লব মন্দির

স্থানাঙ্ক: ৩১°৩২′৫৯″ উত্তর ৭৪°২০′৩৭″ পূর্ব / ৩১.৫৪৯৭২° উত্তর ৭৪.৩৪৩৬১° পূর্ব / 31.54972; 74.34361
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
লব মন্দির, লাহোর
রাম তাঁর দুই পুত্র লব ও কুশের সঙ্গে
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহিন্দুধর্ম
ঈশ্বরলব
পরিচালনা সংস্থাপাকিস্তান হিন্দু কাউন্সিল
অবস্থান
অবস্থানলাহোর, পাঞ্জাব, পাকিস্তান  পাকিস্তান
লব মন্দির পাকিস্তান-এ অবস্থিত
লব মন্দির
পাকিস্তানে অবস্থান
স্থানাঙ্ক৩১°৩২′৫৯″ উত্তর ৭৪°২০′৩৭″ পূর্ব / ৩১.৫৪৯৭২° উত্তর ৭৪.৩৪৩৬১° পূর্ব / 31.54972; 74.34361
স্থাপত্য
ধরনউত্তর ভারতীয় মন্দিরশৈলী
মন্দির
ওয়েবসাইট
http://www.pakistanhinducouncil.org/

লব মন্দির হল পাকিস্তানের লাহোর শহরে লাহোর দুর্গে অবস্থিত একটি হিন্দু মন্দির। এই মন্দিরটি হিন্দু দেবতা রামের পুত্র লবের মন্দির। কথিত আছে, লাহোর শহরটি লবেরই নামাঙ্কিত।

নাম-ব্যুৎপত্তি[সম্পাদনা]

দেশোয়া ভগ গ্রন্থে লাহোর শহরটিকে "লবপোর" নামে অভিহিত করা হয়েছে, যা নির্দেশ করে এই শহরটি রামের লবের নামাঙ্কিত। রাজপুতানার প্রাচীন বর্ষপঞ্জিগুলিতে এই শহরটিকে "লোহ্‌ কোট" (অর্থাৎ "লোহের দুর্গ") নামে অভিহিত করা হয়েছে। এই লোহ্‌ শব্দটিও রামের পুত্র লবকে নির্দেশ করে।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

মৌখিক কিংবদন্তি অনুযায়ী, লাহোর শহরটি প্রাচীনকালে "লবপুরী" (সংস্কৃত ভাষায় শব্দটির অর্থ "লবের শহর") নামে পরিচিত ছিল[২] এবং রামসীতার পুত্র রাজকুমার লব এই শহরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।[৩] তাঁর দাদা রাজকুমার কুশ প্রতিষ্ঠা করেন কসুর শহরটি।[৪]

বর্তমানে লাহোর দুর্গে লবের একটি পরিত্যক্ত মন্দির দেখা যায়। লব নামটিকে এই অঞ্চলে "লোহ্‌" উচ্চারণও করা হয়। সেই থেকে "লোহ্‌-আওয়ার" বা "লোহের দুর্গ" কথাটি এসেছে।[৫]

লাহোর সংক্রান্ত সবচেয়ে পুরনো প্রামাণিক নথিটি হল ৯৮২ সালে কোনও এক অজ্ঞাতনামা লেখকের লেখা হুদুদ-ই-আলাম (বিশ্বের অঞ্চলসমূহ)।[৬] ১৯২৭ সালে ভ্লাদিমির ফেডেরোভিচ মিনোরস্কি বইটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেন। বইটি লাহোর থেকেই প্রকাশিত হয়। এই বইটি থেকে জানা যায়, সেই সময় লাহোর ছিল একাধিক সুন্দর মন্দির, বড়ো বড়ো বাজার ও ফলের বাগানে ভরা একটি ছোটো শহর। এই গ্রন্থেই বলা হয়েছে শহরে জনবসতি-ঘেরা দু'টি বড়ো বাজার ছিল এবং এও বলা হয়েছে যে, কাদামাটির বেড়া দিয়ে দু'টি বসত এলাকাকে একটি এলাকায় পরিণত করা হয়েছিল। মূল নথিটি এখন ব্রিটিশ মিউজিয়ামে রক্ষিত আছে।[৭]

অতীতে লাহোর শহরটিকে নানা নামে অভিহিত করা হত। ঠিক কবে এই শহরটি স্থাপিত হয়েছিল, তা জানা যায় না। কোনও কোনও ঐতিহাসিকের মতে, এই শহরটি ৪০০০ বছরের পুরনো।[৮] অবশ্য বিভিন্ন ঐতিহাসিক প্রমাণ থেকে মনে করা হয়, শহরটি অন্তত ২০০০ বছরের পুরনো। দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান বাণিজ্য ও সামরিক পথের উপর অবস্থিত লাহোর শহরটিতে অতীতে অনেক রাজবংশ ও যাযাবর উপজাতি শাসন ও লুণ্ঠন করেছিল।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. History of Lahore
  2. Bombay Historical Society (১৯৪৬)। Annual bibliography of Indian history and Indology, Volume 4। পৃষ্ঠা 257। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২৯ 
  3. Baqir, Muhammad (১৯৮৫)। Lahore, past and present। B.R. Pub. Corp। পৃষ্ঠা 19–20। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২৯ 
  4. Nadiem, Ihsan N (২০০৫)। Punjab: land, history, people। Al-Faisal Nashran। পৃষ্ঠা 111। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২৯ 
  5. Naqoosh, Lahore Number 1976
  6. "HUDUD AL-'ALAM 'The Regions of the World' A Persian Geography"। ২০০৬-১০-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-১১ 
  7. Dawn Pakistan - The 'shroud' over Lahore's antiquity
  8. "Glasgow gets a new twin in Lahore"। Living in Glasgow। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৬। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-০৬