বিষয়বস্তুতে চলুন

হরিনারায়ণপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হরিনারায়ণপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়
ঠিকানা
মানচিত্র
হরিনারায়ণপুর-লক্ষীপুর রোড


স্থানাঙ্ক২৩°৪৫′২৯″ উত্তর ৮৯°০৮′২৪″ পূর্ব / ২৩.৭৫৭৯৫১২° উত্তর ৮৯.১৪০০৭৯১° পূর্ব / 23.7579512; 89.1400791
তথ্য
অন্য নামহরিনারায়ণপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়
প্রাক্তন নামহরিনারায়ণপুর ইংলিশ হাই স্কুল
বিদ্যালয়ের ধরনএমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়
প্রতিষ্ঠাকাল১৮৯১; ১৩২ বছর আগে (1891)
অবস্থাচালু
বিদ্যালয় বোর্ডযশোর বোর্ড
বিদ্যালয় জেলাকুষ্টিয়া জেলা
ইআইআইএন১১৭৭৫৭
লিঙ্গবালক
শ্রেণী৬ষ্ঠ-১০ম
ভাষাবাংলা
ক্যাম্পাসসমূহ০১টি
আয়তন৩.৭ একর (১৫,০০০ মি)
ক্যাম্পাসের ধরনগ্রাম্য
ওয়েবসাইটharinarayanpursecondaryschool.jessoreboard.gov.bd

হরিনারায়ণপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলার হরিনারায়ণপুরে অবস্থিত একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়[১] বিদ্যালয়টি ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ও তৎকালীন সময়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক স্বীকৃতি প্রাপ্ত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্যের জন্য বিদ্যালয়টির যথেষ্ট সুনাম রয়েছে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৮৯১ সালে হরিনারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দাদের সমন্বিত উদ্যোগে কালীগঙ্গা নদীর পশ্চিম তীরে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় হরিনারায়ণপুর গ্রামের যারা বিশেষ উদ্যোগী ভূমিকা পালন করেন তাদের মধ্যে কালীদাস চক্রবর্তী, রামগোপাল ভট্টাচার্য, কালীদাস ভট্টাচার্য তর্কালঙ্কার, হরিশচন্দ্র চৌধুরী, নবীন চৌধুরীলোলিতমোহন প্রামাণিক অন্যতম। হরিনারায়ণপুর গ্রাম ছাড়াও নিকটস্থ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাও বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখেন। তাদের মধ্যে বারদী গ্রামের উমানাথ সেন, শিবনাথ মজুমদার, কৃষ্ণনাথ সরকার, ধরপুর নিবাসী গোপাল চন্দ্র ভৌমিক, গোপীনাথ সান্যাল শান্তিডাঙ্গা নিবাসী মহিমা চন্দ্র বিশ্বাসসাধুচরণ বিশ্বাস-এর নাম উল্লেখযোগ্য।

প্রথমে খড়ের ঘরে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। দ্বিধাবিভক্ত গ্রামবাসীর মধ্যে কোন্দলের কারণে খড়ের ঘর বেশ কয়েকবার অগ্নিদগ্ধ হয়। ১৯০০ সালে কুষ্টিয়া মহকুমার প্রশাসক বীরেন সেন বিদ্যালয়টি পাকা ভবনে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। ১৯০২ সালে তিনি পাকা ভবনের ভিত্তি স্থাপন করেন। যার নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯০৮ সালে ১৯০৯ সালে বিদ্যালয়টি হরিনারায়ণপুর ইংলিশ হাই স্কুল নামে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক স্বীকৃত পায়।

অবস্থান[সম্পাদনা]

বিদ্যালয়টি কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলার হরিনারায়ণপুর ইউনিয়নের সদর দপ্তর হরিনারায়ণপুরের হরিনারায়ণপুর বাজারে অবস্থিত। কুষ্টিয়া শহর থেকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহমহাসড়ক হয়ে বিদ্যালয়টির দুরত্ব ২২ কিলোমিটার। বিদ্যালয় থেকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের দুরত্ব ২.১ কিলোমিটার।

অবকাঠামো[সম্পাদনা]

বিদ্যালয়ের মোট ভবনের সংখ্যা ০৬টি এর মধ্যে ৩টি দ্বিতল, ১টি ছয় তলার নতুন একাডেমিক ভবন, ১টি একতলা ও ১টি টিন শেডের। বিদ্যালয়ে একটি ছাত্রাবাস, একটি একটি প্রধান শিক্ষকের বাসভবন, সুগঠিত লাইব্রেরি, কম্পিউটার ল্যাব ও বিজ্ঞানাগার রয়েছে। এছাড়াও বিদ্যালয়ের নিজস্ব খেলার মাঠ ও একটি ভিন্নধর্মী শহীদ মিনার রয়েছে।

শিক্ষা কার্যক্রম[সম্পাদনা]

বিদ্যালযটি মাধ্যমিক পর্যায়ে যশোর বোর্ডের অধীনে রয়েছে।[২] ৯ম-১০ম শ্রেণীতে ০৩টি বিভাগ রয়েছে, এগুলো হলো-

  1. বিজ্ঞান বিভাগ
  2. মানবিক বিভাগ
  3. বানিজ্য বিভাগ

ফলাফলের ইতিবৃত্ত[সম্পাদনা]

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি)[সম্পাদনা]

বিদ্যালয়ের ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বিগত ১১ বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার ফলাফলের ইতিবৃত্ত:

[ইতিবৃত্ত] উত্তীর্ণ বনাম অনুত্তীর্ণ (অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে) (% উত্তীর্ণদের মধ্যে জিপিএ-৫)
বছর অংশগ্রহণকারী উত্তীর্ণ অনুত্তীর্ণ পাসের হার (%) জিপিএ-৫ জিপিএ-৫ এর হার (%)
২০২৪ ২৫৫ ২২৩ ৩২ ৮৭.৫ ৩১ ১৩.৯
২০২৩ ২৪১ ২১৪ ২৭ ৮৮.৮ ৩৩ ১৫.৪
২০২২ ২৫১ ২৪১ ১০ ৯৬ ৪১ ১৭
২০২১ ২৪১ ২৩৪ ৯৭.১ ২৩ ৯.৮
২০২০ ১৭৪ ১৬২ ১২ ৯৩.১ ২৪ ১৪.৮
২০১৯ ২২৮ ২০৯ ১৯ ৯১.৭ ১৩ ৬.২
২০১৮ ২৫৯ ২২৯ ৩০ ৮৮.৪ ১২ ৫.২
২০১৭ ২০৪ ১৪১ ৬৩ ৬৯.১ ১১ ৭.৮
২০১৬ ১৮৩ ১৬৯ ১৪ ৯২.৩ ২৭ ১৬
২০১৫ ১৫৬ ১৩৫ ২১ ৮৬.৫ ১৬ ১১.৯
২০১৪ ১৫৫ ১৫৩ ৯৮.৭ ৩৬ ২৩.৫
[ইতিবৃত্ত] জিপিএ পরিসংখ্যান (উত্তীর্ণদের মধ্যে)
বছর জিপিএ ৫.০০ জিপিএ ৪.x জিপিএ ৩.x জিপিএ ২.x জিপিএ ১.x
২০২৪ ৩১ ৮৬ ৮৬ ২০
২০২৩ ৩৩ ৮৩ ৭৯ ১৯
২০২২ ৪১ ৭৭ ৯৫ ২৬
২০২১ ২৩ ৬০ ৮২ ৬৫
২০২০ ২৪ ৬১ ৫৮ ১৯
২০১৯ ১৩ ৮১ ৭৪ ৪০
২০১৮ ১২ ৬৫ ৮৮ ৬৩
২০১৭ ১১ ৫১ ৫১ ২৭
২০১৬ ২৭ ৬৭ ৭২
২০১৫ ১৬ ৩৪ ৬৪ ২১
২০১৪ ৩৬ ৬১ ৪৫ ১০

জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি)[সম্পাদনা]

বিদ্যালয়ের ২০১১ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০১৯ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত ৯ বছরের নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ফলাফলের ইতিবৃত্ত:

[ইতিবৃত্ত] উত্তীর্ণ বনাম অনুত্তীর্ণ (অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে) (% উত্তীর্ণদের মধ্যে জিপিএ-৫)
বছর অংশগ্রহণকারী উত্তীর্ণ অনুত্তীর্ণ পাসের হার (%) জিপিএ-৫ জিপিএ-৫ এর হার (%)
২০১৯ ২৬৬ ২৪৭ ১৯ ৯২.৯ ১৩ ৫.৩
২০১৮ ২৬৪ ২৫৭ ৯৭.৩ ১২ ৪.৭
২০১৭ ২৫৩ ১৫৪ ৯৯ ৬০.৯ ১৬ ১০.৪
২০১৬ ২১৬ ১৯৮ ১৮ ৯১.৭ ২০ ১০.১
২০১৫ ২২০ ২১৬ ৯৮.২ ১৩
২০১৪ ১৮০ ১৭৭ ৯৮.৩ ১৪ ৭.৯
২০১৩ ২১২ ১৯৪ ১৮ ৯১.৫ ২৪ ১২.৪
২০১২ ১৯১ ১৬৬ ২৫ ৮৬.৯ ৪.২
২০১১ ১৯৯ ১৮০ ১৯ ৯০.৫ ৪.৪
[ইতিবৃত্ত] জিপিএ পরিসংখ্যান (উত্তীর্ণদের মধ্যে)
বছর জিপিএ ৫.০০ জিপিএ ৪.x জিপিএ ৩.x জিপিএ ২.x জিপিএ ১.x
২০১৯ ১৩ ৩৯ ৯৪ ৮৮ ১৩
২০১৮ ১২ ৩৬ ৭৯ ১১৩ ১৭
২০১৭ ১৬ ৩৯ ৬১ ৩১
২০১৬ ২০ ৫১ ১০৬ ২১
২০১৫ ১৩ ৪৪ ১১৫ ৪৩
২০১৪ ১৪ ৪৪ ৭৯ ৩৬
২০১৩ ২৪ ৫২ ৮৮ ৩০
২০১২ ৬৫ ৫৯ ৩৫
২০১১ ২১ ৬১ ৮২

বিঃদ্রঃ ২০১৯ শিক্ষাবর্ষের পরবর্তী সকল জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি)জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে।[৩] যার কারণে এখানে ২০১৯ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত ফলাফলের ইতিবৃত্ত দেখানো হয়েছে।


চিত্রশালা[সম্পাদনা]

গ্রন্থপঞ্জিকা[সম্পাদনা]

  • মোঃ রেজাউল করিম (ডিসেম্বর ২০২২)। কুষ্টিয়ার প্রত্ননিদর্শন। ৩৮/২ক বাংলাবাজার, ঢাকা ১১০০: গতিধারা। পৃষ্ঠা ১৮৬–১৮৯। আইএসবিএন 978-984-8950-41-8 

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]