কুট্টি পদ্মিনী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কুট্টি পদ্মিনী
কুট্টি পদ্মিনী
জন্ম (1956-06-05) ৫ জুন ১৯৫৬ (বয়স ৬৭)
জাতীয়তাভারতীয়
পেশাঅভিনেত্রী, প্রযোজক, ব্যবসায়ী
কর্মজীবন১৯৫৯-বর্তমান
ওয়েবসাইটhttp://www.vaishnaves.com

কুট্টি পদ্মিনী (জন্ম: ৫ই জুন ১৯৫৬) হলেন দক্ষিণ ভারতের একজন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, যিনি মূলত কলিউডে কাজ করেন। তিনি ১৯৫৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত আম্বালা আনজুলাম নামক চলচ্চিত্রে একজন শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয় করার মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেছিলেন। তিনি তেলুগু, কন্নড়, মালায়ালাম এবং হিন্দি ভাষার বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।[১] কৈশোরে মাত্র ১৯ বছর বয়সে তিনি তামিল চলচ্চিত্র জগতে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। তিনি শিবাজি গণেশন, এম জি রামচন্দ্রন, জেমিনি গণেশন, জৈশঙ্কর, রজনীকান্ত এবং কামাল হাসানসহ তামিল চলচ্চিত্রের স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গের সাথে অভিনয় করেছেন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

কুট্টি পদ্মিনী নিজেকে একজন পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে প্রতিষ্ঠিত করার সময় পেনামানি আভাল কানমানি, আভাল আপ্পাদিথান, আভারগাল, সাকালাকালা সাম্মান্ধি-এর মতো জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি বৈষ্ণবী ফিল্মস এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের সাথে টেলিভিশন প্রযোজনার কাজের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন এবং ২০১৬ সালের টেলিভিশন ধারাবাহিক কৃষ্ণদাসী, রোমাপুরি পান্ডিয়ান এবং রামানুজার সহ বেশ কয়েকটি টেলিভিশন ধারাবাহিকের প্রযোজনার কাজ করেছেন।[২]

এছাড়াও কুট্টি পদ্মিনী নাদিগার সঙ্গম (দক্ষিণ ভারতীয় শিল্পী সমিতি)-এর একজন নির্বাহী সদস্য,[৩] ব্লু ওশান ফিল্মস অ্যান্ড টেলিভিশন একাডেমি-এর একজন পরিচালক,[৪] ক্রীড়া স্পোর্টস ফাউন্ডেশন-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ক্রীড়া কাপ (যেটি ক্রীড়া স্পোর্টস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গঠিত একটি কাপ, যা যুব ক্রীড়াবিদদের সহায়তা প্রদান করে) নামক প্রতিষ্ঠানের মালিক।[৫][৬] তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির তামিলনাড়ু রাজ্যের কার্যনির্বাহী কমিটির একজন সদস্য।[৭]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

কুট্টি পদ্মিনী ১৯৫৫ সালের ৫ই জুন তারিখে ভারতের তামিল নাড়ুর চেন্নাইয়ের একটি আইয়ঙ্গার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর বাবা শ্রীনীবাস চক্রবর্তী ভারতের মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ারের মহাব্যবস্থাপক থাকার পাশাপাশি একজন চলচ্চিত্র প্রযোজকও ছিলেন এবং তাঁর মা রাধা, সেই সময়ের খ্যাতিমান অভিনেত্রী ছিলেন। তাঁর মা জেন্টলম্যান, অগ্নি নাতচাথিরাম সহ বেশ কয়েকটি তামিল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। মাত্র ১৯ বছর বয়সে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশের কারণে কুট্টি পদ্মিনী যথাযথ স্কুল শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেননি। তিনি তাঁর শৈশবের বেশিরভাগ সময় অভিনয়ে ব্যয় করতেন এবং স্কুলের সময়টি পার হয়ে যেত, এটি তাঁর প্রাথমিক শিক্ষায় দারুণভাবে প্রভাব ফেলেছিল। তবে তিনি হিন্দি প্রচার সভার মাধ্যমে হিন্দি সাহিত্যে বিএ ডিগ্রি অর্জন করতে পেরেছিলেন।

পুরস্কার[সম্পাদনা]

তিনি তামিল নাড়ুর প্রথম শিশু শিল্পী হিসেবে কুজান্দাইয়ুম দেইভামুম নামক চলচ্চিত্রের জন্য সেরা শিশু শিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছিলেন। এই পুরস্কারটি অর্জনকারী প্রথম তামিল শিশু শিল্পী ছিলেন কামাল হাসান, যিনি কালাথুর কান্নাম্মা-এর জন্য এই পুরস্কারটি পেয়েছিলেন।[৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Kutty Padmini profile at jointscene.com" 
  2. "vaishnaves Media Works"www.vaishnaves.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৬-১৮ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "Executive Committee | Official Site of South Indian Artists Association, Nadigar Sangam, Tamil Nadigar Sangam"www.nadigarsangam.org (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-১২-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৬-১৯ 
  4. "Best Chennai Film Institute / Film School - BOFTA - Blue Ocean Film and Television Academy"Blue Ocean Film and Television Academy (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৬-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৬-১৯ 
  5. "Arena Sports"www.arenasports.co.in। ২০১৭-১২-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৬-১৯ 
  6. "Arena Sports"www.arenasports.co.in। ২০১৭-১২-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৬-১৯ 
  7. "பாரதிய ஜனதா கட்சி"bjptn.org (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৬-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৬-১৯ 
  8. "Directorate of Film Festival" (পিডিএফ)iffi.nic.in। ১৫ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৬-১৮ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]