জিম ক্রিস্টি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জিম ক্রিস্টি
১৯৩৫ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে জিম ক্রিস্টি
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামজেমস আলেকজান্ডার যোসেফ ক্রিস্টি
জন্ম(১৯০৪-১২-১২)১২ ডিসেম্বর ১৯০৪
প্রিটোরিয়া, ট্রান্সভাল
মৃত্যু১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১(1971-02-01) (বয়স ৬৬)
ডারবান, নাটাল
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১২৪)
১৫ জুন ১৯২৯ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট৪ মার্চ ১৯৩২ বনাম নিউজিল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১০ ৬৫
রানের সংখ্যা ৬১৮ ৩৬৭০
ব্যাটিং গড় ৩৪.৩৩ ৩৭.০৭
১০০/৫০ ১/৫ ১১/১৫
সর্বোচ্চ রান ১০৩ ১৭৫
বল করেছে ১৩৮ ১৯৪৭
উইকেট ৩২
বোলিং গড় ৪৬.০০ ২৭.৯৩
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ১/১৫ ৪/১৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৩/- ৩৩/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৯ জুন ২০১৯

জেমস আলেকজান্ডার যোসেফ ক্রিস্টি (ইংরেজি: Jim Christy; জন্ম: ১২ ডিসেম্বর, ১৯০৪ - মৃত্যু: ১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭১) ট্রান্সভালের প্রিটোরিয়ায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯২৯ থেকে ১৯৩২ সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।[১]

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ট্রান্সভাল ও অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে কুইন্সল্যান্ড দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, দলের প্রয়োজনে ডানহাতি মিডিয়াম বোলিং করতেন জিম ক্রিস্টি

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

জেপি হাই স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। ১৯২৫-২৬ মৌসুম থেকে ১৯৩৫-৩৬ মৌসুম পর্যন্ত জিম ক্রিস্টির প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯২৫-২৬ মৌসুম থেকে ১৯২৯-৩০ মৌসুম পর্যন্ত ঘরোয়া ক্রিকেটে ট্রান্সভালের পক্ষে খেলতেন। এছাড়াও, অস্ট্রেলীয় ঘরোয়া ক্রিকেটে কুইন্সল্যান্ডের সাথে দুই মৌসুম পার করেন।[২]

১৯২৭-২৮ মৌসুমে সলসবারিতে ট্রান্সভালের সদস্যরূপে রোডেশিয়ার বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৭৫ রান তুলেন। এ ইনিংসটি উপর্যুপরী তিনটি সেঞ্চুরির একটি ছিল। এছাড়াও, ১৯৩৪-৩৫ মৌসুমে কুইন্সল্যান্ডের পক্ষে শেফিল্ড শিল্ডে ১২ খেলায় অংশ নেন। পরের মৌসুমেও দলটির পক্ষে খেলেছিলেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দশটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন জিম ক্রিস্টি। ১৫ জুন, ১৯২৯ তারিখে বার্মিংহামে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। ৪ মার্চ, ১৯৩২ তারিখে ওয়েলিংটনে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯২৯ সালে দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। সেখানেই তার টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। নটিংহ্যামশায়ারের বিপক্ষে ১৪৮ রান তোলার পর আঙ্গুলে ভীষণ চোট পান। ঐ সফরে তিনি আর মাত্র পাঁচটি খেলায় অংশ নিতে পেরেছিলেন। ১৯৩০ সালে লন্ডনে ব্যবসায়িক কর্মে নিযুক্ত ছিলেন। ফলে, ঐ শীতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টেস্টে অংশ নিতে পেরেছিলেন।

অস্ট্রেলিয়া গমন, ১৯৩১-৩২[সম্পাদনা]

এইচ. বি. ক্যামেরনের অধিনায়কত্বে ১৯৩১-৩২ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ১,১৭০ রান তুলে গড় রানের দিক দিয়ে শীর্ষস্থান দখল করেন। অস্ট্রেলিয়ায় পদার্পণ করেই ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১০২ রানের মনোরম ইনিংস খেলেন।

ঐ সফরে ফেব্রুয়ারি, ১৯৩২ সালে ক্রাইস্টচার্চের ল্যাঙ্কাস্টার পার্কে সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন।[৩] নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১০৩ রানের সেঞ্চুরি করেন। এটিই তার সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনের একমাত্র টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল। নিউজিল্যান্ড দল ব্যাট হাতে মাঠে নামে। দল ২৯৩ রানে অল-আউট হয়। তবে, ৬৪ রান সংগ্রহ করে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন টেড ব্যাডকক। এ রানের জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৫১ রান তুলে। সফরকারী দলের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তিনি ও ব্রুস মিচেল - উভয়েই সেঞ্চুরি হাঁকান। এ পর্যায়ে ব্রুস মিচেলের সাথে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে নামেন। দুই ঘণ্টায় তারা ১৯৬ রানের জুটি গড়েন। ১০ টেস্টে অংশ নিয়ে ৩৪.৩৩ গড়ে ৬১৬ রান তুলেছিলেন জিম ক্রিস্টি। লিন্ডসে ওয়েরের অপরাজিত ৭৪ রান সংগ্রহ করা স্বত্ত্বেও স্বাগতিক দল ইনিংস ও ১২ রানে পরাজয়বরণ করে। খেলায় দক্ষিণ আফ্রিকান বোলার কুইন্টিন ম্যাকমিলান প্রথম ইনিংসে ৪/৬১ বোলিং পরিসংখ্যানের সাথে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫/৬৬ লাভ করেছিলেন।

খেলার ধরন[সম্পাদনা]

ডানহাতি ব্যাটসম্যান জিম ক্রিস্টি প্রায়শঃই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামতেন। ডানহাতে মিডিয়াম-পেস বোলিংয়ে পারদর্শী হলেও খুব কমই বোলিং কর্মে অগ্রসর হতেন। দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সাথে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড গমন করেন। অভিষেক ঘটা প্রথম-শ্রেণীর খেলার দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন। দীর্ঘদেহের অধিকারী ছিলেন তিনি। মারকুটে ব্যাটসম্যান হিসেবে তার সুনাম ছিল। ফাস্ট বোলিংয়ের বিপক্ষেই তিনি অধিকতর স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন।

১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭১ তারিখে ৬৬ বছর বয়সে নাটালের ডারবানের হাসপাতালে আকস্মিকভাবে জিম ক্রিস্টির দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Jim Christy"। www.cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জানুয়ারি ২০১২ 
  2. "First-class Matches played by Jim Christy"। www.cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০১২ 
  3. Scorecard, First Test, New Zealand v South Africa, Lancaster Park, Christchurch, 1931/32

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]