অক্ষোভ্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অক্ষোভ্য
'ধ্যানী বুদ্ধ অক্ষোভ্য, তিব্বতী থাংকা, ত্রয়োদশ শতাব্দী
চীনা নাম
ঐতিহ্যবাহী চীনা 阿閦如來
সরলীকৃত চীনা 阿閦如来
তিব্বতি নাম
তিব্বতি མི་བསྐྱོད་པ་
মঙ্গোলীয় নাম
মঙ্গোলীয় সিরিলিকХөдөлшгүй
মঙ্গোলীয় লিপি ᠬᠥᠳᠡᠯᠦᠰᠢ ᠦᠭᠡᠢ
জাপানি নাম
কাঞ্জি 阿閦如来
san নাম
sanअक्षोभ्य

অক্ষোভ্য (সংস্কৃত: अक्षोभ्य, তিব্বতি: མི་བསྐྱོད་པ་ওয়াইলি: mi bskyod pa, সরলীকৃত চীনা: 阿閦如来; পিনয়িন: Āchùrúlái; জাপানি: 阿閦如来) বজ্রযান বৌদ্ধ ধর্মমতে পাঁচ ধ্যানী বুদ্ধের একজন। বৌদ্ধ কিংবদন্তি অনুসারে তিনি বজ্রধাতু নামক আধ্যাত্মিক স্থানের পূর্বদিকে অভিরতি নামক পবিত্র স্থানের অধিষ্ঠাতা দেবতা।

উৎপত্তি[সম্পাদনা]

অক্ষোভ্য

১৪৭ খ্রিষ্টাব্দে রচিত অক্ষোভ্য তথাগতস্য ব্যূহ সূত্র (চীনা: 阿閦佛國経; ফিনিন: Āchùfó Guó Jīng) গ্রন্থে অক্ষোভ্যের বর্ণনা পাওয়া যায়। এই গ্রন্থানুসারে এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী অভিরতি নামক পবিত্র স্থানে ধর্মলাভের উদ্দেশ্যে শপথ করেন যে তিনি বুদ্ধত্ব লাভ না করা পর্যন্ত কোন জীবের প্রতি ক্রোধ প্রকাশ করবেন না। এইকারণে তিনি স্থির থেকে একসময় অক্ষোভ্য বুদ্ধে পরিণত হন।

সাম্প্রতিককালে পাকিস্তান থেকে গান্ধারী ভাষায় রচিত কিছু পুঁথিতে এক প্রাচিন মহাযান সূত্রে অক্ষোভ্যের উল্লেখ পাওয়া যায়। এই পুঁথি প্রথম বা দ্বিতীয় শতাব্দীর সময়ের বলে ধারণা করা হয়।

প্রতীকি[সম্পাদনা]

অক্ষোভ্য পঞ্চজ্ঞানের একতি আদর্শ জ্ঞানের প্রতিমূর্তি। তিনি জল উপাদানের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বজ্র পরিবারের অন্তর্গত হওয়ায় তার শরীরের রঙ নীল ও সাদা। জলে প্রতিফলিত সূর্যালোকের উজ্জ্বলতাকে বোঝাতে সাদা রঙ এবং মহাসমুদ্রের গভীরতাকে বোঝাতে নীল রঙের প্রতীকি দেওয়া হয়েছে। জলের গুণের মতো অক্ষোভ্য বুদ্ধের গুণগুলির তুলনা করা হয়েছে। মহাসমুদ্রের উপরিভাগে উত্তাল ঢেউ থাকলেও তলদেশ যেরকম শান্ত থাকে, বহমান জল যেরকম কঠিন প্রস্তরখন্ডের মধ্যে দিয়ে নীরবে চলে যায় এবং জমে যাওয়া জল যেরকম কঠিন, তীক্ষ্ণ এবং তরল অবস্থায় যেকোন স্থানে মানিয়ে নিতে পারে, অক্ষোভ্য বুদ্ধের গুণগুলি সেইরকম।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  • Jordan, Michael, Encyclopedia of Gods, New York, Facts On File, Inc. 1993, pp. 9–10
  • Nattier, Jan. "The Realm of Aksobhya: A Missing Piece in the History of Pure Land Buddhism." Journal of the International Association of Buddhist Studies. 23, no. 1 (2000): 71–102.
  • Strauch, Ingo (2007-08)। "The Bajaur collection: A new collection of Kharoṣṭhī manuscripts. A preliminary catalogue and survey (in progress)" (পিডিএফ)। ৩ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৩  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  • Strauch, Ingo. 2010. "More missing pieces of Early Pure Land Buddhism: New evidence for Akṣobhya and Abhirati in an early Mahāyāna sūtra from Gandhāra." Eastern Buddhist (forthcoming).
  • Vessantara, Meeting the Buddhas, Windhorse Publications 2003, chapter 9

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]