লবণ (রসায়ন)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কপার (II) সালফেটর লবণ (খনিজ চালকান্থাইট হিসাবে)

রসায়নে, লবণ হলো একটি আয়নিক যৌগ যা অম্লক্ষারকের মধ্যে সংঘটিত প্রশমন বিক্রিয়ার মাধ্যমে উৎপন্ন হয়। অথবা, কোনো এসিডের প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন পরমাণু কোনো ধাতু বা ধাতুর ন্যায় ক্রিয়াশীল মূলক দ্বারা আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে প্রতিস্থাপিত হয়ে নতুন যে যৌগ গঠন করে তাকে "'লবণ"' বলে। লবণ সমান সংখ্যক ক্যাটায়ন (ধনাত্মক আধানযুক্ত আয়ন) ও অ্যানায়ন (ঋণাত্মক আধানযুক্ত আয়ন) দ্বারা গঠিত হয়। যার ফলে এটি আধান নিরপেক্ষ হয়। আয়নসমূহের উপাদান অজৈব হতে পারে, যেমন ক্লোরাইড (Cl) আবার জৈব হতে পারে, যেমন এসেটেট (CH3CO2-); এবং এক অণুবিশিষ্ট হতে পারে, যেমন ফ্লোরাইড (F), অথবা হতে পারে বহু অণুবিশিষ্ট, যেমন সালফেট (SO42−)।

সাধারণত, পানিতে অদ্রবণীয় লবণ আদর্শ তাপমাত্রা ও চাপে কঠিন থাকে।

কিছু লবণ আছে সাধারণত পানিতে দ্রবীভূত হয় না। যেমন- সিলভার সালফেট(AgSO4),সিলভার ক্লোরাইড(AgCl)

শ্রেণী[সম্পাদনা]

স্বাদ[সম্পাদনা]

সাধারণ লবণের মতোই, কিন্তু কিছু স্বাদহীন

গন্ধ[সম্পাদনা]

দ্রবণীয়[সম্পাদনা]

ক্ষার ধাতু (Li,Na,K,Rb) ব্যতীত অন্যান্য ধাতুসমূহের কার্বনেট লবণ পানিতে অদ্রবণীয়। যেমন- ক্যালসিয়াম কার্বনেট।

তড়িৎ পরিবাহিতা[সম্পাদনা]

রাসায়নিক যৌগ[সম্পাদনা]

একটি লবণের নাম শুরু হয় ক্যাটায়ন দ্বারা (যেমন, সোডিয়াম বা অ্যামোনিয়াম) এবং তারপর থাকে অ্যানায়নের নাম (যেমন, ক্লোরাইড বা এসেটেট)। লবণকে প্রায়ই তার ক্যাটায়নের নাম দ্বারা (যেমন, সোডিয়াম লবণ বা অ্যামোনিয়াম লবণ) অথবা অ্যানায়নের নাম দ্বারা (যেমন, ক্লোরাইড লবণ বা এসেটেট লবণ) ডাকা হয়।

সাধারণ লবণ গঠনকারী ক্যাটায়ন হলো:

সাধারণ লবণ গঠনকারী অ্যানায়ন হলো:

গঠন[সম্পাদনা]

কঠিন লেড(II) সালফেট(PbSO4)

যাদের মধ্যে একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া দ্বারা লবণ গঠিত হয়:

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]