ডন ক্লেভার্লি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ডন ক্লেভার্লি
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামডোনাল্ড চার্লস ক্লেভার্লি
জন্ম(১৯০৯-১২-২৩)২৩ ডিসেম্বর ১৯০৯
ওয়ামারু, ওতাগো, নিউজিল্যান্ড
মৃত্যু১৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৪(2004-02-16) (বয়স ৯৪)
সাউথপোর্ট, কুইন্সল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২১)
২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৩২ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ টেস্ট২৯ মার্চ ১৯৪৬ বনাম অস্ট্রেলিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৩০
রানের সংখ্যা ১৯ ১৫৯
ব্যাটিং গড় ১৯.০০ ৫.২৯
১০০/৫০ ০/০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ১০* ১৬*
বল করেছে ২২২ ৬৮০৫
উইকেট - ৯৯
বোলিং গড় - ২৯.০৮
ইনিংসে ৫ উইকেট -
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং - ৮/৭৫
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/- ১৪/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৮ আগস্ট ২০১৯

ডোনাল্ড চার্লস ক্লেভার্লি (ইংরেজি: Don Cleverley; জন্ম: ২৩ ডিসেম্বর, ১৯০৯ - মৃত্যু: ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০০৪) ওতাগোর ওয়ামারু এলাকায় জন্মগ্রহণকারী নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১][২] নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩২ থেকে ১৯৪৬ সময়কালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে অকল্যান্ডসেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে বামহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করতেন ডন ক্লেভার্লি

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৩০-৩১ মৌসুম থেকে ১৯৫২-৫৩ মৌসুম পর্যন্ত ডন ক্লেভার্লির প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ২১ বছরের অধিক সময় অকল্যান্ডের পক্ষে ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৫২-৫৩ মৌসুমের শেষ সময়ে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের পক্ষে খেলেন। এছাড়াও, ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৬ সালে পিয়াকোর সদস্যরূপে সফররত এমসিসি দলের বিপক্ষে এবং ডিসেম্বর, ১৯৫২ সালে হক কাপে তারানাকির সদস্যরূপে নেলসনের বিপক্ষে খেলেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চৌদ্দ বছরে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ডন ক্লেভার্লি। তবে, কোন টেস্টেই উইকেট লাভে সক্ষমতা দেখাতে পারেননি। ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩২ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ২৯ মার্চ, ১৯৪৬ তারিখে ওয়েলিংটনে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

ফেব্রুয়ারি, ১৯৩২ সালে ক্রাইস্টচার্চে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের উদ্বোধনী টেস্টে অংশগ্রহণের গৌরব অর্জন করেন। ২২ ওভার বোলিং করে কোন সফলতা পাননি। ব্যাট হাতে নিয়ে অপরাজিত ১০ ও ৭ রান করেন। ঐ খেলায় তার দল ইনিংস ও ১২ রানে পরাজিত হয়েছিল।[৩]

মার্চ, ১৯৪৬ সালে ওয়েলিংটনের ব্যাসিন রিজার্ভে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রসিদ্ধ একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন। কার্লি পেজের নেতৃত্বাধীন দলটি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাদের উদ্বোধনী টেস্ট বৃষ্টিবিঘ্নিত হয়। প্রথম দিন সকালে মাত্র দুই ঘণ্টায় ৪২ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিক দল। পিচ শুকিয়ে গেলে দিন শেষে সফরকারীরা ১৪৯/৩ তুলে। এর পরদিন সকালে পিচে অনুপযোগী হয়ে পড়ে ও দ্রুত উইকেট হারায়। ১৯৯/৮ তুলে দলটি ইনিংস ঘোষণা করে। এরপর আরও দুই ঘণ্টায় নিউজিল্যান্ড দল ৫৪ রানে অল-আউট হয়। ফলশ্রুতিতে, ইনিংস ও ১০৩ রানে পরাজিত হয় তার দল।[৪] ডন ক্লেভার্লি ১৫ ওভার বোলিং করে উইকেট শূন্য অবস্থায় ছিলেন। তবে, উভয় ইনিংসেই তিনি এক রানে অপরাজিত ছিলেন। এ ধরনের বিপর্যস্ত ফলাফলের পর অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড দল ১৯৭৩ সালের পূর্ব-পর্যন্ত আর টেস্ট ক্রিকেটে মুখোমুখি হয়নি।[৫]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

৪৩ বছর বয়সে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটকে বিদায় জানান। ক্রিকেটের পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ে শৌখিন মুষ্টিযুদ্ধ চ্যাম্পিয়ন ছিলেন। ২০০৩ সালে এম. জে. গোপালনের মৃত্যুর পর তিনিই বয়োজ্যেষ্ঠ জীবিত টেস্ট ক্রিকেটারের সম্মাননা লাভ করেছিলেন। ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০০৪ তারিখে ৯৪ বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের সাউথপোর্ট এলাকায় ডন ক্লেভার্লির দেহাবসান ঘটে। তার মৃত্যুর পর সমসাময়িক এরিক টিন্ডিল এ সম্মাননায় অধিষ্ঠিত হন।[৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]


পূর্বসূরী
এম. জে. গোপালন
বয়োঃজ্যেষ্ঠ জীবিত টেস্ট ক্রিকেটার
২১ ডিসেম্বর, ২০০৩ - ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০০৪
উত্তরসূরী
এরিক টিন্ডিল