শাহজাহান সিরাজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Manisha Mrittika (আলোচনা | অবদান)
Imonreza (আলোচনা | অবদান)
AftabBot-এর করা 3453976 নং সংস্করণে প্রত্যাবর্তন করা হয়েছে: অপ্রয়োজনীয় সম্পাদনা । (টুইং)
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত
৭ নং লাইন: ৭ নং লাইন:
১৯৬২ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়ার মধ্যদিয়ে শাহজাহান সিরাজ ছাত্র-রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। সেই সময় তিনি [[টাঙ্গাইল|টাঙ্গাইলের]] [[সরকারী সাদাত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ|করটিয়া সা’দত কলেজের]] ছাত্র ছিলেন। এরপর তিনি ছাত্রলীগের মাধ্যমে ছাত্র-রাজনীতিতে উঠে আসেন। ১৯৬৪-৬৫ এবং ১৯৬৬-৬৭ দুই মেয়াদে তিনি দুইবার করটিয়া সা’দাত কলেজের ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।<ref name=bangladeshinside/> একজন সক্রিয় ছাত্রনেতা হিসেবে তিনি [[১১ দফা কর্মসূচী|১১ দফা আন্দোলন]] এবং [[উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান|১৯৬৯ সালের গণঅভ্যত্থানে]] অংশগ্রহন করেন। এরপর তিনি ১৯৭০-৭২ মেয়াদে অবিভক্ত ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন ‘[[স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ]]’ (যার অন্য নাম '''নিউক্লিয়াস''') এর সক্রিয় কর্মী, ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা।
১৯৬২ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়ার মধ্যদিয়ে শাহজাহান সিরাজ ছাত্র-রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। সেই সময় তিনি [[টাঙ্গাইল|টাঙ্গাইলের]] [[সরকারী সাদাত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ|করটিয়া সা’দত কলেজের]] ছাত্র ছিলেন। এরপর তিনি ছাত্রলীগের মাধ্যমে ছাত্র-রাজনীতিতে উঠে আসেন। ১৯৬৪-৬৫ এবং ১৯৬৬-৬৭ দুই মেয়াদে তিনি দুইবার করটিয়া সা’দাত কলেজের ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।<ref name=bangladeshinside/> একজন সক্রিয় ছাত্রনেতা হিসেবে তিনি [[১১ দফা কর্মসূচী|১১ দফা আন্দোলন]] এবং [[উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান|১৯৬৯ সালের গণঅভ্যত্থানে]] অংশগ্রহন করেন। এরপর তিনি ১৯৭০-৭২ মেয়াদে অবিভক্ত ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন ‘[[স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ]]’ (যার অন্য নাম '''নিউক্লিয়াস''') এর সক্রিয় কর্মী, ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা।


মুক্তিযুদ্ধের পর সর্বদলীয় সমাজতান্ত্রিক সরকার গঠনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গঠনে ভূমিকা পালন করেন, যা ছিলো স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিরোধী দল। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের প্রতিষ্ঠাতা সহকারী সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন শাহজাহান সিরাজ। পরবর্তীতে জাসদে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। জাসদের মনোনয়নে ৩ বার তিনি জাতীয় সংসদের টাঙ্গাইল-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।<ref name=parliament.gov>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=জাতীয় সংসদ সদস্য তালিকা|ইউআরএল=http://www.parliament.gov.bd/index.php/bn/mps-bangla/members-of-parliament-bangla/former-mp-s/2014-03-23-11-54-57|প্রকাশক=বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ|লেখক=|সংগ্রহের-তারিখ=১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮}}</ref> শাহজাহান সিরাজ ১৯৯৫ সালে [[খালেদা জিয়া|বেগম খালেদা জিয়া]]<nowiki/>র নেতৃত্বাধীন [[বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল|বিএনপি]]<nowiki/>তে যোগ দেন। তিনি বিএনপির মনোনয়নেও একবার একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বেগম খালেদা জিয়া সরকারের শেষ পর্যায়ের দিকে নৌপরিবহন মন্ত্রি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
মুক্তিযুদ্ধের পর সর্বদলীয় সমাজতান্ত্রীক সরকার গঠনের পক্ষ্যে অবস্থান নিয়ে জাসদ ([[জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল|জাতীয় সমাজতান্ত্রীক দল]]) গঠনে ভূমিকা পালন করেন, যা ছিলো স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিরোধী দল। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের প্রতিষ্ঠাতা সহকারী সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন শাহজাহান সিরাজ। পরবর্তীতে জাসদে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। জাসদের মনোনয়নে ৩ বার তিনি জাতীয় সংসদের টাঙ্গাইল-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।<ref name=parliament.gov>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=জাতীয় সংসদ সদস্য তালিকা|ইউআরএল=http://www.parliament.gov.bd/index.php/bn/mps-bangla/members-of-parliament-bangla/former-mp-s/2014-03-23-11-54-57|প্রকাশক=বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ|লেখক=|সংগ্রহের-তারিখ=১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮}}</ref> শাহজাহান সিরাজ ১৯৯৫ সালে [[খালেদা জিয়া|বেগম খালেদা জিয়া]]<nowiki/>র নেতৃত্বাধীন [[বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল|বিএনপি]]<nowiki/>তে যোগ দেন। তিনি বিএনপির মনোনয়নেও একবার একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বেগম খালেদা জিয়া সরকারের শেষ পর্যায়ের দিকে নৌ-পরিবহন মন্ত্রি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।


== মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা ==
== মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা ==
শাহজাহান সিরাজ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। মুক্তিযুদ্ধের সময় যাদের ‘চার খলিফা’ বলা হতো শাহজাহান সিরাজ ছিলেন তাদেরই একজন। [[১৯৭১-এ বাংলাদেশ|১৯৭১]] সালের ১ মার্চ তিনি [[সিরাজুল আলম খান]], [[শেখ ফজলুল হক মনি|শেখ ফজলুল হক]], [[আব্দুর রাজ্জাক (রাজনীতিবিদ)|আব্দুর রাজ্জাক]], [[তোফায়েল আহমেদ]], [[আবদুল কুদ্দুস মাখন]], [[নূরে আলম সিদ্দিকী]], [[আ.স.ম. আবদুর রব|আ ম আবদুর রব]] প্রভৃতি ছাত্রনেতাদের পাশাপাশি [[স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ]] গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন। ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] বটতলায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন আ ম আবদুর রব। সেখান থেকেই পরবর্তী দিনে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠের পরিকল্পনা করা হয়। <ref name=poriborton>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=নিশ্চুপ শাজাহান সিরাজ, খোঁজ নেয় না কেউ|ইউআরএল=https://www.poriborton.com/interview/18359/|প্রকাশক=পরিবর্তন ডটকম|লেখক=সিফাত বিনতে ওয়াহিদ|সংগ্রহের-তারিখ=১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮}}</ref> সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩ মার্চ ১৯৭১ পল্টন ময়দানে বিশাল এক ছাত্র জনসভায় বঙ্গবন্ধুর সামনে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেছিলেন শাজাহান সিরাজ। এরপর যুদ্ধ শুরু হলে তিনি সশস্ত্র যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ‘[[বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সেস|বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স]]’ (বিএলএফ) বা [[মুজিব বাহিনী]]<nowiki/>র কমান্ডার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।<ref name=poriborton/>
শাহজাহান সিরাজ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। মুক্তিযুদ্ধের সময় যাদের ‘চার খলিফা’ বলা হতো শাহজাহান সিরাজ ছিলেন তাদেরই একজন। [[১৯৭১-এ বাংলাদেশ|১৯৭১]] সালের ১ মার্চ তিনি [[সিরাজুল আলম খান]], [[শেখ ফজলুল হক মনি|শেখ ফজলুল হক]], [[আব্দুর রাজ্জাক (রাজনীতিবিদ)|আব্দুর রাজ্জাক]], [[তোফায়েল আহমেদ]], [[আবদুল কুদ্দুস মাখন]], [[নূরে আলম সিদ্দিকী]], [[আ.স.ম. আবদুর রব|আ..ম আবদুর রব]] প্রভৃতি ছাত্রনেতাদের পাশাপাশি [[স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ]] গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন। ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] বটতলায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন আ..ম আবদুর রব। সেখান থেকেই পরবর্তী দিনে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠের পরিকল্পনা করা হয়। <ref name=poriborton>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=নিশ্চুপ শাজাহান সিরাজ, খোঁজ নেয় না কেউ|ইউআরএল=https://www.poriborton.com/interview/18359/|প্রকাশক=পরিবর্তন ডটকম|লেখক=সিফাত বিনতে ওয়াহিদ|সংগ্রহের-তারিখ=১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮}}</ref> সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩ মার্চ ১৯৭১, পল্টন ময়দানে বিশাল এক ছাত্র-জনসভায় বঙ্গবন্ধুর সামনে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেছিলেন শাজাহান সিরাজ। এরপর যুদ্ধ শুরু হলে, তিনি সশস্ত্র যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ‘[[বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সেস|বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স]]’ (বিএলএফ) বা [[মুজিব বাহিনী]]<nowiki/>র কমান্ডার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।<ref name=poriborton/>


== ব্যক্তিগত জীবন ==
== ব্যক্তিগত জীবন ==

০৬:৫১, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

শাহজাহান সিরাজ (জন্ম: ১ মার্চ, ১৯৪৩) বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন অন্যতম ছাত্রনেতা। তিনি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ৩ বার জাসদের মনোনয়নে এবং ১ বার বিএনপি'র মনোনয়নে সংসদ সদস্য নিবাচিত হন। শাহজাহান সিরাজ ২০০১ সালের নির্বাচনের পর খালেদা জিয়ার সরকারে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।[১]

জন্ম ও পরিবার

১৯৪৩ সালের ১ মার্চ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে জন্মগ্রহন করেন শাহজাহান সিরাজ।[২] তার পিতার নাম আব্দুল গণি মিয়া ও মাতা রহিমা বেগম। [৩]

রাজনৈতিক জীবন

১৯৬২ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়ার মধ্যদিয়ে শাহজাহান সিরাজ ছাত্র-রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। সেই সময় তিনি টাঙ্গাইলের করটিয়া সা’দত কলেজের ছাত্র ছিলেন। এরপর তিনি ছাত্রলীগের মাধ্যমে ছাত্র-রাজনীতিতে উঠে আসেন। ১৯৬৪-৬৫ এবং ১৯৬৬-৬৭ দুই মেয়াদে তিনি দুইবার করটিয়া সা’দাত কলেজের ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।[৩] একজন সক্রিয় ছাত্রনেতা হিসেবে তিনি ১১ দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যত্থানে অংশগ্রহন করেন। এরপর তিনি ১৯৭০-৭২ মেয়াদে অবিভক্ত ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ’ (যার অন্য নাম নিউক্লিয়াস) এর সক্রিয় কর্মী, ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা।

মুক্তিযুদ্ধের পর সর্বদলীয় সমাজতান্ত্রীক সরকার গঠনের পক্ষ্যে অবস্থান নিয়ে জাসদ (জাতীয় সমাজতান্ত্রীক দল) গঠনে ভূমিকা পালন করেন, যা ছিলো স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিরোধী দল। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের প্রতিষ্ঠাতা সহকারী সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন শাহজাহান সিরাজ। পরবর্তীতে জাসদে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। জাসদের মনোনয়নে ৩ বার তিনি জাতীয় সংসদের টাঙ্গাইল-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৪] শাহজাহান সিরাজ ১৯৯৫ সালে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপিতে যোগ দেন। তিনি বিএনপির মনোনয়নেও একবার একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বেগম খালেদা জিয়া সরকারের শেষ পর্যায়ের দিকে নৌ-পরিবহন মন্ত্রি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা

শাহজাহান সিরাজ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। মুক্তিযুদ্ধের সময় যাদের ‘চার খলিফা’ বলা হতো শাহজাহান সিরাজ ছিলেন তাদেরই একজন। ১৯৭১ সালের ১ মার্চ তিনি সিরাজুল আলম খান, শেখ ফজলুল হক, আব্দুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ, আবদুল কুদ্দুস মাখন, নূরে আলম সিদ্দিকী, আ.স.ম আবদুর রব প্রভৃতি ছাত্রনেতাদের পাশাপাশি স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন। ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন আ.স.ম আবদুর রব। সেখান থেকেই পরবর্তী দিনে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠের পরিকল্পনা করা হয়। [৫] সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩ মার্চ ১৯৭১, পল্টন ময়দানে বিশাল এক ছাত্র-জনসভায় বঙ্গবন্ধুর সামনে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেছিলেন শাজাহান সিরাজ। এরপর যুদ্ধ শুরু হলে, তিনি সশস্ত্র যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ‘বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স’ (বিএলএফ) বা মুজিব বাহিনীর কমান্ডার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।[৫]

ব্যক্তিগত জীবন

এক সময়ের রাজনৈতিক সহকর্মী, সাবেক ছাত্রনেত্রী রাবেয়া সিরাজের সঙ্গে ১৯৭২ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন শাহজাহান সিরাজ। তাঁদের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে আছে। তার স্ত্রী রাবেয়া সিরাজ একজন শিক্ষিকা এবং রাজনীতিবিদ। [৩]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. বেলায়েত হোসাইন। "ছাত্রলীগ নেতারা কে কোথায়?"। মানবজমিন। সংগ্রহের তারিখ ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  2. "শাহজাহান সিরাজ সঙ্কটাপন্ন"। বাংলানিউজ২৪ ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  3. "শাহজাহান সিরাজ"। বাংলাদেশ ইনসাইড ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  4. "জাতীয় সংসদ সদস্য তালিকা"। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  5. সিফাত বিনতে ওয়াহিদ। "নিশ্চুপ শাজাহান সিরাজ, খোঁজ নেয় না কেউ"। পরিবর্তন ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮