নলিনচন্দ্র দত্ত
নলিনচন্দ্র দত্ত | |
---|---|
জন্ম | জানুয়ারি ১৮৯৩ |
মৃত্যু | ১১ অক্টোবর ১৯৬৪ |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ ভারতীয় (১৮৯৩ ১৯৪৭) ভারতীয়( ১৯৪৭ - ১৯৬৪) |
নাগরিকত্ব | ভারতীয় |
প্রতিষ্ঠান | প্রবর্তক সংঘ |
পরিচিতির কারণ | ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের কর্মী |
পিতা-মাতা | অঘোরনাথ দত্ত (পিতা) |
নলিনচন্দ্র দত্ত ( জানুয়ারি ১৮৯৩ – ১১ অক্টোবর ১৯৬৪) ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক কর্মী। প্রবর্তক সংঘের প্রতিষ্ঠাতা মতিলাল রায়ের সংস্পর্শে এসে প্রথম দিকে বৈপ্লবিক কার্যে যুক্ত থাকেন এবং পরবর্তীতে সংঘের মুখপত্র প্রকাশ ও প্রচারে দায়িত্ব নেন। [১]
সংক্ষিপ্ত জীবনী
[সম্পাদনা]নলিনচন্দ্র দত্তের জন্ম ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে জানুয়ারি মাসে ব্রিটিশ ভারতের অধুনা পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার চন্দননগরের বোড়াই চণ্ডীতলায় তার মাতুলালয়ে। তার পিতা অঘোরনাথের নিবাস ছিল বর্ধমান জেলার মোড়ল গ্রামে। পিতার আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় মাতুলালয়ে প্রতিপালিত হন এবং সেকারণে তার ছাত্রজীবন অর্থকষ্টে কাটে। তা সত্ত্বেও তিনি চন্দননগরের ডুপ্লে কলেজ থেকে প্রবেশিকা, হুগলি কলেজ থেকে আই.এ, শ্রীরামপুর কলেজ থেকে বি.এ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে এম.এ পাশ করেন। ছোটবেলা থেকেই মতিলাল রায়ের সঙ্গে পরিচয় ছিল। ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে ছাত্রাবস্থায় বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় নিবিড় সংস্পর্শে আসেন। প্রবর্তক সংঘ গড়ে তোলার কাজে তার যথেষ্ট অবদান আছে। প্রথম দিকে বৈপ্লবিক ক্রিয়া কলাপে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। চন্দননগরের বিপ্লবী মণীন্দ্রনাথ নায়েকের হাতে যে বোমা তৈরি হত, তার মালমশলা সংগ্রহে ও সংরক্ষণে এবং প্রবর্তক সংঘের নানা কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষায় বিশেষ সহায়ক ছিলেন। পরে প্রবর্তক সংঘের মুখপত্র ইংরাজী সাপ্তাহিক ১৯২০ খ্রিস্টাব্দের ১৫ ই আগস্ট দ্য স্ট্যান্ডার্ড বিয়ারার কলকাতার কার্তিক বসু লেন হতে প্রকাশিত হলে , পত্রিকার প্রকাশ ও প্রচারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই যে, এই পত্রিকাতে শ্রীঅরবিন্দের নানা রচনা ও রাসবিহারী বসুর লেখা নোটস্ ফ্রম জাপান নিবন্ধ প্রকাশিত হত। [২] তিনি প্রবর্তক বিদ্যার্থী ভবনের প্রথম অধ্যক্ষও হন। ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে মতিলাল রায়ের মৃত্যুর পর নলিনচন্দ্র প্রবর্তক সংঘের দ্বিতীয় সভাপতি নির্বাচিত হন এবং আমৃত্যু ওই পদে আসীন ছিলেন।
১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের ১১ অক্টোবর নলিনচন্দ্র প্রয়াত হন এবং তারপর প্রবর্তক সংঘের সভাপতি হন অরুণচন্দ্র দত্ত।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৩৪৫-৩৪৬, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
- ↑ "Rashbehari Bose: The revolutionary and the statesman"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-১৬।