মাইকেল জে. স্মিথ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মাইক স্মিথ
ক্রিকেট তথ্য
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনস্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা
রানের সংখ্যা ৭০
ব্যাটিং গড় ১৪.০০
১০০/৫০ -/-
সর্বোচ্চ রান ৩১
বল করেছে
উইকেট
বোলিং গড়
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং -/- ১/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৮ মার্চ ২০১৯

মাইকেল জন স্মিথ (ইংরেজি: Michael J. Smith; জন্ম: ৪ জানুয়ারি, ১৯৪২ - মৃত্যু: ১২ নভেম্বর, ২০০৪) মিডলসেক্সের এনফিল্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৪ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ড দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে মিডলসেক্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন। এছাড়াও, স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন মাইক স্মিথ নামে পরিচিত মাইকেল জে. স্মিথ

খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে মিডলসেক্সের পক্ষে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এ পর্যায়ে বিখ্যাত ইংরেজ ক্রিকেট তারকা মাইক ব্রিয়ারলির সাথে ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে প্রভূতঃ সফলতা পেয়েছিলেন। ১৯৫৯ থেকে ১৯৮০ সময়কাল পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সক্রিয় ছিলেন তিনি। এ সময়ে ৩১.৬৫ গড়ে ১৯,৮১৪ রান তুলেছিলেন। তন্মধ্যে, ৪০টি শতরানের ইনিংস খেলেন। ১৯৬৭ সালে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে ব্যক্তিগত ১৮১ রানের ইনিংস খেলেন। ডানহাতে সুন্দর ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি স্লো বামহাতি বোলিংয়ের সাহায্যে ৩২.৭৩ গড়ে ৫৭ উইকেট দখল করেছিলেন। মাঠে অবস্থান করে ২১৮টি ক্যাচও তালুবন্দী করেছেন।

কোন টেস্ট খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাননি মাইকেল স্মিথ। তবে, ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের পক্ষে পাঁচটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ ঘটেছিল তার।

খেলার ধরন[সম্পাদনা]

মাইক ব্রিয়ারলি তার ‘দি আর্ট অব ক্যাপ্টেনসি’ শীর্ষক গ্রন্থে মাইকেল স্মিথ প্রসঙ্গে সবিশেষ আলোকপাত করেছেন। ইনিংস খেলার প্রাক্কালে সাজঘরে শেষ-মুহুর্ত পর্যন্ত আয়নার সামনে ব্যাট হাতে নিয়ে অনুশীলন কর্ম চালিয়ে যেতেন। ছাদের দিকে তাকিয়ে মুখে বলকে কাল্পনিকভাবে আহ্বান করে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিমায় ব্যাট হাতে মোকাবেলায় অগ্রসর হতেন।

ক্রিজ থেকে ব্যাট বগলে পুরে নিয়ে চলে আসার সময় তাকে বলতে শোনা যেত, আপনি কখনো বোলারদেরকে বিশ্বাস করবেন না। প্রত্যেক বছরই তারা নিত্য-নতুন কৌশল উদ্ভাবন করছে ও কিছুর উন্নয়ন ঘটাচ্ছে।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর গ্রহণের পর ১৯৯৪ সালে মিডলসেক্সের পক্ষে স্কোরার হিসেবে নিযুক্ত হন। সর্বমোট ২২ মৌসুমে লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডের কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন।

এনফিল্ড গ্রামার স্কুলের ছাত্র ছিলেন মাইকেল স্মিথ। ব্যক্তিগত জীবনে দুইবার বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। তিন কন্যা - ডেবি, লিব্বি, এমা ও এক পুত্র - জোনাথনের জনক ছিলেন তিনি। ১২ নভেম্বর, ২০০৪ তারিখে মিডলসেক্সের এনফিল্ডে ৬২ বছর বয়সে মাইকেল স্মিথের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. [১] ESPNcricinfo, ESPN, সংগ্রহের তারিখ: ২১ নভেম্বর, ২০১৮

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]