অরুণচন্দ্র দত্ত

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অরুণচন্দ্র দত্ত
জন্ম১৮৯৫
মৃত্যু১১ জানুয়ারি ১৯৮০
জাতীয়তাব্রিটিশ ভারতীয় (১৮৯৫ ১৯৪৭)
ভারতীয়( ১৯৪৭ - ১৯৮০)
নাগরিকত্বভারতীয়
প্রতিষ্ঠানপ্রবর্তক সংঘ
পরিচিতির কারণভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের কর্মী
পিতা-মাতাশরৎচন্দ্র দত্ত (পিতা)

অরুণচন্দ্র দত্ত ( ১৮৯৫ – ১১ জানুয়ারি ১৯৮০) ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক কর্মী। প্রবর্তক সংঘের প্রতিষ্ঠাতা মতিলাল রায়ের সংস্পর্শে এসে আমত্যু স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আশ্রয় প্রদানসহ সামাজিক ও জনকল্যাণকর কাজে বৃত ছিলেন। [১]

সংক্ষিপ্ত জীবনী[সম্পাদনা]

অরুণচন্দ্র দত্তের জন্ম ব্রিটিশ ভারতের অধুনা পাকিস্তানের করাচিতে পিতা শরৎচন্দ্র দত্তের কর্মস্থলে। তার নয় বৎসর বয়সে পিতা মারা যান। ফিরে এসে বসবাস করতে থাকেন পৈতৃক নিবাস অধুনা পশ্চিমবঙ্গের চন্দননগরের বিবিরহাটে। ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে হুগলি কলেজিয়েট স্কুল থেকে বৃত্তিসহ ম্যাট্রিক পাশ করেন এবং কলকাতার রিপন কলেজ থেকে ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে আই.এ পাশ করেন। বি.এ পড়তে ভর্তি হন চন্দননগরের ডুপ্লে কলেজে (অধুনা চন্দননগর কলেজে)। এখানে পড়ার সময় তিনি শহীদ কানাইলাল দত্ত, অধ্যক্ষ চারুচন্দ্র রায়, মতিলাল রায় প্রমুখের সংস্পর্শ আসেন। ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে মতিলাল রায়ের সঙ্গে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে যোগ দেন। বি.এ.পড়ার সময় বঙ্কিমচন্দ্রের আদর্শে চন্দননগরে সন্তান সঙ্ঘ প্রতিষ্ঠা করেন। স্বদেশী আন্দোলনের কারণে কলকাতায় গ্রেফতার হন, তবে প্রমানাভাবে মুক্তি পেয়ে চন্দননগরের ফিরে আসেন। ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে অরুণচন্দ্র বাড়িঘর ছেড়ে প্রবর্তক সংঘের কাজে সম্পূর্ণভাবে আত্মনিয়োগ করেন। নলিনচন্দ্র দত্তের প্রচেষ্টায় সংঘের মুখপত্র ইংরাজী সাপ্তাহিক দ্য স্ট্যান্ডার্ড বিয়ারার-এ (১৯২০ খ্রিস্টাব্দের ১৫ আগস্ট প্রথম প্রকাশিত [২]) তার নাম সম্পাদক হিসাবে ছিল। পত্রিকাটি কলকাতার কার্তিক বসু লেন থেকে প্রকাশ করার দায়িত্ব ছিল নলিনচন্দ্র দত্তের। প্রবর্তক সংঘের বাংলা পাক্ষিক 'নবসঙ্ঘ' তার সম্পাদনায় প্রকাশিত হত। শেষজীবনে সংঘের বাংলা মাসিক পত্রিকা 'প্রবর্তক' এরও সম্পাদক ছিলেন তিনি। এছাড়াও তিনি মণীন্দ্রনাথ নায়েকের সঙ্গে যৌথভাবে অরবিন্দ মন্দিরে গ্রন্থটি রচনা করেন। 'লাইট টু সুপারলাইট' হল তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ যেখানে মতিলাল রায়কে ১৯১২ খ্রিস্টাব্দ হতে ১৯২১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত লেখা শ্রীঅরবিন্দের ছাব্বিশটি চিঠি সংযোজিত হয়েছে।[৩] ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে প্রবর্তকের প্রকাশনা সংস্থা হতে মতিলাল রায়ের ভূমিকা সম্বলিত - প্রাচ্যের জাগরণ শীর্ষক ইতিহাস গ্রন্থ প্রকাশিত হয়।[৪] চন্দননগর যখন মুক্ত নগরী ছিল, তিনি তার খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি প্রবর্তক সংঘের সহ-সভাপতি হন এবং ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দ হতে আমৃত্যু সভাপতি পদে ছিলেন।

১৯৮০ খ্রিস্টাব্দের ১১ জানুয়ারি অরুণচন্দ্র দত্ত ৮৫ বৎসর বয়সে প্রয়াত হন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৪৭-৪৮, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
  2. "The Standard Bearer"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-১৪ 
  3. "Light to Superlight"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-১৪ 
  4. "প্রাচ্যের জাগরণ"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-১৫