ভবের হাট
ভবের হাট | |
---|---|
ধরন | হাস্যরসাত্মক |
নির্মাতা | সালাউদ্দিন লাভলু |
লেখক | মাসুম রেজা |
অভিনয়ে | |
মূল দেশ | বাংলাদেশ |
মূল ভাষা | বাংলা |
পর্বের সংখ্যা | ১০৬ পর্ব |
নির্মাণ | |
প্রযোজক | সালাউদ্দিন লাভলু |
নির্মাণের স্থান | ঢাকা, গাজীপুর |
ব্যাপ্তিকাল | ২৯-৩০ মিনিট |
মুক্তি | |
মূল নেটওয়ার্ক | চ্যানেল আই |
মূল মুক্তির তারিখ | জুন ২৯, ২০০৬ |
ভবের হাট হল মাসুম রেজার রচিত এবং সালাউদ্দিন লাভলুর পরিচালিত একটি বাংলাদেশী টিভি ধারাবাহিক। এটি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল চ্যানেল আই-এ ২০০৬ সালে প্রচারিত হয়। ধারাবাহিকটিতে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি, এটিএম শামসুজ্জামান, চঞ্চল চৌধুরী, মোশাররফ করিম সহ অনেকে।[১]
কাহিনী
[সম্পাদনা]ভবের হাটটি ভবদিয়া গ্রামের এক গল্প নিয়ে। নাটকটিতে হারেম খা এবং মারেম খা নামে দুই ভাইয়ের গল্প দেখানো হয়, যারা একটি তুচ্ছ ঘটনার জন্য ২০ বছর ধরে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে রেখেছে। এই দুই ভাই ২০ বছর ধরে একে অপরের সাথে কথা বলেননি বা মুখ দেখেননি এবং এর পরিবর্তে তারা দুজনেই একে অপরের সাথে কথা বলার জন্য তাদের নিজস্ব চাকর ব্যবহার করে। (নাটা মারেম খার চাকর এবং আদিদলুদ্দীন হারেম খার চাকর।)
হারেম খা (ছোট ভাই) এবং তাঁর স্ত্রী অঙ্গুরির দুই মেয়ে রয়েছে, গয়না এবং আয়না। গয়না এবং আয়না দু'জনই কলেজ ছাত্রী। বড় বোন গয়না পর পর দুই বছর তার চূড়ান্ত পরীক্ষায় ফেল করেছে। গয়নাকে আবার ফেল করা থেকে বাঁচতে, হারেম খা তার আত্মীয় ( ভাগিনা) ফিজাকে তার দুই মেয়ে ও পাশাপাশি খুশবুকেও পড়াশোনা করার জন্য নিয়োগ দেয়। চ্যাম্পিয়ন টিউটর হিসেবে ফিজা পুরো গ্রামে ব্যাপকভাবে পরিচিত। পড়ানোর সময় ফিজা গয়নার গভীর প্রেমে পড়ে, তবে তৃতীয় ছাত্রী খুশবু খুব গোপনে ফিজার প্রেমে পড়ে যায়।
মারেম খা (বড় ভাই) এর দুটি ছেলে আছে। এদের নাম ভাসান খা ও আশান খা। মারেম খা বিবাহিত ছিলেন, তবে তাঁর দুই ছেলে যখন ছোট ছিল তখন তাঁর স্ত্রী মারা যায়। ভাসান খা দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় ভাই এবং ভবদিয়ার একমাত্র ব্যক্তি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছে। রুমালি হলেন মারেম খা এবং হারেম খায়ের ছোট বোন, তবে তিনি মারেমে খায়ের বাড়িতে থাকেন। রুমালির স্বামী রুমালীকে ছেড়ে চলে যায় এবং কখনই ফিরে আসেনি। কিন্তু রুমালী সহজে তার স্বামীকে ভুলে যায় না এবং তিনি প্রায়শই লক্ষ্যহীনভাবে তাকে খুঁজতে বেরিয়ে পড়ে।
তবে দুই ভাই বংশধরার পারিবারিক পুনর্মিলনের জন্য চেষ্টা করে এবং ভাসান খা বড় বোন গয়নার প্রেমে পড়ে যায় এবং আশান খা ছোট বোন আয়নার প্রেমে পড়ে যায়। হারেম খা এবং মারেম খা জানতে পারে যে তাদের সন্তানদের মধ্যে কিছু ঘটছে এবং উভয়ই একে অপরের ছেলে-মেয়েদের হুমকি, নিয়ম এবং এমনকি গুপ্তচরবৃত্তি ব্যবহার করে বিভক্ত করতে দৃড় প্রতিজ্ঞ।
এই গল্পে আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ বাড়ি রয়েছে, যা হল কোচার মামার বাড়ি এবং কারবালা কাকার বাড়ি। অত্যন্ত সম্মানিত কোচার মামা স্থানীয় ফুটবল কোচ এবং একবার দুই ভাই মারেম খা এবং হারেম খাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। কোচার মামা তার বড় পুত্র তোফা, তার ছোট মেয়ে খুশবু এবং তার শ্যালক শাদা মিয়াকে সাথে নিয়ে থাকেন। কোচার মামাও বিবাহিত ছিলেন তবে খুশবুকে জন্ম দেওয়ার সময় তাঁর স্ত্রী মারা যান। তোফা এর এই নাটকের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। তিনি একজন সংগীত শিক্ষক এবং তিনি কেবল নারীদেরই শিক্ষা দেন। ফিজাকে অনুসরণ করে তোফা গয়নার ছোট বোন আয়নার প্রেমে পড়ে। তবে এখানেও একটি প্রেমের ত্রিভুজ গড়ে উঠে। কারবালা কাকার কন্যা নকশী তোফাকে গভীরভাবে ভালবাসে।
কারবালা কাকার বাড়িতে তাঁর বোন গোলজান, তাঁর দুটি ছোট সন্তান, দোলা এবং কালা এবং তাঁর বড় মেয়ে নকশীও বাস করে। নকশী একই গয়ে কলেজে পড়াশুনা করে। কারবালা কাকার স্ত্রী মারা গিয়েছে বহু বছর আগে।
গল্পটি ধীরে ধীরে এগিয়ে যায় তবে একজন লোক গল্পটিকে বাধা দেয় এবং এটিকে পুরো উল্টে দেয়। গল্পের মধ্যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ নতুন চরিত্র প্রবেশ করায় তারা হলেন ধবলা এবং "জোতিশ" বাবা হুজুর। ধবলা একটি মিষ্টি অল্প বয়সী মেয়ে যে তার কাছের বন্ধু মহেলার সাথে পার্শ্ববর্তী গ্রামে বাস করে। সে একজন শিক্ষার্থী এবং সে তার চূড়ান্ত পরীক্ষার (বিএ) জন্য পড়াশোনা করে। ফিজা গ্রামের একমাত্র গৃহশিক্ষক, তাই সে ধবলাকে পড়ানোর আবেদন মেনে নেয়। গ্রামের অনেক মেয়ের মতোই, ধবলা ফিজার প্রেমে পড়ে, ফলে ফিজার আরও বেশি টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়।
ধবলার ক্যাসেট অপারেটর মিস মাহেলার সাথে হারেম খা ও মারেম খার দুই চাকর আদিলুদি ও নাটার মধ্যে ত্রিকোণ প্রেম হতে দেখা যায়।।
"জোতিশ" ভাগ্যপরীক্ষক হিসাবে পরিচিত। তাঁর কাছে সূর্য ও চাঁদকে নিয়ন্ত্রণ করার অতিপ্রাকৃত শক্তি রয়েছে বলে মনে করা হয় যা তাঁকে ভবদিয়ার মানুষের হৃদয় অর্জনে সহায়তা করে। তবে জোতিশ বাবা কী ধরনের মন্দ পরিকল্পনা করছে তা নিয়ে ভোবাদিয়ার লোকেরা অসচেতন।
শেষে রুমালির স্বামী আহাদ মৃধা এসে জোতিশ বাবার আসল পরিচয় গ্রামের সবার সামনে প্রমাণ সহ তুলে ধরে।
অভিনয়ে
[সম্পাদনা]- হুমায়ুন ফরীদি - হারেম খা হিসাবে
- এ টি এম শামসুজ্জামান - মারেম খা হিসাবে
- ওয়াহিদা মল্লিক জলি - আঙ্গুরি হিসাবে,হারেম খায়েরস্ত্রী
- পারভীন সুলতানা দিতি - রুমালি হিসাবে, হরেম খা ও মারেমে খাইয়ের বোন
- আলীরাজ - আহাদ মৃধাহিসেবে
- মোশাররফ করিম - ভাসান খা হিসাবে
- বন্যা মির্জা - গয়না পারভিন হিসেবে
- শামীম হাসান - আশান খা হিসেবে
- সাজ্জাদ রেজা - আশান খা (ভূমিকা) হিসেবে
- ববি - আইনা পারভিন হিসেবে
- সালাউদ্দিন লাভলু - তোফা শেখ হিসাবে
- ফারজানা ছবি - নকশি হিসেবে
- ফজলুর রহমান বাবু - শাদা মিয়া হিসাবে
- তানিয়া আহমেদ - গোলেজান হিসেবে
- চঞ্চল চৌধুরী - ফিজা হিসাবে
- রাশেদা চৌধুরী - মুন্তাহা হিসাবে
- মিতা নূর - ধবলা হিসাবে
- প্রাণ রায় - নজর আলী হিসেবে
- ডাঃ এজাজুল ইসলাম - "জ্যোতিশ হুলেমান বোকস" বাবা হুজুর "নছিয়ত বিশ্বাস" হিসাবে
- রহমত আলী - মোফা কোচার বা গুরুজি হিসাবে
- হোসনে আরা পুতুল - খুশবু হিসাবে
- আহসানুল হক মিনু - কারবালা লাঠিয়াল হিসাবে
- আ খ ম হাসান - আদিলুদিন হিসেবে
- শামীম জামান - নাটা হিসেবে
- শামীমা ইসলাম তুষ্টি - মিস মাহেলা হিসেবে
- মানশি শাহ - মিস রাহেলা হিসেবে
- নাহিদ - কালা হিসাবে
- নুরুননবি - ধোলা হিসাবে
চিত্র ধারণের স্থান
[সম্পাদনা]ধারাবাহিকের চিত্রসমূহ ধারণ করা হয়েছে গাজীপুরের হোতাপাড়া গ্রামের খতিব খামার বাড়িতে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Channel i - Watch Bhober haat on Channel i Online with JumpTV"। My.opera.com। ২০০৭-০৪-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১২-১৯।