৈশ্বিক হতে পারে। :) তবে নিবন্ধে যেহেতু জানা কথা, শোনা কথা জুড়ে দেয়া যায় না, তাই আমার বা আপনার কথা এখানে স্থান পেতে পারে না। পেতে পারে যাচাইযোগ্য তথ্যসূত্রসহকারে তথ্য, তাই তথ্যসূত্রহীনতার ট্যাগটি সাঁটা জরুরি ছিল। কিছু পেলে অবশ্যই যুক্ত করবো, ইনশাল্লাহ। ভালো থাকবেন। —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ১৬:০৫, ১৩ ডিসেম্বর ২০১১ (ইউটিসি)

বৈজ্ঞানিক নামটি কোনোমতে বের করতে পারলেই অনেক তথ্য এবং সূত্র পাওয়া যাবে। আশা করি কোনো উদ্ভিদবিজ্ঞানের ছাত্র/ছাত্রী সাহায্য করতে পারবেন। (আপাততঃ জানা কথা শোনা কথা দিয়ে পাতাটি খোলা হলো)। - একটা কথা ভাবছিলাম, সূত্র বলতে আসলে কি কি মীন করা হয়? অনেক তথ্য আমি নিজেই বিস্তর জানি; কিন্তু আমি এখনো কোনো বই লিখিনি। তাহলে বই লেখার আগ পর্যন্ত সেই তথ্যগুলি সূত্রহীন?

Mazhar Zarif (আলাপ) ০৫:৪৩, ১৪ ডিসেম্বর ২০১১ (ইউটিসি)

হ্যা ভাই, সেই তথ্যগুলো সূত্রহীন। প্রাথমিকভাবে যেকোনো প্রকাশিত মাধ্যমকে (ব্লগ, সামাজিক যোগাযোগ সাইট, ফোরাম বাদে) সূত্র ধরা হয়। পরবর্তিতে তা অন্যান্য প্রকাশিত মাধ্যমকে ব্যবহার করে ক্রস রেফারেন্স করা হয়, যাতে তথ্যের যথার্থতা নিশ্চিত করা যায়। তারপরও যৌক্তিক বিচারের উপর কোনো কথা নেই। যদি একাধিক তথ্যসূত্রও কোনো যৌক্তিক, প্রতিষ্ঠিত সত্যের বিরোধিতা করে, তাহলে আলোচনার সুযোগ তো থাকছেই। আপনার আরো জানার আগ্রহ মেটাবে দুটো নিবন্ধ: উইকিপিডিয়া:উইকিপিডিয়া কী নয় এবং উইকিপিডিয়া:উৎসনির্দেশ। অবদানকারীর অভাবে এর একটি পাতা এখনও অনুবাদের বাকি। অবিকৃত অনুবাদে স্বাগত জানাই। —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ১৫:০৪, ১৪ ডিসেম্বর ২০১১ (ইউটিসি)

নিবন্ধের নাম

@আফতাবুজ্জামান, NahidSultan, এবং Meghmollar2017: নিবন্ধের বর্তমান নাম (চুকাই) হচ্ছে আঞ্চলিক নাম। সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য নাম হচ্ছে মেষ্টা বা মেষ্টা পাট । এখানে, এখানে, এখানে দেখুন। ≈ MS Sakib  «আলাপ» ১৫:০১, ৩০ অক্টোবর ২০২০ (ইউটিসি) MS Sakib}} মেস্তার দুইটা জাত আছে। Hibiscus cannabinus ও Hibiscus sabdariffa। একটা পাট আঁশের জন্য (Hibiscus cannabinus, অন্য নাম কেনাফ) আর আরেকটা সবজি হিসেবে খাওয়ার জন্য (Hibiscus sabdariffa, এই নিবন্ধ)। সবজি মেস্তা চুকাই, চুকুর ইত্যাদি নামে পরিচিত। --আফতাবুজ্জামান (আলাপ) ১৬:৫২, ৩০ অক্টোবর ২০২০ (ইউটিসি)

তথ্যসূত্র:

@আফতাবুজ্জামান: ভাইয়া, এখন দেখলাম Hibiscus cannabinus মেস্তা পাট এবং Hibiscus cannabinus হচ্ছে মেস্তা বা চুকাই, চুকুর। যেহেতু মেস্তা শব্দটাই অধিক প্রচলিত তাই নিবন্ধটিকে মেস্তা নামেই স্থানান্তর করা হোক। (কৃষিপ্রযুক্তির হাতবই নামক বইয়ে দেখেছিলাম "মেষ্টা" তাই প্রথমবার শুধু ইংরেজি নামেই 'গুগল' করেছিলাম)। ≈ MS Sakib  «আলাপ» ০৩:০২, ৩১ অক্টোবর ২০২০ (ইউটিসি)