আনোয়ার হোসেন (অণুজীববিজ্ঞানী)
অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন | |
|---|---|
| উপাচার্য | |
| যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় | |
| কাজের মেয়াদ ২০ মে ২০১৭ – ১৯ মে ২০২১ | |
| পূর্বসূরী | মোঃ আব্দুস সাত্তার |
| উত্তরসূরী | আব্দুল মজিদ |
| কাজের মেয়াদ ৩ জুন ২০২১ – ২১ আগস্ট ২০২৪ | |
| ব্যক্তিগত বিবরণ | |
| জন্ম | ১ জানুয়ারি ১৯৫৮ সাতঘরিয়া, লৌহজং, মুন্সিগঞ্জ, বাংলাদেশ |
| জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
| প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়, জাপান রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র |
| পেশা | অধ্যাপক, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসক |
আনোয়ার হোসেন (জন্ম: ১ জানুয়ারি ১৯৫৮) একজন বাংলাদেশী অণুজীববিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য।[১] বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অবদান রাখার জন্য ২০২২ সালে তিনি একুশে পদক লাভ করেন।[২]
জন্ম
[সম্পাদনা]তিনি ১৯৫৮ সালের ১ জানুয়ারি মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার সাতঘরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা শেখ খোরশেদ আলম ও মা পিয়ারা বেগম।[৩]
শিক্ষাজীবন
[সম্পাদনা]আনোয়ার হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৯৮১ সালে স্নাতক ও ১৯৮৩ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯১ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি জাপানের সানতোরি কর্পোরেশন এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেন।[৪]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]আনোয়ার হোসেন ১৯৮৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি ঢাবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি একাধিক বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি অধ্যাপক হিসেবেও অধ্যাপনা করেছেন।
অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট, সিন্ডিকেট, রিজেন্ট বোর্ড, উচ্চতর গবেষণা বোর্ড ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, ইউজিসির সদস্য, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)-এর পরিচালনা পরিষদের সদস্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।[৪][৫]
আনোয়ার হোসেন ২০১৭ সালের ২০ মে থেকে ২০২১ সালের ১৯ মে পর্যন্ত প্রথম মেয়াদে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২১ সালের ৩ জুন তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।[৩][৬] ২০২৪ সালের ২১ আগস্ট তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্যের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।[৭]
প্রকাশনা
[সম্পাদনা]দেশীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে তার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।[৪]
পুরস্কার ও সম্মাননা
[সম্পাদনা]গবেষণাকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ আনোয়ার হোসেন বহু বৃত্তি, পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন। তার প্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে,[৪]
- ইউজিসি কর্তৃক শ্রেষ্ঠ গবেষকের পুরস্কার-২০১১
- ইউজিসি কর্তৃক শ্রেষ্ঠ গবেষক হিসেবে স্বর্ণপদক-২০১৮
- বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি কর্তৃক স্বর্ণপদক-২০১৮
- একুশে পদক - ২০২২ (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি)[২]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "যবিপ্রবির ভিসি হলেন ঢাবির অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার"। বাংলা ট্রিবিউন। ১৫ মে ২০১৭। ৩১ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ ক খ "একুশে পদক পাচ্ছেন ২৪ বিশিষ্ট নাগরিক"। ইত্তেফাক। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ ক খ "দ্বিতীয় মেয়াদে যবিপ্রবির উপাচার্য হলেন অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন"। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ১ জুন ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ ক খ গ ঘ "CURRICULUM VITAE - MD. ANWAR HOSSAIN, Ph.D." [জীবন বৃত্তান্ত- মো. আনোয়ার হোসেন, পিএইচ.ডি] (পিডিএফ)। যবিপ্রবি (ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ জুন ২০২৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ "যবিপ্রবি'র উপাচার্য হলেন অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ১৫ মে ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ "দ্বিতীয় মেয়াদে যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার"। সমকাল। ১ জুন ২০২১। ৩১ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ "যবিপ্রবি উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেনের পদত্যাগ"। যায়যায়দিন। ২১ আগস্ট ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০২৪।
একুশে পদক বিজয়ী ২০২২ | ||
|---|---|---|
| গবেষণা |  | |
| বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ||
| ভাষা ও সাহিত্য | ||
| ভাষা আন্দোলন |
| |
| মুক্তিযুদ্ধ | ||
| শিক্ষা | ||
| শিল্পকলা |
| |
| সমাজসেবা | ||
| সাংবাদিকতা | ||