ফ্রাঙ্ক ড্রুস
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | নরম্যান ফ্রাঙ্ক ড্রুস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ডেনমার্ক হিল, লন্ডন | ১ জানুয়ারি ১৮৭৫|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২৭ অক্টোবর ১৯৫৪ মিলফোর্ড-অন-সী, হ্যাম্পশায়ার | (বয়স ৭৯)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | এলিয়ট ড্রুস (কাকাতো ভাই) ওয়াল্টার ড্রুস (কাকাতো ভাই) জর্জ ড্রুস (কাকা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক | ১৩ ডিসেম্বর ১৮৯৭ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৮ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ২৭ জুন ২০১৮ |
নরম্যান ফ্রাঙ্ক ড্রুস (ইংরেজি: Frank Druce; জন্ম: ১ জানুয়ারি, ১৮৭৫ - মৃত্যু: ২৭ অক্টোবর, ১৯৫৪) লন্ডনের ডেনমার্ক হিলে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ১৮৯৭ থেকে ১৮৯৮ সময়কালে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন ফ্রাঙ্ক ড্রুস। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সারে দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন।
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]ফ্রাঙ্ক ড্রুস লন্ডনের ডেনমার্ক হিলে ওয়াল্টার উইলিয়াম ড্রুসের সন্তানরূপে জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৯১ থেকে ১৮৯৩ সময়কালে মার্লবোরা কলেজে অধ্যয়নকালীন ক্রিকেটের দিকে ঝুঁকে পড়েন। তন্মধ্যে, শেষ মৌসুমে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এরপর ১৮৯৩ সালে কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে স্থানান্তরিত হন।[১]
খুব স্বল্পসংখ্যক টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে কোন এক অক্সব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিজ গুণে অংশ নিতে পেরেছেন।
তার কাকাতো ভাই এলিয়ট ড্রুস ও ওয়াল্টার ড্রুস এবং কাকা জর্জ ড্রুস প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ
[সম্পাদনা]১৮৯৪ সালে কেমব্রিজ দলের পক্ষে খুব কমই সফলতা পান। তবে, ১৮৯৫ সালে খুবই শুষ্ক আবহাওয়ায় ব্যাটিং অনুপযোগী পিচে বেশ সাফল্য লাভ করেন। ১৭ ইনিংসে ৫৬ গড়ে ৭৮৬ রান তুলেন। জুলাইয়ে লর্ডসে জেন্টলম্যানের সদস্যরূপে প্লেয়ার্সের বিপক্ষে বোলিং উপযোগী পিচে টম রিচার্ডসন, আর্থার মোল্ড ও ববি পিলের ন্যায় খ্যাতিমান বোলারদের মোকাবেলা করে ৫০ রান তুলে নেন। কিন্তু, ঐ বছরের জুলাই ও আগস্টে সারে দলের পক্ষে তার ভূমিকা বেশ হতাশাব্যঞ্জক ছিল। সাত খেলায় অংশ নিয়ে দশ ইনিংসে মাত্র ১১১ রান তুলতে পেরেছিলেন।
সারে দলের পক্ষে ১৮৯৫ ও ১৮৯৭ সালে স্বল্পসংখ্যক খেলায় অংশগ্রহণের সৌভাগ্য হয় তার। ঐ সময় দলটি কাউন্টি ক্রিকেটে শক্তিশালী দল হিসেবে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছিল। কিন্তু, তার ক্রীড়াশৈলী মাঝারিমানের হওয়ায় দলে স্থান করে নিতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিল।
১৮৯৬ সালে কেমব্রিজের পক্ষে বেশ ভালো খেলা উপহার দেন। ১৮৯৫ সালের তুলনায় আরও শুষ্ক আবহাওয়া স্বত্ত্বেও সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌসুম শেষ হবার পর সারে দলের পক্ষে তাকে খেলতে দেখা যায়নি। কিন্তু, ১৮৯৭ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনায়ক থাকা অবস্থায় ১৮৯৫ সালের সাফল্যকে ছাপিয়ে যান। ইনিংস প্রতি গড়ে ৬৬ রান তুলতে পেরেছিলেন। তাস্বত্ত্বেও, ঐ বছরের শেষদিকে আবারও নিরাশ করেন তিনি। তবে, উইজডেনের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে তার ক্রীড়া নৈপুণ্য বেশ ভালো ছিল। ফলশ্রুতিতে, ১৮৯৮ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে তাকে মনোনীত করা হয়। এরপর তিনি অস্ট্রেলিয়া সফরে যান।
টেস্ট ক্রিকেট
[সম্পাদনা]১৩ ডিসেম্বর, ১৮৯৭ তারিখে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে তার। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ হয় তার। ইংল্যান্ড দলে রিচার্ডসন ও ব্রিগসের ন্যায় প্রতিভাধর বোলারসমৃদ্ধ থাকলেও তারা তখন ছন্দপতনের দিকে ছিলেন। ঐ তুলনায় ড্রুস তেমন মন্দ খেলেননি। পাঁচ টেস্টে অংশ নিয়ে ২৮ গড়ে রান তুলেছিলেন।
অবসর
[সম্পাদনা]একসময় গুজব রটে যে, ১৮৯৮ সালে কেন্টের পক্ষে হয়তোবা তাকে খেলতে দেখা যাবে। তবে, ঐ বছর উইজডেন মন্তব্য করে যে, খুব কম ব্যক্তিই তাকে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে দেখতে চাইবেন। কিন্তু, ব্যবসায়ের দিকে ধাবিত হওয়ায় কাউন্টি ক্রিকেটে তাকে সর্বদা দেখা যায়নি। তারপরও তিনি আরও দুইটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। ১৯০২ সালে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) ও এইচ.ডি.জি. লেভেসন গাওয়ার একাদশের পক্ষে খেলেন। ১৯০৯ সালে অ্যাশেজ সফরের মাধ্যমে তার ক্রিকেট জীবনের সমাপ্তি ঘটে।
১৯১২ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে ফ্রি ফরেস্টার্সের সদস্যরূপে ১৫২ রানের ইনিংসটি সকলের নজর কাড়ে। ধারণা করা হয়েছিল যে, তিনি হয়তোবা খেলার জগতে মাঝে-মধ্যে ফিরে আসবেন।
মূল্যায়ন
[সম্পাদনা]ফ্রাঙ্ক ড্রুস রান তোলার চেয়ে বল আটকাতেই বেশি পছন্দ করতেন। মূলতঃ লেগ অঞ্চল দিয়েই রান তুলতে সচেষ্ট থাকতেন। তার সেরা দিনগুলোয় পোতানো উইকেটে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানদের সমতুল্য না হলেও আগস্ট, ১৮৯৫ সালে নিঃসন্দেহে সেরা ছিলেন।
২৭ অক্টোবর, ১৯৫৪ তারিখে ৭৯ বছর বয়সে হ্যাম্পশায়ারের মিলফোর্ড-অন-সী এলাকায় তার জীবনাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Druce, Norman Frank (DR893NF)"। A Cambridge Alumni Database। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ফ্রাঙ্ক ড্রুস (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ফ্রাঙ্ক ড্রুস (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
- ১৮৭৫-এ জন্ম
- ১৯৫৪-এ মৃত্যু
- ইংরেজ ক্রিকেটার
- ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেটার
- উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার
- কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিকেটার
- জেন্টলম্যানের ক্রিকেটার
- ট্রিনিটি কলেজ, কেমব্রিজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- নর্থ ভার্সাস সাউথের ক্রিকেটার
- ফ্রি ফরেস্টার্সের ক্রিকেটার
- মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের ক্রিকেটার
- সারের ক্রিকেটার
- এইচ. ডি. জি. লেভেসন গাওয়ার একাদশের ক্রিকেটার
- এ. ই. স্টডার্ট একাদশের ক্রিকেটার