কম্পিউটার স্থাপত্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইউনিকপ্রসেসর সিপিইউ সহ একটি বেসিক কম্পিউটারের ব্লক ডায়াগ্রাম। কালো রেখা দ্বারা উপাত্ত প্রবাহ এবং লাল রেখা দ্বারা নিয়ন্ত্রণ প্রবাহকে নির্দেশ করা হয়েছে। তীরচিহ্ন দ্বারা প্রবাহের দিক নির্দেশ করা হয়েছে।

কম্পিউটার স্থাপত্য (ইংরেজি: Computer architecture) কম্পিউটার সিস্টেমের ধারণাগত গঠন ও কার্যপ্রণালি সংজ্ঞা দেওয়ার বিজ্ঞান।[১] এই বিজ্ঞান একটি ভবনের স্থাপত্যের মতোই যা দিয়ে তার সার্বিক গঠন, তার বিভিন্ন অংশের কাজ, এবং সে সব অংশকে একত্রিত করার পদ্ধতি হলো এই বিজ্ঞান। এই বিজ্ঞান কম্পিউটার বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট কিন্তু তার থেকে মৌলিকভাবে ভিন্ন। স্থাপত্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত সেই সব বৈশিষ্ট্য যা সফটওয়্যার প্রোগ্রামগুলোর নকশা এবং উন্নয়ন ডিজাইন নিয়ন্ত্রণ করে। অন্যদিকে বাস্তবায়নের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত সেই সব বৈশিষ্ট্য যা দিয়ে আপেক্ষিক ব্যয় ও সিস্টেমের কার্যসম্পাদন নির্বাচিত হয়।

উদ্দেশ্য[সম্পাদনা]

কম্পিউটার স্থাপত্যের প্রধান উদ্দেশ্য হলো এমন একটি কম্পিউটার তৈরি করা যা নির্দিষ্ট ব্যয়ের সীমাবদ্ধতার মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব কাজ করতে পারবে। পরে সঙ্গে আরো উদ্দেশ্য যোগ করা হয়েছে। যেমন- অনেকগুলো প্রোগ্রাম একই সাথে চালানো অথবা উচ্চতর ভাষায় লেখা প্রোগ্রামের ক্ষমতার ব্যাপক উন্নতি করা।

গঠন[সম্পাদনা]

কম্পিউটার সিস্টেমের মধ্যে চারটি মূল অংশ থাকে: স্মৃতি, প্রসেসর, আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি এবং তথ্য প্রবেশ ও নির্গমন ব্যবস্থা (ইনপুট-আউটপুট ) .

  • স্মৃতির মধ্যে তথ্য ও প্রোগ্রামগুলো গচ্ছিত রাখা হয়।
  • প্রসেসর হলো সেই অংশ যা দিয়ে সিস্টেমের কাজকে নিয়ন্ত্রণণ করা হয় এবং বিভিন্ন গণনা করা সম্ভব হয়।
  • আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি দিয়ে ব্যবহারকারীর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়।
  • ইনপুট-আউটপুট সিস্টেম দিয়ে পূর্বে বর্ণিত ঐ অংশগুলোর পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Department of Applied Mathematics and Computer Science. Lyngby, Denmark." (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০২৩ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]