বিষয়বস্তুতে চলুন

সান্দাকফু

স্থানাঙ্ক: ২৭°৬′২১″ উত্তর ৮৮°০′৬″ পূর্ব / ২৭.১০৫৮৩° উত্তর ৮৮.০০১৬৭° পূর্ব / 27.10583; 88.00167
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সান্দাকফু
পশ্চিমবঙ্গের সান্দাকফু থেকে দৃশ্য
সর্বোচ্চ বিন্দু
উচ্চতা৩,৬৬৫ মিটার (১২,০২৪ ফুট)
তালিকাভুক্তিসর্বোচ্চ শৃঙ্গ অনুযায়ী ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসমূহের তালিকা
স্থানাঙ্ক২৭°৬′২১″ উত্তর ৮৮°০′৬″ পূর্ব / ২৭.১০৫৮৩° উত্তর ৮৮.০০১৬৭° পূর্ব / 27.10583; 88.00167[]
ভূগোল
সান্দাকফু পশ্চিমবঙ্গ-এ অবস্থিত
সান্দাকফু
সান্দাকফু
সান্দাকফু শিখরের অবস্থান
অবস্থানদার্জিলিং জেলা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত/ইলাম জেলা, মেচি, নেপাল
মূল পরিসীমাসিঙ্গলীলা পর্বতশ্রেণী
টপো মানচিত্রগুগল টপোগ্রাফিক মানচিত্র[]
আরোহণ
সহজ পথহাইকিং বা গাড়িতে করে
সান্দাকফু ট্রেকের পথ মানচিত্র (স্কেল ছড়া)

সান্দাকফু বা সান্দাকপুর (৩,৬৬৫ মি; ১১,৯৩০   ফুট) নেপালের ইলাম জেলা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ। এটি পশ্চিমবঙ্গ- নেপাল সীমান্তের দার্জিলিং জেলার সিঙ্গালিলা পর্বতের সর্বোচ্চ শিখর। শিখরটি সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যানের কিনারায় অবস্থিত এবং শীর্ষে কয়েকটি হোটেল সহ সামিটের একটি ছোট্ট গ্রাম রয়েছে। বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি পর্বতের চারটি এভারেস্ট, কাঞ্চনজঙ্ঘা, লোৎসে এবং মাকালুকে এর শীর্ষ থেকে দেখা যায়। এটি পুরো কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের একটি প্রাথমিক দৃষ্টিভঙ্গি সরবরাহ করে।

ট্রেকিং

[সম্পাদনা]

সিঙ্গালিলা শৈলশিরা বরাবর সান্দাকফু এবং ফালুট পর্যন্ত ট্রেকটি পূর্ব হিমালয়ের অন্যতম জনপ্রিয়, কেবল কাঞ্চনজঙ্ঘা এবং এভারেস্ট পর্বতমালার বিস্ময়কর দৃশ্যই নয়, এর মৌসুমী বন্যফুল এবং পাখি দেখার সুযোগের কারণেও। দার্জিলিং থেকে ২৮ কিলোমিটার (সড়কপথে প্রায় ১ ঘন্টা) দূরে মানেভঞ্জন থেকে ট্রেক শুরু হয়।

আরোহণ

[সম্পাদনা]

সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যানের অভ্যন্তরে ট্রেকিংয়ের রুটের চারটি পর্যায় রয়েছে।

(১) মানেভঞ্জন (৭০৫৩ ফুট) থেকে মেঘমা (৮৫৩০ ফুট) – ৪ ঘণ্টার ট্রেকিং। পথ গিয়েছে ছবির মতো গ্রাম চিত্রে হয়ে। সময় ও পরিস্থিতি বুঝে অনেক সময়ে চিত্রে থেকেও ট্রেক শুরু করা যায়।

(২) মেঘমা থেকে গৈরিবাস (৮৫৯৯ ফুট) –ট্রেকিংয়ের এই পথ গিয়েছে টংলু (১০০৭২ ফুট) ও টুমলিং (৯৫১৪ ফুট) হয়ে। সাম্প্রতিক ২০২৪ সাল নাগাদ গৈরীবাঁস অব্দি রাস্তা মোটর পরিবহনযোগ্য। []অনেকে শিলিগুড়ি থেকে সরাসরি গাড়িতে ধোতরে হয়ে টংলু বা টুমলিং এসে সেখান থেকে ট্রেকিং শুরু করেন। সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যানের সীমানাটি এই পথের ধারেই। টুমলিং-এ জাতীয় উদ্যানের একটি চেকপোস্ট আছে।

(৩) গৈরিবাস থেকে সান্দাকফু – ৪ ঘণ্টার টানা খাড়াই পথ ধরে পৌঁছতে হয় সান্দাকফুতে। পথে পড়ে কালা পোখরি গ্রাম।

(৪) সান্দাকফু-ফালুট (১১৮১১ ফুট) – ট্রেকিং পথে সব চেয়ে আকর্ষণীয় অংশ এটি। ২১ কিমি পথে সব সময়ের সঙ্গী এভারেস্ট আর কাঞ্চনজঙ্ঘা। এই পথে অবশ্য জল-খাবার পাওয়া যায় না। নিজেদের নিয়ে যেতে হয়। ইদানীং সবরকুম গ্রামে কিছু ব্যবস্থা হয়েছে। তবে তা অনিশ্চিত।

নেপাল

[সম্পাদনা]

সান্দাকফু শিখরের পশ্চিম অংশটি প্রদেশের নং -১ এর ইলম জেলার সান্দাকপুর গ্রামীণ পৌরসভায় (নং২ এবং ৪ নং ) অবস্থিত।

এই ট্রেকিং ইলাম বাজার থেকে মাইপোখারি, মাইমাঝুয়া, মাবু, কালা পোখরি, বিখে ভ্যঞ্জন্যাং হয়ে সন্দাকপুরে শেষ হয়। এছাড়াও ইলম বাজার থেকে সুলুবাং, যমুনা, হ্যাঙ্গহ্যাথ (স্পাইনি বাবলার, নীল তিতির প্রভৃতি পাখিদের জন্য বিশেষ), পাইপল, কালীপোখারী, বিখে ভানজ্যাং হয়ে সন্দাকপুরে শেষ হয়। এই ট্রেকিং রুটে যমুনা পর্বতারহীদের জন্য সবচেয়ে মূল্যবান। এই পথে ধাপ পোখারী, ছায়াতার (লাল পান্ডার জন্য পরিচিত) এর মতো অনেক সুন্দর জায়গা ছিল। সেখানে তিনটি জঙ্গল রয়েছে। জঙ্গলগুলি হল - ইলি সমুদয়িক বন, ছোয়াতার সমুদয়িক বন, হ্যাঙ্গেথাম সামুদয়িক বন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Sandakphu Top - Wikimapia
  2. Google topographic map
  3. "Sandakphu Trek: Scaling West Bengal's Highest Point"https://www.travelandleisureasia.com/in (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-১০-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-১২  |ওয়েবসাইট= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]