মণীন্দ্রনাথ নায়েক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মণীন্দ্রনাথ নায়েক (৩০.০৬.১২৯৭ বঙ্গাব্দ - ২৪.১২.১৩৮২ বঙ্গাব্দ) একজন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনকারী বিপ্লবী ও সমাজকর্মী।

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

মণীন্দ্রনাথ নায়েক চন্দননগরে, হুগলি জেলায় মামা রাজেন্দ্রনাথ নন্দীর বাড়ি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছিল ভূষনচন্দ্র নায়েক। মণীন্দ্রনাথই ছিলেন চন্দনগরের প্রথম বিজ্ঞানে স্নাতক। ১৯১৩ সালে স্কটিশ চার্চ কলেজ, কলকাতা থেকে বি এসসি পাশ করেন। বিপ্লবী সংগঠনের সাথে যোগাযোগ আছে এই সন্দেহে পুলিশ রিপোর্টের ফলে প্রেসিডেন্সী কলেজে এম এসসি তে ভর্তি হতে পারেননি।[১]

বিপ্লবী কর্মকাণ্ড[সম্পাদনা]

মণীন্দ্রনাথ মানিকতলা বোমা মামলার আগেই নিজে নারকেলের খোলায় বোমা বানানো শিখেছিলেন স্থানীয় ডাক্তার নগেন ঘোষের কাছ থেকে। পরে কলিকাতায় রিপন কলেজের রসায়নের অধ্যাপক সুরেশ চন্দ্র দত্তের কাছে উন্নত মানের বোমা তৈরির কৌশল শেখেন। বিপ্লবী রাসবিহারী বসু তার তৈরী বোমা লাহোর, দিল্লী ও মীরাটে পাঠান। বড়লাট হার্ডিংসকে যে বোমাটি ছুড়েছিলেন বসন্ত বিশ্বাস সেটি তারই তৈরী। মণীন্দ্রনাথ চন্দনগরে ফরাসী উপনিবেশের বাসিন্দা হওয়ায় ব্রিটিশ পুলিশ তাকে কোনদিনই ধরতে পারেনি। টানা পাঁচ বছর তিনি শহরের বাইরে যাননি। রাজাবাজারে অমৃতলাল হাজরাকে তিনি বোমা তৈরিতে সহায়তা করতেন। অমৃতলাল ধরা পড়লেও তিনি অল্পের জন্যে পালিয়ে যান। রডা কোম্পানীর অস্ত্র লুঠ হলে তার দায়িত্ব পড়ে সেগুলি গোপনে লুকিয়ে রাখার।[১]

সামাজিক কাজ[সম্পাদনা]

১৯১৯ সালে ফ্রেঞ্চ ইন্ডিয়া লেজিসলেটিভ এসেম্বলির সদস্য নির্বাচিত হন ও পরের বছর অধিবেশনে যোগ দিতে পন্ডিচেরী যান। এই সময় ঋষি অরবিন্দ ঘোষের সাথে তার ঘণিষ্ঠতা হয়। অরবিন্দ মতিলাল রায়কে ফরাসী ভাষায় যে বিপুল পত্রাবলী লেখেন তা অনুবাদ করতেন মণীন্দ্রনাথ। প্রবর্তক সংঘর উন্নয়নমূলক কাজে দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন তিনি। কলকাতায় প্রতিষ্ঠানের কাজকর্ম দেখা ও প্রবর্তক পত্রিকা সম্পাদনা করতেন তিনি।[২][৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. প্রথম খন্ড, সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত (২০০২)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৩৮৮। আইএসবিএন 81-85626-65-0 
  2. (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড)। "পাতা:প্রবাসী"। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  3. "বাংলা পত্র-পত্রিকার বর্ণানুক্রমিক তালিকা বৈদ্যুতিন অনুলিপি"। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০১৭