মানেভঞ্জন, দার্জিলিং
মানেভঞ্জন মানে ভঞ্জ্যং মজুয়া | |
---|---|
পরিবহন কেন্দ্র গ্রামাঞ্চল | |
ডাকনাম: সিঙ্গলীলা পর্বতশ্রেণীর প্রবেশদ্বার | |
পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতে মানেভঞ্জনের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৬°৫৯′ উত্তর ৮৮°০৭′ পূর্ব / ২৬.৯৮° উত্তর ৮৮.১১° পূর্ব | |
রাষ্ট্র | ভারত |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
জেলা | দার্জিলিং |
আয়তন | |
• মোট | ২.০৯ বর্গকিমি (০.৮১ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ১,৯২৮ মিটার (৬,৩২৫ ফুট) |
জনসংখ্যা | |
• মোট | ১,১৬৪ |
• জনঘনত্ব | ৫৬০/বর্গকিমি (১,৪০০/বর্গমাইল) |
ভাষা | |
• দাপ্তরিক | বাংলা, নেপালি, ইংরাজী[১][২] |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
পিন | ৭৩৪২২১ |
টেলিফোন কোড | ০৩৫৪ |
নিকটবর্তী শহর | দার্জিলিং |
লোকসভা নির্বাচনকেন্দ্র | দার্জিলিং |
বিধানসভা নির্বাচনকেন্দ্র | দার্জিলিং |
ওয়েবসাইট | http://darjeeling.gov.in/ |
মানেভঞ্জন হলো মজুয়াগ্রামে অবস্থিত একটি পরিবহন কেন্দ্র। এটি পূর্ব ভারতে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জলপাইগুড়ি বিভাগের দার্জিলিং জেলার দার্জিলিং সদর মহকুমার দার্জিলিং পুলবাজার সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের অন্তর্গত একটি অঞ্চল। দার্জিলিং শহর থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরে সিঙ্গলীলা জাতীয় উদ্যানের প্রবেশদ্বারে গ্রামাঞ্চলটি অবস্থিত।[৩] স্থানীয়দের আয়ের মূল উৎস পর্যটন মূলত পর্বতারোহন করতে আসা বিদেশীদের উপর নির্ভরশীল। পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ সান্দাকফু তথা সিঙ্গলীলায় আরোহণের প্রথম শিবির এটি।[৪] ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দ থেকে সান্দাকফুতে যাওয়ার সমস্ত প্রয়োজনীয় বস্ত্র ও অন্যান্য দ্রব্য মানেভঞ্জনেই সহজলভ্য। এখান থেকে পার্বত্যস্থানগুলিতে চারঘণ্টার আদর্শ ভ্রমণের ব্যবস্থা রয়েছে। সমগ্র রাস্তাটি বোল্ডার পাথরের কারণে বেশ লম্ফমান।
মানেভঞ্জন ভারত-নেপাল সীমান্তে অবস্থিত। দুটি দেশ একটি সাঁকোর দ্বারা পৃৃথকীকৃত, একই সাঁকো সুকিয়াপোখরি থেকে দার্জিলিঙে যাতায়াতের পথ। মানেভঞ্জন এবং মজুয়া সংলগ্ন অন্যান্য গ্রামগুলিতে মোট ৫০০টি ঘর ও প্রায় ৬০০০ মানুষের বাস। সিঙ্গলীলা জাতীয় উদ্যানের নিকটস্থ 'বনগ্রাম' এবং সীমান্তে অবস্থানের কারণে নিরাপত্তায় পূর্ণ। বর্তমান নির্ধারিত সীমানাটি বনাঞ্চল ও তার বাস্তুতন্ত্রেরও রক্ষক।
মানেভঞ্জনে একটি পুরানো খেলার মাঠ সংস্কার করা হয়েছে যেখানে বেশ আড়ম্বরের সাথে প্রতিবছর ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিনে একটি ফুটবল প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়। ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে মানেভঞ্জন ফুটবল এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে একটি মিনি গোল্ড কাপ আয়োজন করা হয় যা সর্বসমর্থনে যথেষ্ট সাফল্য পায়।
মোটের ওপর মানেভঞ্জন ল্যান্ড রোভার ট্যাক্সি এসোসিয়ান হলো সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম ল্যান্ড রোভার ট্যাক্সির কার্যকারক। স্থানীয় অনেকে এটিকে শুধু দক্ষিণ এশিয়া নয় সমগ্র পৃৃৃথিবীর বৃহত্তম ল্যান্ড রোভার ট্যাক্সির কার্যকারক হিসাবে দাবী করে থাকেন। এই বিতর্ক ও বিবাদকে বাদ দিলেও এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে, এই দ্রুতগামী পাহাড় পরিবহন ব্যবস্থাটি দূরবর্তী স্থানে যাওয়ার জন্য একমাত্র ভরসাযোগ্য, কারণ সাধারণত এইসকল অঞ্চলে পরিবহন ব্যবস্থা ও রাস্তাঘাট প্রাকৃতিক কারণেই ততটা উন্নত নয়।
মানেভঞ্জনের চালিত ও নামকরা সিঙ্গলীলা ল্যান্ড রোভার এসোসিয়েশনটি[৫] স্থানীয় ৪৫টি সিরিজ ১ এর ল্যান্ড রোভার পরিচালনা করে আসছে। ব্যবহৃত এই সমস্ত ল্যান্ড রোভারই প্রায় অর্ধ-শতাব্দী পুরানো কিন্তু সবকটাই একদম নতুনের মতো দেখতে এবং তেমনই কর্মক্ষম। বাইরের দিকে চিহ্ন হিসাবে আগে সবুজ রঙের একটি ল্যান্ড রোভার গ্রীন ব্যাচ দেওয়া হত কিন্তু বর্তমানে এটি এলুমিনিয়াম তক্তায় ল্যান্ড রোভারের চিহ্নসহ তার নাম খোদিত থাকে। নিশ্চিতভাবে এই পরিচয় চিহ্নগুলিই অমসৃৃৃণ রাস্তা ও মেঘ ভেদ করে রাস্তার কুয়াশাচ্ছন্ন বাতাস কাটিয়ে এগিয়ে চলার প্রতীক।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Fact and Figures"। www.wb.gov.in। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৯।
- ↑ "52nd REPORT OF THE COMMISSIONER FOR LINGUISTIC MINORITIES IN INDIA" (পিডিএফ)। nclm.nic.in। Ministry of Minority Affairs। পৃষ্ঠা 85। ২৫ মে ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৯।
- ↑ https://www.darjeeling-tourism.com/darj_0000aa.htm
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১২ নভেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ https://www.google.com/search?client=ms-android-samsung-ga-rev1&q=SINGALILA+LAND+ROVER+OWNER%27S+WELFARE+ASSOCIATION+Mane+Bhanjang,+পশ্চিমবঙ্গ&ludocid=3947756577281906443&ibp=gwp;0,7&lsig=AB86z5VTCEWoMlXRbjeWSmtkS9Es&phdesc=tAHMGYrSZUk&sa=X&ved=2ahUKEwiKoPqBufTlAhUEiHAKHVIqDroQvS4wAHoECAoQEQ&biw=412&bih=756&dpr=2.63