ভিডিও গেম
ভিডিও গেমস হচ্ছে এক ধরনের ইলেকট্রনিক গেমস যা ব্যবহারকারীর সাথে ভিডিও ডিভাইসে পারস্পরিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। ভিডিও গেমসকে আজকাল তার জনপ্রিয়তার জন্যে যন্ত্রে ডিসপ ডিভাইসে ব্যবহৃত হয়। ভিডিও গেমস খেলার জন্য যে সকল ইলেকট্রনিক সিস্টেম ব্যবহৃত হয় তাকে বলা হয় প্লাটফর্ম। যেমন পার্সোনাল কম্পিউটার এবং ভিডিও গেম কনসোল। তাছাড়া ভিডিও গেমস ব্যবহৃত হয় ইনপুট ডিভাইজ। যেমন পি.এস.পিতে খেলার জন্য ব্যবহৃত গেম কন্ট্রোলার, জয়স্টিক। কম্পিউটারে খেলার জন্য কী-বোর্ড ও মাউস ব্যবহৃত হয়।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]ভিডিও গেমের ইতিহাস জন্য ফিরে যেতে হবে ১৯৪০-এর দশকে, যখন থমাস টি. গোল্ডস্মিথ জুনি. এবং এস্টেল রে ম্যানন কর্তৃক যুক্তরাষ্ট্রের প্যাটেন্টে আবেদন করে একটি আবিস্কারের জন্য যা তারা বর্ণনা করে ''বিনোদনমূলক ক্যাথোড রে টিউব ডিভাইস''। কিন্তু ভিডিও গেম জনপ্রিয়তায় পৌছায় না সত্তুর আশির দশকের আগে যতদিননা পর্যন্ত সাধারণ মানুষ '''আর্কেড গেম্স''', কনসোল গেম্স, হোম কম্পিউটার গেমস্ এর সাথে পরিচিত হয়। সেই থেকে এখন পর্যন্ত, ভিডিও গেম বিনোদনের জন্য একটি জনপ্রিয় মাধ্যম এবং আধুনিক সংস্কৃতির অঙ্গ। ২০১৩ পর্যন্ত আট প্রজন্মের ভিডিও গেম কনসোল রয়েছে।
মূল প্লাটফর্মসমূহ
[সম্পাদনা]কম্পিউটার গেম্স
[সম্পাদনা]যেসব গেমস সাধারণত কম্পিউটারে খেলা হয়ে থাকে তাকে কম্পিউটার গেমস্ বলে। বর্তমানে ডেস্কটপ কম্পিউটারে গেমস খেলা, বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সাধারণত গেম সফটওয়্যার হিসেবে থাকে। এটি ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে অথবা কিনে খেলা যায়। এছাড়াও গেমসের বিভিন্ন সিডি বা ডিস্ক পাওয়া যায়। এছাড়াও বিভিন্ন অনলাইন গেমসও রয়েছে।
আর্কেড গেম্স
[সম্পাদনা]আর্কেড গেম্স (ইংরেজি: Arcade games) (অথবা কয়েন-আপ) হচ্ছে মুদ্রা-নির্ভর বিনোদন-মূলক যন্ত্র, যা সাধারণত শুঁড়িখানা এবং বিভিন্ন বিনোদন দানকারী স্থাপনা(য়) স্থলভিষিক্ত থাকে। অধিকাংশই ভিডিও গেম, পিনবল যন্ত্র এবং যান্ত্রিক বৈদ্যুতিক গেম (যেমন ক্লাও ক্রেনস্)।
কনসোল গেম্স
[সম্পাদনা]কনসোল গেমস হচ্ছে এমন গেমস যা কিছু বিশেষ ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রে খেলা হয়ে থাকে। এসব যন্ত্রকে গেম কনসোল বলা হয়ে থাকে। কিছু উল্লেখযোগ্য গেম কনসোল হলঃ এক্সবক্স, প্লেস্টেশন, নিনটেন্ডো, ডব্লিউআইআই ইত্যাদি।
হ্যান্ডহেল্ড গেম্স
[সম্পাদনা]হ্যান্ডহেল্ড গেমস হল এমন গেমস যা এক হাতে বহনযোগ্য এক প্রকার ছোট যন্ত্রে খেলা হয়ে থাকে। এসব যন্ত্রকে হ্যান্ডহেল্ড ডিভাইস বলে। এ যন্ত্রে একটি স্ক্রিন, একটি স্পীকার এবং কিছু বাটন থাকে। ১৯৭০ সালের দিকে এসব গেমের উৎপত্তি ঘটে। ২০০০ সাল পর্যন্ত এসব গেম অনেক জনপ্রিয় ছিল। মোবাইল গেমসের আবিষ্কারের পর এর জনপ্রিয়তা কমতে থাকে। পরবর্তীতে কম্পিউটার গেমস, মোবাইল গেমস এবং কনসোল গেমসের উন্নতি ঘটায় এ জাতীয় গেম জনপ্রিয়তা হারায়। যেমন: গেইম বয়।
মোবাইল গেইমস
[সম্পাদনা]যেসমস্ত গেইম মোবাইল এ খেলা হয়ে থাকে তাকে মোবাইল গেইম বলে। বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে এ জাতীয় গেইমের উদ্ভব ঘটে। সর্বপ্রথম আবিষ্কৃত মোবাইল গেইম হলো টেট্রিস (Tetris) যা Hagenuk MT-2000 ফোনে ১৯৯৪ সালে প্রথম পাওয়া যায়। এরপর নোকিয়া তাদের নোকিয়া ৬৬১০ (Nokia 6610) ফোনে Snake গেমটি যুক্ত করে যা পরবর্তীতে অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করে।