আমির হোসেন আমু
আমির হোসেন আমু | |
|---|---|
| ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য | |
| কাজের মেয়াদ জানুয়ারি ২০০৯ – ৫ আগস্ট ২০২৪ | |
| পূর্বসূরী | ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো |
| মন্ত্রী, শিল্প মন্ত্রণালয় | |
| কাজের মেয়াদ ২০১৪ – ২০১৮ | |
| পূর্বসূরী | দিলীপ বড়ুয়া |
| উত্তরসূরী | নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন |
| মন্ত্রী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় | |
| কাজের মেয়াদ ২০১৩ – ২০১৪ | |
| মন্ত্রী, খাদ্য মন্ত্রণালয় | |
| কাজের মেয়াদ মার্চ ২০০০ – জুলাই ২০০১[১] | |
| প্রধানমন্ত্রী | শেখ হাসিনা |
| পূর্বসূরী | আ.জ.ম. নাজিরুদ্দিন |
| ব্যক্তিগত বিবরণ | |
| জন্ম | ১ জানুয়ারি ১৯৪০ ঝালকাঠি, বরিশাল, ব্রিটিশ ভারত |
| নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
| রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
| দাম্পত্য সঙ্গী | ফিরোজা হোসেন |
আমির হোসেন আমু (জন্ম: ১ জানুয়ারি ১৯৪০) একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। তিনি আওয়ামী লীগের একজন বর্ষীয়ান নেতা এবং সাবেক শিল্পমন্ত্রী।[২] বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় মহাজোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র।
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
[সম্পাদনা]আমির হোসেন আমু ১৯৪০ সালের ১লা জানুয়ারি তদানীন্তন বরিশাল ঝালকাঠি মহকুমায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন এবং মাতা আকলিমা খাতুন।[৩] তিনি ১৯৬৫ সালে বরিশাল বিএম কলেজ থেকে বিএ এবং ১৯৬৮ সালে বরিশাল আইন মহাবিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।
রাজনৈতিক ও কর্মজীবন
[সম্পাদনা]আমু ছাত্রজীবন থেকেই সমাজতান্ত্রিক রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি ১৯৫৯ সাল থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৬২ সালের সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক হন।
১৯৬৪ সালে তিনি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং সে সময় মিস ফাতেমা জিন্নাহর নির্বাচনের সর্বদলীয় নির্বাচন কমিটির আহ্ববায়ক ছিলেন। ১৯৬৫ সালে আমু ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালে আইন পেশায় নিয়োজিত হন। ১৯৭০ সালের প্রাদশিক পরিষদ নির্বাচনে তিনি বরিশাল সদর আসন থেকে জয়লাভ করেন। ১৯৭২ সালে আমু যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসাবে মনোনীত হন। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন বাকেরগঞ্জ-৭ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৪] ১৯৭৮-১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তিনি যুবলীগের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৮০ সালে তিনি বরিশাল ও ঝালকাঠী জিলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৮১ হতে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্মসম্পাদক ছিলেন। তিনি ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৬-০৮ সাল পর্যন্ত তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে শেখ হাসিনা যখন বন্দী ছিলেন তখন যে কয়জন নেতা দলের নেতৃত্বে ছিলেন আমু তাদের মধ্যে একজন।[২] ২১ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে তিনি ভূমি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিল্পমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Baxter, Craig; Rahman, Syedur (২০০৩)। Historical Dictionary of Bangladesh। Scarecrow Press। পৃ. ২৩২। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮১০৮-৪৮৬৩-৪।
- 1 2 "Hasina, Amu trade blames"। New Age Bangladesh। ২৪ জুন ২০০৭। ১০ এপ্রিল ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০১০।
- ↑ http://bitac.portal.gov.bd/site/office_head/%5B%5D
- ↑ "১ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০।
| এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
- ১৯৪০-এ জন্ম
- জীবিত ব্যক্তি
- প্রথম জাতীয় সংসদ সদস্য
- নবম জাতীয় সংসদ সদস্য
- দশম জাতীয় সংসদ সদস্য
- একাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য
- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য
- ঝালকাঠি জেলার রাজনীতিবিদ
- ঝালকাঠি জেলার আইনজীবী
- বাংলাদেশের খাদ্যমন্ত্রী
- বাংলাদেশের শিল্পমন্ত্রী
- বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ
- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ
- বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে জড়িত ব্যক্তি
- শেখ হাসিনার তৃতীয় মন্ত্রিসভার সদস্য
- বাংলাদেশের ভূমিমন্ত্রী
- ঝালকাঠি সদর উপজেলার ব্যক্তি