হরিণা পাশদল বাড়
এই নিবন্ধটির রচনা সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। কারণ ব্যাকরণ, রচনাশৈলী, বানান বা বর্ণনাভঙ্গিগত সমস্যা রয়েছে। (জুন ২০২২) |
হরিণা পাশদল বাড় | |
---|---|
Harina Pashdal Bar | |
Location in West Bengal, India | |
স্থানাঙ্ক: ২১°৫৪′০৮″ উত্তর ৮৭°৪২′২২″ পূর্ব / ২১.৯০২১° উত্তর ৮৭.৭০৬২° পূর্ব | |
দেশ | ভারত
সঙ্গীত: জনগণমনঅধিনায়ক জয় হে |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
জেলা | পূর্ব মেদিনীপুর |
ব্লক | কাঁথি ৩নং |
অঞ্চল | ভাজাচাউলী |
পিনকোড | ৭২১৪৪৪ |
জনসংখ্যা আদমশুমারী অনুসারে হরিণা পশদাল বাড়ের ২০১১ সালে মোট জনসংখ্যা | |
• মোট | ১,৩৫১ |
• | পুরুষ |
মোট জনসংখ্যায় পুরুষ হল | |
• পুরুষ | ৬৮৭ |
মোট জনসংখ্যায় মহিলা হল | |
• মহিলা | ৬৬৪ |
সময় অঞ্চল | GMT+5:30 |
পূজো | কালী লক্ষ্মী শীতলা চণ্ডী মহরম মনসা গণেশ সরস্বতী |
ভাষা | বাংলা ইংরেজি হিন্দি উর্দু |
হরিণা পাশদল বাড় (Harina Pashdal Bar) ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি ৩নং ব্লক-এ অবস্থিত ।
মন্দির[সম্পাদনা]
হরিণা শীতলা মন্দির :-[সম্পাদনা]
এটি একটি আন্ডার গ্রাউন্ড পাকা মন্দির যেটা পশ্চিম হরিণা জুনিয়র হাইস্কুল বা পশ্চিম হরিণা খেলার মাঠে প্রায় পশ্চিম-উত্তর দিকে অবস্থিত।
হরিণা সারদা গ্রন্থাগারের কাছে বা ভরত বাড়িপাথওয়ে হরিণা প্রাইমারি স্কুলে কাছে পূর্ব দিকে মুখ করে শীতলা মন্দির অবস্থিত।
উত্তর হরিণায়(উত্তরপাড়া) বা হরিণা রোড এর কাছে পূর্ব দিকে মুখ করে শীতলা মন্দির অবস্থিত।
কালী মন্দির :-[সম্পাদনা]
খুব পুরানো এক মন্দির। এই মন্দির হরিণা মালচক্ পুকুর পাড়ে অবস্থিত।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান[সম্পাদনা]
হরিণা পাশদল বাড়ে শিক্ষার উন্নতির জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সাহায্যে ছয়টি শিক্ষা কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। ২টি শিশু-শিক্ষা কেন্দ্র, ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় আর একটি গ্রন্থাগার।
পশ্চিম হরিণা জুনিয়র হাইস্কুল :-[সম্পাদনা]
পশ্চিম হরিণা জুনিয়র হাইস্কুল একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । ২০১২ সালে এই সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ভারত দেশের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি ৩নং ব্লক-এ ভাজাচাউলী অঞ্চলে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবস্থিত।
পশ্চিম হরিণা জুনিয়র হাইস্কুল | |
---|---|
ঠিকানা | |
হরিণা পাশদল বাড়, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিমবঙ্গ- ৭২১৪৪৪, ভারত | |
তথ্য | |
বিদ্যালয়ের ধরন | উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় |
প্রতিষ্ঠাকাল | ২০১২ |
কার্যক্রম শুরু | সকাল - ১১:০০ |
বন্ধ | বিকাল - ০৪:০০ |
বিদ্যালয় বোর্ড | পশ্চিমবঙ্গ বোর্ড |
বিদ্যালয় কোড | ১৯১৯১৬০২৩০৪ |
প্রধান শিক্ষিকা | পারমিতা মান্না |
শিক্ষকমণ্ডলী | ১০ জন |
শিক্ষার্থী সংখ্যা | ১৭০জন |
গড় শ্রেণীর আকার | পঞ্চম - দশম শ্রেণি |
ভাষা | বাংলা, ইংরেজি |
শ্রেণীকক্ষ | ৬ |
ক্রীড়া | কিতকিত’, ‘দাড়িয়াবান্ধা’, ‘লুকোচুরি’, ‘রুমালচুরি’, ‘বিস্কুট দৌড়’, ‘বউবসন্ত’ ও ‘গোল্লাছুট’ আরও ইত্যাদি। |
বার্ষিক শিক্ষাদান | হাঁ |
হরিণা হরিজন অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র :-[সম্পাদনা]
পশ্চিম হরিণা শীতলা মন্দির /পশ্চিম হরিণা জুনিয়র হাইস্কুলের সম্মুখে এই শিশু-শিক্ষা কেন্দ্র অবস্থিত। এইখানে প্রায় ২০-৩০ জন শিশু ও গর্ভবতী এবং বৃদ্ধদের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা রয়েছে এই কেন্দ্রে।
শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষা এবং শিশুর বিকাশ সংক্রান্ত বিষয়গুলি দেখাশোনার জন্য সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের (আইসিডিএস) আওতায় এই কেন্দ্র আছে। এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে একজন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও একজন সহায়িকা থাকেন।
সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প (আইসিডিএস) হল মা ও শিশুদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি চলে। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল -
- শিশুদের জন্য যত রকম পরিষেবা আছে, সেগুলিকে একত্রিত ভাবে শিশুদের কাছে পৌছে দেওয়া
- শিশুদের অসুস্থতা ও মৃত্যুর হার কমানো
- শিশুরা যাতে স্কুলে যেতে উৎসাহ পায় তার ব্যবস্থা করা
- শিশুর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক উন্নতির ভিত শক্ত করা
- মায়েরা যাতে সঠিক ভাবে শিশুর যত্ব নিতে সক্ষম হন, তার ব্যবস্থা করা
- • গর্ভবতী ও প্রসব হয়ে যাওয়ার পর প্রথম তিনমাস মায়েদের জন্য পরিপূরক খাদ্যের ব্যবস্থা করা
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মা ও শিশু ছয় ধরনের পরিষেবা পেতে পারে।
যেমন - • শিশুদের জন্য পরিপূরক পুষ্টি • টিকাকরণের ব্যবস্থা • নিয়মিত ভাবে শিশুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা • প্রয়োজনে অসুস্থ শিশুকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা • প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা • শিশুর পুষ্টি ও যত্নের ব্যাপারে মায়েদের শিক্ষা
পশ্চিম হরিণা হরিজন প্রাইমারি স্কুল :-[সম্পাদনা]
এই বিদ্যালয় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কাঁথি ৩নং ব্লক-এ অবস্থিত ভাজাচাউলী অঞ্চলে হরিণা পাশদল বাড়ে অবস্থিত ।
পশ্চিম হরিণা হরিজন প্রাইমারি স্কুল | |
---|---|
ঠিকানা | |
হরিণা পাশদল বাড়, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিমবঙ্গ- ৭২১৪৪৪, ভারত | |
তথ্য | |
বিদ্যালয়ের ধরন | প্রাথমিক বিদ্যালয় |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৮০ |
কার্যক্রম শুরু | সকাল - ১১:০০ |
বন্ধ | বিকাল - ০৪:০০ |
বিদ্যালয় বোর্ড | পশ্চিমবঙ্গ বোর্ড |
বিদ্যালয় কোড | ১৯১৯১৬০২৩০৩ |
প্রধান শিক্ষক | স্বদেশ রঞ্জন মণ্ডল (এক্স) |
শিক্ষকমণ্ডলী | ৩ জন |
শিক্ষার্থী সংখ্যা | ২৪জন |
গড় শ্রেণীর আকার | প্রথম - চতুর্থ শ্রেণি |
ভাষা | বাংলা, ইংরেজি |
শ্রেণীকক্ষ | ২ টি |
ক্রীড়া | 'দীর্ঘ লম্ফ', কিতকিত’, ‘রুমালচুরি’, ‘বিস্কুট দৌড়’, ও ‘গোল্লাছুট’ আরও ইত্যাদি। |
বার্ষিক শিক্ষাদান | হাঁ |
পূর্ব হরিণা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র :-[সম্পাদনা]
|
হরিণা পাশদল বাড় প্রাইমারি স্কুল :-[সম্পাদনা]
এই বিদ্যালয় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি ৩নং ব্লক-এ ভাজাচাউলী অঞ্চলে হরিণা পাশদল বাড়ে অবস্থিত।
হরিণা পাশদল বাড় প্রাইমারি স্কুল | |
---|---|
ঠিকানা | |
হরিণা পাশদল বাড়, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিমবঙ্গ- ৭২১৪৪৪, ভারত | |
তথ্য | |
বিদ্যালয়ের ধরন | প্রাথমিক বিদ্যালয় |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৫৩ |
বিদ্যালয় শুরু | সকাল - ১১:০০ |
বন্ধ | বিকাল - ০৪:০০ |
বিদ্যালয় বোর্ড | পশ্চিমবঙ্গ বোর্ড |
বিদ্যালয় কোড | ১৯১৯১৬০২৩০২ |
শিক্ষকমণ্ডলী | ৩ জন |
শিক্ষার্থী সংখ্যা | ১৮ জন |
গড় শ্রেণীর আকার | প্রথম - চতুর্থ শ্রেণি |
ভাষা | বাংলা, ইংরেজি |
শ্রেণীকক্ষ | ৩টি |
ক্রীড়া | 'দীর্ঘ লম্ফ', কিতকিত’, ‘রুমালচুরি’, ‘বিস্কুট দৌড়’, ও ‘গোল্লাছুট’ আরও ইত্যাদি। |
বার্ষিক শিক্ষাদান | হাঁ |
হরিণা সারদামনি গ্রন্থাগার :-[সম্পাদনা]
হরিণা সারদামনি গ্রন্থাগার | |
---|---|
ঠিকানা | |
হরিণা পাশদল বাড়, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিমবঙ্গ- ৭২১৪৪৪, ভারত | |
তথ্য | |
রেজিস্ট্রেশন নং | S/26368 |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৭৯ |
কার্যক্রম শুরু | সকাল - ১০:০০ |
বন্ধ | বিকাল - ০৪:০০ |
লক্ষ্য | 'জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেওয়া ' |
গ্রন্থাগার সমাজ উন্নয়নের বাহন। একটি জাতির মেধা, মনন, ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারণ ও লালনপালনকারী হিসেবে গ্রন্থাগার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সর্বসাধারণের মধ্যে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রন্থাগারের সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রয়েছে। তাই গ্রন্থাগারকে বলা হয় ‘জনগণের বিশ্ববিদ্যালয়’। ইংরেজিতে একটি কথা আছে - "Education is the backbone of a nation". মেরুদন্ড ছাড়া যেমন কোন মানুষ চলতে পারে না, তদ্রূপ শিক্ষা ব্যতীত কোন জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট যে শিক্ষা তা হল প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। আর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সফলতার সহায়ক ও গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হল গ্রন্থাগার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গ্রন্থাগারকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের হৃৎপিণ্ড বলে অভিহিত করা হয়। এই কথা মাাথায় রেখে হরিণা সারদামনি গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত করা হয়।