বিষয়বস্তুতে চলুন

গোস্বামী দুর্গাপুর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গোস্বামী দুর্গাপুর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়
পুরাতন ভবনের সামনের অংশ
অবস্থান
মানচিত্র

স্থানাঙ্ক২৩°৪৬′১৫″ উত্তর ৮৯°০০′১১″ পূর্ব / ২৩.৭৭০৭০০২° উত্তর ৮৯.০০৩১১৯১° পূর্ব / 23.7707002; 89.0031191
তথ্য
অন্য নামগোস্বামী দুর্গাপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়
প্রাক্তন নামগোস্বামী দুর্গাপুর ইংলিশ হাই স্কুল
বিদ্যালয়ের ধরনএমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়
প্রতিষ্ঠাকাল১৮৬০; ১৬৩ বছর আগে (1860)
অবস্থাচালু
বিদ্যালয় বোর্ডমাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর[১]
বিদ্যালয় জেলাকুষ্টিয়া জেলা
ইআইআইএন১১৭৭৫৮[১]
শিক্ষকমণ্ডলী২৮ জন
শ্রেণি৬ষ্ঠ-১০ম
ভাষাবাংলা
ক্যাম্পাসের ধরনগ্রামীণ
ওয়েবসাইটgoswamidurgapursecondaryschool.jessoreboard.gov.bd

বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক

গোস্বামী দুর্গাপুর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (পূর্বনাম: গোস্বামী দুর্গাপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়) কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলার একটি প্রাচীন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ১৮৬০ সালে ব্রিটিশদের দ্বারা বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত করেছিল।[২][৩][৪] বিদ্যালয়টি বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রথম ইংলিশ হাই স্কুল ছিল।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

গোস্বামী দুর্গাপুরের ইতিহাস

[সম্পাদনা]

গোস্বামী দুর্গাপুর কুষ্টিয়া সদর উপজেলার একটি বর্ধিষ্ণু গ্রাম। মুঘল ও ব্রিটিশ আমলে গ্রামটি অনেক সমৃদ্ধ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য সমৃদ্ধ ছিল। অনেক শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের জন্য সুদূর কলকাতাতেও এই জনপদের খ্যাতি পৌঁছে যায়। এই জনপদের সন্তান রায় বাহাদুর রাধিকা প্রসন্ন মুখার্জী, তারই কনিষ্ঠ ভ্রাতা অধ্যাপক ও আইনজীবী রাজকৃষ্ণ মুখার্জী যিনি গোস্বামী দুর্গাপুরের ইতিহাস, পাঠ্য পুস্তক, কাব্যগ্রন্থসহ বহুসংখ্যক গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। কিশোরী মোহন মুখার্জী ছিলেন উচ্চ ডিগ্রিধারী চিকিৎসক। রায় বাহাদুর রাধিকা প্রসন্ন মুখার্জী-এর সৌজন্য তৎকালীন নদিয়া জেলার ডেপুটি কালেক্টর গোস্বামী দুর্গাপুর ভ্রমণ করেন এবং এই জনপদে পাকা রাস্তা, বহুসংখ্যক দ্বিতল অট্টালিকা, জাঁকজমকপূর্ণ পাকা মন্দির, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, সড়কের ল্যাম্পপোস্ট দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন।

বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইতিহাস

[সম্পাদনা]

শিক্ষা বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন রায় বাহাদুর রাধিকা প্রসন্ন মুখার্জি ১৮৬০ সালে নিজ অর্থবায় এই জনপদে একটি দোতলা বিশিষ্ট অট্টালিকা নির্মাণ করে গোস্বামী দুর্গাপুর উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এই সময়ে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরে কোনো মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছিল না। সেকালে বাংলা প্রদেশে আধুনিক হাই স্কুল প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দিতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি বর্তমানে কুষ্টিয়া জেলার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক স্বীকৃতি প্রাপ্ত প্রথম ইংলিশ উচচ বিদ্যালয়

তৎকালীন সময়ে ১৮৯৩ সালে বিদ্যালয়টিতে একটি উল্লেখযোগ্য সংস্কার করা হয়।

বিদ্যালয়ের প্রথম প্রধান শিক্ষক ছিলেন বাবু গৌড়হরি। যিনি ১৮৬০-১৮৯৪ দীর্ঘ ৩৪ বছর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বিদ্যালয়ের সবচেয়ে পুরাতন ও প্রথম ভবনটি সাদামাটা নকশায় নির্মিত হয়। কিন্তু এর প্রবেশ দ্বারটি বেশ জমকালো। ১২ ফুট উঁচু ও ০৪ ফুট প্রশস্ত প্রবেশদ্বারটির দুই পাশে রয়েছে তিনটি করে রোমান রীতির স্তম্ভ। এই স্তম্ভের উপরে নিম্নোক্ত কথা লেখা রয়েছে-

THE GOSAIN DURGAPUR HE. SCHOOL, RAI BAHADUR RADHIKA PRASANNA MUKHERJI CIE. ESTDB1860.

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা

[সম্পাদনা]

শিক্ষা বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন রায় বাহাদুর রাধিকা প্রসন্ন মুখার্জি। তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থানে অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছিলেন। তার এই কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ নিন্দন ব্রিটিশ সরকার তাকে Companinon of Indiana Emperor (CIE) উপাধিতে ভূষিত করেন।

অবস্থান

[সম্পাদনা]

বিদ্যালয়টি কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলার গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়নের সদরদপ্তর গোস্বামী দুর্গাপুরে অবস্থিত। কুষ্টিয়া থেকে বিদ্যালয়টির দুরত্ব ২৪ কিলোমিটার। নিকটস্থ রেলওয়ে স্টেশন হালসা রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিদ্যালয়টির দুরত্ব ৮.০৫ কিলোমিটার।

শিক্ষা কার্যক্রম

[সম্পাদনা]

বিদ্যালয়টিতে যশোর বোর্ডের অধীনে মাধ্যমিক শ্রেণির পাঠদান কার্যক্রম চালু রয়েছে।[১] ৯ম-১০ম শ্রেণীতে ০৩টি বিভাগ রয়েছে, এগুলো হলো-

  1. বিজ্ঞান বিভাগ
  2. মানবিক বিভাগ
  3. বানিজ্য বিভাগ

ফলাফলের ইতিবৃত্ত

[সম্পাদনা]

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি)

[সম্পাদনা]

বিদ্যালয়ের ২০১১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বিগত ১৪ বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার ফলাফলের ইতিবৃত্ত:

[ইতিবৃত্ত] উত্তীর্ণ বনাম অনুত্তীর্ণ (অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে) (% উত্তীর্ণদের মধ্যে জিপিএ-৫)
বছর অংশগ্রহণকারী উত্তীর্ণ অনুত্তীর্ণ পাসের হার (%) জিপিএ-৫ জিপিএ-৫ এর হার (%)
২০২৪
২০২৩
২০২২
২০২১
২০২০
২০১৯
২০১৮
২০১৭
২০১৬
২০১৫
২০১৪
২০১৩
২০১২
২০১১
[ইতিবৃত্ত] জিপিএ পরিসংখ্যান (উত্তীর্ণদের মধ্যে)
বছর জিপিএ ৫.০০ জিপিএ ৪.x জিপিএ ৩.x জিপিএ ২.x জিপিএ ১.x
২০২৪
২০২৩
২০২২
২০২১
২০২০
২০১৯
২০১৮
২০১৭
২০১৬
২০১৫
২০১৪
২০১৩
২০১২
২০১১

জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি)

[সম্পাদনা]

বিদ্যালয়ের ২০১১ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০১৯ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত ৯ বছরের নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ফলাফলের ইতিবৃত্ত:

[ইতিবৃত্ত] উত্তীর্ণ বনাম অনুত্তীর্ণ (অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে) (% উত্তীর্ণদের মধ্যে জিপিএ-৫)
বছর অংশগ্রহণকারী উত্তীর্ণ অনুত্তীর্ণ পাসের হার (%) জিপিএ-৫ জিপিএ-৫ এর হার (%)
২০১৯
২০১৮
২০১৭
২০১৬
২০১৫
২০১৪
২০১৩
২০১২
২০১১
[ইতিবৃত্ত] জিপিএ পরিসংখ্যান (উত্তীর্ণদের মধ্যে)
বছর জিপিএ ৫.০০ জিপিএ ৪.x জিপিএ ৩.x জিপিএ ২.x জিপিএ ১.x
২০১৯
২০১৮
২০১৭
২০১৬
২০১৫
২০১৪
২০১৩
২০১২
২০১১

বিঃদ্রঃ ২০১৯ শিক্ষাবর্ষের পরবর্তী সকল জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি)জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে।[৫] যার কারণে এখানে ২০১৯ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত ফলাফলের ইতিবৃত্ত দেখানো হয়েছে।


অবকাঠামো

[সম্পাদনা]

বিদ্যালয়টিতে মোট ০৩টি ভবন রয়েছে। এছাড়া একটি সুবিশাল খেলার মাঠ রয়েছে।

গ্যালারি

[সম্পাদনা]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Goswami Durgapur Secondary School, EIIN - 117758"মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-২৬ 
  2. ফারুক হোসাইন, চুয়াডাঙ্গা (২০২০-০৪-০২)। "চুয়াডাঙ্গায় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন গোস্বামী দুর্গাপুর স্কুল"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-২৬ 
  3. "ক্লাসে দেরি করে আসার কারণ জানতে চাওয়ায় শিক্ষককে মেরে রক্তাক্ত"বাংলাদেশ গ্লোবাল। ২০২৩-০৮-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-২৬ 
  4. "কুষ্টিয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভয়াল ২৫ মার্চের গণহত্যা দিবস আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত"নাগরিক ভাবনা। ২০২৪-০৪-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-২৬ 
  5. প্রতিবেদক, বিশেষ (২০২৩-০১-১৬)। "জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা বাদ হয়ে গেল"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১১-০৭ 

গ্রন্থপঞ্জিকা

[সম্পাদনা]
  • মোঃ রেজাউল করিম (ডিসেম্বর ২০২২)। কুষ্টিয়ার প্রত্ননিদর্শন। ৩৮/২ক বাংলাবাজার, ঢাকা ১১০০: গতিধারা। পৃষ্ঠা ১৮৪–১৮৬। আইএসবিএন 978-984-8950-41-8