দরিয়াপুর মসজিদ
দরিয়াপুর মসজিদ | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
জেলা | রংপুর |
যাজকীয় বা সাংগঠনিক অবস্থা | মসজিদ |
অবস্থা | সক্রিয় |
অবস্থান | |
অবস্থান | দরিয়াপুর, পীরগঞ্জ |
দেশ | বাংলাদেশ |
স্থাপত্য | |
প্রতিষ্ঠার তারিখ | ১৭১৭ বা ১৭১৮ খ্রিস্টাব্দ |
বিনির্দেশ | |
দৈর্ঘ্য | ১১.১৯ মিটার |
প্রস্থ | ৩.৭৩ মিটার |
গম্বুজসমূহ | ৩টি |
দরিয়াপুর মসজিদ বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। এটি রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত দরিয়াপুর গ্রামে অবস্থিত।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]দরিয়াপুর মসজিদ ১৭১৭ বা ১৭১৮ সালে নির্মিত হয়। এর স্থাপত্য রীতিতেও তাই মুঘল স্থাপত্য রীতির ছাপ স্পষ্ট। তবে, ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পের ফলে মসজিদটির ভয়াবহ ক্ষতি সাধিত হয়। এ সময় মসজিদের গম্বুজে ফাটল সৃষ্টি হয় এবং মিনার (বুরুজ) ধ্বসে পড়ে। পরে, স্থানীয় জনগণই মসজিদ মেরামতের উদ্যোগ নেয়। তখন মিনারগুলো পুরোপুরি বাদ দিয়ে মসজিদ মেরামত করে ব্যবহারোপযোগী করা হয়। কিন্তু, পেশাদারিত্বের অভাবে মসজিদের স্থাপত্যশৈলী বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর, মসজিদের সাম্প্রতিক সংস্কার কার্যের ফলে এর আদি বৈশিষ্ট্যের অধিকাংশই প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে।[১]
অবস্থান
[সম্পাদনা]রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে ৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে দরিয়াপুর নামক গ্রামের বড় দিঘিটির পশ্চিমে দেয়াল ঘেরা এই মসজিদটির অবস্থান।[১]
স্থাপত্যশৈলী
[সম্পাদনা]দরিয়াপুর মসজিদটি আয়তাকার যার প্রস্থ ৩.৭৩ মিটার এবং দৈর্ঘ্য ১১.১৯ মিটার। এর পশ্চিম দেওয়ালে কারুকার্য খচিত আয়তাকার ফ্রেমে আবদ্ধ তিনটি অর্ধ-অষ্টভুজাকৃতির মিহরাব রয়েছে। এর বিপরীতে পূর্ব দেওয়ালে মিহরাবের সাথে মিল রেখে রয়েছে তিনটি প্রবেশদ্বার। এর মধ্যে, মাঝের মিহরাব এবং প্রবেশপথ বাকি দুটির চেয়ে একটু বড় এবং বাইরের দিকে প্রক্ষিপ্ত। আর, বাকি দুই দিক অর্থাৎ, মসজিদের উত্তর ও দক্ষিণ দেওয়ালে রয়েছে দুটি জানালা। সবগুলো দরজা-জানালাই খিলানযুক্ত।
পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত ২টি খিলানের কারণে মসজিদের অভ্যন্তরভাগ তিনটি সমান বর্গাকার বে'তে বিভক্ত। প্রতিটি বে'র উপরে রয়েছে একটি করে গম্বুজ। অষ্টকোণাকৃতির ড্রামের উপরে স্থাপন করা এ গম্বুজগুলো অনেকটা গোলাকার।[১]
কারুকার্য
[সম্পাদনা]মসজিদ সংস্কারের ফলে, বর্তমানে মসজিদের দেয়াল সিমেন্টের প্লাস্টারে আবৃত। তাই, দেওয়ালের শিল্পকর্ম একেবারেই দৃশ্যমান নয়। তবে জানা যায় যে, এক সময় মসজিদের মাঝখানের প্রবেশ পথ ও মিহরাবের পাশে অলঙ্কৃত মিনার ছিল।
অন্যদিকে, গম্বুজ ও মিহরাবের কারুকার্য এখনো বিদ্যমান। গম্বুজগুলোর শীর্ষে পদ্মফুল ও কলসি অঙ্কিত আছে। আর, মসজিদের অভ্যন্তরে গম্বুজের নিচের কোণাগুলো পেন্ডেন্টিভ নকশার মাধ্যমে সাজানো হয়েছে। আর, ছাদের দেয়ালের বাইরের অংশ সাজানো হয়েছে বদ্ধ মেরলোনের একটি সারি দিয়ে। মিহরাবের ফ্রেমগুলোও বেশ দৃষ্টিনন্দন। মিহরাবগুলোর দুপাশে রয়েছে ফুল ও গাছের আয়তাকার প্যানেল নকশা। উপরের দিকে দুপাশে রয়েছে দুটি গোলাপ ফুলের মোটিফ, আর মাঝে একটি আয়তাকার খোপ।[১]
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ "দরিয়াপুর মসজিদ - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২১।