কেকিল ওয়াইদিয়ারত্ন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জেনারেল

কেকিল ওয়াইদিয়ারত্ন

ভিএসভি, উইএসপি
জন্ম(১৯৩৮-০৬-১৬)১৬ জুন ১৯৩৮
শ্রীলঙ্কা
মৃত্যু১৮ ডিসেম্বর ২০০১(2001-12-18) (বয়স ৬৩)
ভারত
আনুগত্যশ্রীলঙ্কা শ্রীলঙ্কা
সেবা/শাখা শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনী
কার্যকাল১৯৫৮-১৯৯৪
পদমর্যাদাজেনারেল
ইউনিটশ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনী সাঁজোয়া শাখা
নেতৃত্বসমূহশ্রীলঙ্কার সেনা কমান্ডার
যুদ্ধ/সংগ্রামসাম্যবাদী সশস্ত্র বিদ্রোহ বিরোধী সেনা অভিযান
শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধ
পুরস্কারবিশিষ্ট সেবা পদক
উত্তম সেবা পদক
অন্য কাজথাইল্যান্ডে নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূত

কেকিল ওয়াইদিয়ারত্ন শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনীর একজন জেনারেল ছিলেন। শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনী সাঁজোয়া শাখার একজন কর্মকর্তা হিসেবে কেকিল শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনীর ১২তম কমান্ডার ছিলেন।[১][২] অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া রেজিমেন্ট থেকে এই কেকিলই সর্বপ্রথম শীর্ষ জেনারেল পদবীপ্রাপ্ত।[৩] জেনারেল কেকিল ২০০১ সালে অসুস্থ অবস্থায় ভারতে মারা যান। সেনাবাহিনী থেকে ১৯৯৪ সালে অবসরের পর কেকিল থাইল্যান্ডে নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন।

সামরিক কর্মজীবন[সম্পাদনা]

পূর্ব জীবন[সম্পাদনা]

১৯৫৯ সালের ২৬ জুন কেকিল সেনাবাহিনীতে ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন, তিনি ব্রিটেনের রয়্যাল মিলিটারি একাডেমী স্যান্ডহার্স্ট থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হন। ১৯৬১ সালের ২৮ জুলাই তিনি সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসেবে 'সিলন আর্মার্ড কোর'-এর ১ম রকনিসান্স রেজিমেন্টে কমিশন পান। তিনি ১৯৭১ সালের সাম্যবাদী রাজনৈতিক দল জেভিপির সশস্ত্র বিদ্রোহের সময় শ্রীলঙ্কার সেনা অভিযানে ১ম রিকনিসান্স রেজিমেন্টে কর্মরত ছিলেন; ১৯৭৩ সালে তিনি ভারতের ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজে কোর্স করতে যান।

ফিল্ড কমান্ড[সম্পাদনা]

১৯৮০ সালের ১ জানুয়ারী লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে তিনি শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনীর ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার্স কোরে কমান্ডিং কর্মকর্তা হিসেবে বদলী হন। ১৯৮১ সালের মার্চে তিনি সিনহা রেজিমেন্টের ১ম ব্যাটেলিয়নের কমান্ডিং কর্মকর্তার নিয়োগ পান। ১৯৮২ সালের জুলাই ১৯৮৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত তিনি ১ম রিকনিসান্স রেজিমেন্ট, শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনী সাঁজোয়া শাখার অধিনায়কের দায়িত্ব পান। এরপর তিনি 'রজরত রাইফেলস'-এ বদলী হন।

উচ্চতর নেতৃত্ব[সম্পাদনা]

১৯৮৫ সালে তিনি নর্দার্ন এরিয়ার কমান্ডার হন এবং পরে সাউদার্ন এরিয়ার কমান্ডার নিযুক্ত করা হয় তাকে; এরপর ১ ডিভিশনের অধিনায়ক হন। ১৯৮৮ সালে তিনি ভারতে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে পড়তে যান। ১৯৮৯ সালে তিনি মেজর জেনারেল হন এবং সেনাবাহিনীর চীফ অব স্টাফ হন। ১৯৮৯ সালের আগস্ট মাসে তিনি 'অপারেশন কম্বাইন'-এর কমান্ডার নিযুক্ত হন এবং এই অপারেশন ছিলো কলম্বো শহরের নিরাপত্তা নিয়ে যখন শ্রীলঙ্কায় ১৯৮৯ সালে সাম্যবাদী রাজনৈতিক দল 'জেভিপি'-এর বিদ্রোহ চলছিলো।

সেনাবাহিনী কমান্ডার[সম্পাদনা]

১৯৯১ সালের ১৬ নভেম্বর তারিখে তিনি লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতি পেয়ে শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনীর কমান্ডার হন। ১৯৯৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর তিনি সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগ করেন সেনাবাহিনীর এলটিটিই বিরোধী যুদ্ধ 'ব্যাটল অব পুনেরিন'-এ সেনা সদস্যদের পরাজয়ের পর, তার স্থলাভিষিক্ত হন জি. এইচ. ডি সিলভা; কেকিলকে ১৯৯৪ সালের ১ জানুয়ারী জেনারেল পদে উন্নীত করা হয় এবং তিনি অবসরে যান।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Commandants"। ceylondatabase.net। ২২ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০১৪ 
  2. Proud soldier who proved himself a noble son of Lanka
  3. de Zoysa, Major Mahesh। "Appreciation General Cecil Waidyaratne"। Island। ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০২০