বিষয়বস্তুতে চলুন

জরায়ুমুখের ক্যান্সার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(Cervical cancer থেকে পুনর্নির্দেশিত)
জরায়ুমুখ ক্যান্সার
জরায়ুমুখ ক্যান্সারের অবস্থান এবং স্বাভাবিক ও অস্বাভাবিক কোষের উদাহরণ
উচ্চারণ
বিশেষত্বঅর্বুদবিদ্যা
লক্ষণপ্রারম্ভিক: কিছু না[]
পরবর্তী: যোনিজ রক্তক্ষরণ, শ্রোণিদেশে ব্যথা, যৌনমিলনের সময় ব্যথা[]
রোগের সূত্রপাত১০ থেকে ২০ বছর ধরে[]
প্রকারভেদআঁইশাকার-কোষ কার্সিনোমা, অ্যাডিনোকার্সিনোমা (গ্রন্থিকর্কটার্বুদ), অন্যান্য[]
কারণহিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস সংক্রমণ (এইচপিভি)[][]
ঝুঁকির কারণধূমপান, দুর্বল রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি, অল্প বয়সে যৌনমিলন শুরু করা, অনেক যৌনসঙ্গী থাকা[][][]
রোগনির্ণয়ের পদ্ধতিজরায়ুমুখ স্ক্রিনিংবায়োপসি (জৈব কলাচ্ছেদন)[]
প্রতিরোধনিয়মিত জরায়ুমুখ পরীক্ষা, এইচপিভি টিকা, কনডম ব্যবহার করে যৌনমিলন,[][] যৌনসংযম
চিকিৎসাঅস্ত্রোপচার, কেমোথেরাপি (রাসায়নিক চিকিৎসা), রেডিওথেরাপি, ইমিউনোথেরাপি (অনাক্রম্য চিকিৎসা)[]
আরোগ্যসম্ভাবনাপাঁচ-বছর উদ্‌বর্তন হার:
৬৮% (আমেরিকা)
৪৬% (ভারত)[১০]
সংঘটনের হার৬,৬০,০০০ জন নতুন রোগী (২০২২) [১১]
মৃতের সংখ্যা৩,৫০,০০০ (২০২২)[১১]

জরায়ুমুখ ক্যান্সার (ইংরেজি: Cervical cancer) হলো জরায়ুমুখ (সার্ভিক্স) বা এর দেহপ্রাচীরের যে-কোনো স্তর থেকে উদ্ভূত একটি ক্যান্সার (কর্কটরোগ)।[] দেহের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে বা হানা দিতে পারে এমন কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে ক্যান্সার হয়।[১২] শুরুর দিকে সচরাচর কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না।[] পরবর্তীতে প্রকাশিত লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে যোনিপথ দিয়ে অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ হওয়া, শ্রোণিদেশে ব্যথা বা যৌনমিলনের সময় ব্যথা অনুভব করা (ডিসপ্যারুনিয়া বা কষ্টসঙ্গম)।[] যদিও যৌনমিলনের পরে রক্তক্ষরণ সর্বদা গুরুতর কোনো কারণে নাও হতে পারে, তথাপি এটি জরায়ুমুখ ক্যান্সারের উপস্থিতি নির্দেশ করতে পারে।[১৩]

কার্যত সকল জরায়ুমুখ ক্যান্সারের সাথে যৌনাঙ্গে এইচপিভি সংক্রমণের সম্পর্ক আছে;[১৪][][] তবে এইচপিভি সংক্রমণে আক্রান্ত সবার সার্ভাইকাল ক্যান্সার হয় না।[][১৫] বৈশ্বিকভাবে সমস্ত জরায়ুমুখের ক্যান্সারের প্রায় ৭০% এবং উচ্চমাত্রার জরায়ুমুখ প্রাক্‌-ক্যান্সারের ৫০% ঘটে এইচপিভি ১৬ ও ১৮ প্রজাতি দ্বারা।[১৬][১৭] অল্প ঝুঁকি রয়েছে এমন বিষয়গুলো হলো ধূমপান, দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা (ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি) জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি, অল্প বয়সে যৌন ক্রিয়া শুরু করা এবং একাধিক যৌনসঙ্গী থাকা।[][] জরায়ুমুখ ক্যান্সার ঝুঁকিতে জিনগত বিষয়ও ভূমিকা রাখে[১৮] জরায়ুমুখ ক্যান্সার সাধারণত ১০ থেকে ২০ বছর ধরে চলা সার্ভাইকাল ইন্ট্রা-এপিথেলিয়াল নিওপ্লেজিয়া (জরায়ুমুখ উপঝিল্লিকোষ-মধ্যস্থ নবকলায়ন) নামক প্রাক্‌-ক্যান্সার পরিবর্তন থেকে সৃষ্ট হয়।[] ৯০% জরায়ুমুখ ক্যান্সার হলো আঁইশাকার-কোষ কার্সিনোমা, ১০% অ্যাডিনোকার্সিনোমা (গ্রন্থিকর্কটার্বুদ) এবং কিছু অল্পসংখ্যক অন্যান্য ধরনের।[]শনাক্তকরণের জন্য জরায়ুমুখ স্ক্রিনিং ও পরবর্তীতে বায়োপসি (জৈবকলাচ্ছেদন) করা হয়।[] এরপর মেডিকেল চিত্রণের মাধ্যমে দেখা হয় ক্যান্সার দেহের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়েছে কি না।[]

এইচপিভি টিকাদান হলো জরায়ুমুখ ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে সাশ্রয়ী উপায়।[১৪] এখন পর্যন্ত অনুমোদনপ্রাপ্ত টিকার সংখ্যা ছয়টি।[১৬] এগুলো এই গোত্রীয় ভাইরাসের দুই থেকে সাতটি উচ্চ ঝুঁকি সম্পন্ন প্রজাতির বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে এবং প্রায় ৯০% জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে।[][১৯][২০] ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ৫৭ টি দেশে এক ডোজের টিকা দেওয়া হচ্ছে।[২১] নভেম্বর ২০২৪ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে ১৪৪ টি দেশ (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মোট সদস্য দেশের ৭৪%) তাদের জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতে কিশোরীদের জন্য এইচপিভি টিকা চালু করেছে।[২২] ২০২২ সাল পর্যন্ত ৪৭ টি দেশে (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মোট সদস্য দেশের ২৪%) বালকদের জন্য এই টিকা চালু হয়েছে। একটা জনগোষ্ঠীর বৃহৎ অংশকে টিকা প্রদান করা হলে উক্ত জনগোষ্ঠীর মধ্যে এইচপিভি সংক্রমণ হার হ্রাস পায়, যা যূথ অনাক্রম্যতার (হার্ড ইমিউনিটি) উপকারিতা হতে পারে বলে মনে করা হয়।[২৩][২৪] টিকা দেওয়ার পরেও ক্যান্সারের ঝুঁকি কিছুটা থেকে যায়, তাই নিয়মিত প্যাপ পরীক্ষা করার পরামর্শ প্রদান করা হয়।[] এটি প্রতিরোধের অন্যান্য উপায়গুলো হলো একাধিক যৌনসঙ্গী গ্রহণ না করা এবং কনডম ব্যবহার করা।[] প্যাপ স্মিয়ার পরীক্ষা বা অ্যাসিটিক অ্যাসিড দিয়ে ভায়া পরীক্ষার মাধ্যমে জরায়ুমুখ স্ক্রিনিং করলে প্রাক্‌-ক্যান্সার পরিবর্তনগুলো শনাক্ত করা যায়, যার চিকিৎসা সময়মতো করালে ক্যান্সার হওয়া প্রতিরোধ করা যেতে পারে।[২৫] এর চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে অস্ত্রোপচার, কেমোথেরাপি (রাসায়নিক চিকিৎসা) ও রেডিওথেরাপি[] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঁচ-বছর উদ্‌বর্তন হার হলো ৬৮%।[২৬] তবে চিকিৎসার ফলাফল নির্ভর করে কতটা দ্রুত ক্যান্সার শনাক্ত হলো তার উপর।[]

বিশ্বব্যাপী মহিলাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া ও মৃত্যুবরণ উভয় দিক থেকেই জরায়ুমুখ ক্যান্সারের অবস্থান চতুর্থ, ২০২২ সালে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছিল ৬,৬০,০০০ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছিল প্রায় ৩,৫০,০০০ জন।[১১][২৭] এটি মোট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া ও মৃত্যুবরণ করার প্রায় ৮%।[] ৮৮% (২০২০ সালের চিত্র) জরায়ুমুখ ক্যান্সার ও ৯০% মৃত্যু ঘটে নিম্ন- ও মধ্য-আয়ের দেশে, যেখানে উন্নত দেশে এই হার ২% মাত্র (২০২০ সালের চিত্র)।[২৮][][২৯] জরায়ুমুখ ক্যান্সারে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ২০ টি দেশের ১৯ টিই আফ্রিকায়।[২১] নিম্ন-আয়ের দেশগুলোতে মহিলারা সবচেয়ে বেশি যে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় তা হলো জরায়ু ক্যান্সার, যার সংঘটন হার প্রতি এক লাখে ৪৭.৩ জন।[৩০][২৫] উন্নত দেশগুলোতে জরায়ুমুখ স্ক্রিনিং কর্মসূচি ব্যাপকভাবে গ্রহণ করায় এই ক্যান্সার হওয়ার হার নাটকীয়ভাবে কমে গিয়েছে।[৩১]

বাংলাদেশে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের প্রাদুর্ভাব অনেক বেশি, এখানে মহিলাদের ক্যান্সার রোগের ক্ষেত্রে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের অবস্থান দ্বিতীয়। বাংলাদেশে প্রতি লাখে ১১ জন নারী এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হন[৩২] এবং প্রতিবছর প্রায় ৪৯৭১ জন মহিলা এই ক্যান্সারে মৃত্যুবরণ করেন। জরায়ুমুখ ক্যান্সারে মৃত্যুহার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি।[৩২] বাংলাদেশে জরায়ুমুখ ক্যান্সার স্ক্রিনিং কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে ভায়া পরীক্ষা করার ব্যবস্থা রয়েছে।[৩৩]

উপসর্গসমূহ

[সম্পাদনা]

শুরুর দিকে জরায়ুমুখের ক্যান্সারের কোনো লক্ষণাদি দেখা যায় না।[][৩১] যোনিজ রক্তক্ষরণ, যৌনমিলনের পর রক্তক্ষরণ বা খুব বিরল ক্ষেত্রে যোনিজ অর্বুদ ক্যান্সারের উপস্থিতি নির্দেশ করে। অধিকন্তু, যৌনমিলনের সময় মাঝারি ধরনের ব্যথা অনুভব করা ও যোনিপথে স্রাব নির্গত হওয়াও জরায়ুমুখ ক্যান্সারের লক্ষণ।[৩৪] প্রাগ্রসর রোগের ক্ষেত্রে, এটি মেটাস্ট্যাসিস (অভিবাসন) হয়ে উদর, ফুসফুস বা দেহের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।[৩৫]

প্রাগ্রসর জরায়ুমুখ ক্যান্সারের লক্ষণগুলো হলো ক্ষুধামান্দ্য, ওজন হ্রাস পাওয়া, ক্লান্তি, শ্রোণিদেশে ব্যথা, মাজা ব্যথা, পায়ে ব্যথা, পা ফুলে যাওয়া, মাসিকের রাস্তা দিয়ে অনেক রক্তক্ষরণ, হাড় ভেঙে যাওয়া এবং বিরলক্ষেত্রে যোনি থেকে মূত্র বা মল নির্গত হওয়া।[৩৬] ডুশ দেওয়ার পরে বা শ্রোণিদেশে পরীক্ষা করার পরে রক্তক্ষরণ হওয়া জরায়ুমুখ ক্যান্সারের খুবই সাধারণ লক্ষণ।[৩৭]

কারণসমূহ

[সম্পাদনা]
অধিকাংশ ক্ষেত্রে এইচপিভি দ্বারা আক্রান্ত কোষ নিজে নিজেই নিরাময় লাভ করে। তবে, কিছু ক্ষেত্রে ভাইরাস ছড়াতে থাকে এবং আক্রমণমূলক ক্যান্সারে পরিণত হয়।
যোনির ঊর্ধ্বাংশ ও জরায়ুর পশ্চাদ্ অংশের সাথে তুলনা করলে অভ্যন্তরীণ গঠনের আবরণী কলায় পার্থক্য দেখা যায়।

জরায়ুমুখ ক্যান্সারের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ উপাদান হলো এইচপিভি সংক্রমণ, এরপরে রয়েছে ধূমপান।[৩৮] এইচআইভি সংক্রমণও একটি ঝুঁকি উপাদান।[৩৮] জরায়ুমুখ ক্যান্সারের সকল কারণ জানা সম্ভব হয়নি, তবে, কতক অন্যান্য অবদানকারী বিষয় খুঁজে পাওয়া গিয়েছে।[৩৯][৪০]

হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস

[সম্পাদনা]

সাধারণত বিশ্বাস করা হয় যে, জরায়ুমুখ ক্যান্সার হওয়ার জন্য এইচপিভি সংক্রমণ হওয়া প্রয়োজন।[৪১] সারাবিশ্বে ৭৫% ক্ষেত্রে এইচপিভি ১৬ ও ১৮ ধরন দ্বারা জরায়ুমুখ ক্যান্সার হয়, অন্যদিকে ৩১ ও ৪৫ ধরন দ্বারা আরও ১০% ক্ষেত্রে হয়।[৪২] যে-সব মহিলার একাধিক যৌনসঙ্গী রয়েছে বা যাদের স্বামীর একাধিক নারীর সাথে যৌনসম্পর্ক রয়েছে তাদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।[৪৩][৪৪]

২০০-এর বেশি এইচপিভি প্রজাতি রয়েছে,[৪৫] এদের মধ্যে ১২ টি খুব ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে (১৬, ১৮, ৩১, ৩৩, ৩৫,৩৯, ৪৫, ৫১, ৫২, ৫৬, ৫৮ ও ৫৯),[৪৫] তিনটি সম্ভাব্য উচ্চ ঝুঁকি হিসেবে (২৬, ৫৩ ও ৬৬) ও ১২ টি নিম্ন ঝুঁকি হিসেবে (৬, ১১, ৪০, ৪২, ৪৩, ৪৪, ৫৪, ৬১, ৭০, ৭২, ৮১ ও সিপি৬১০৮) শ্রেণিভুক্ত করা হয়।[৪৬]

জননাঙ্গীয় আঁচিল, যা আবরণী কলার নিরীহ অর্বুদের একটি ধরন, এইচপিভির বিভিন্ন প্রজাতি দ্বারা হয়। তবে, এই সেরোটাইপগুলো সার্ভাইকাল ক্যান্সারের সাথে সম্পর্কিত না। যুগপৎভাবে একাধিক প্রজাতি দ্বারা সংক্রমণ ঘটতে পারে, যেমন আঁচিল সৃষ্টিকারী ও ক্যান্সার সৃষ্টিকারী জীবাণু।

ধূমপান

[সম্পাদনা]

প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ উভয়ভাবে সিগারেট খাওয়া সার্ভাইকাল ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। পরোক্ষ ধূমপানও ঝুঁকি বাড়ায় তবে অল্প পরিমাণে। অধূমপায়ীদের তুলনায় বর্তমান ও সাবেক ধূমপায়ীদের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি দুই থেকে তিনগুণ বেশি।[৪৭]

জরায়ুমুখ ক্যান্সার সৃষ্টিতে ধূমপানের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উভয় ভূমিকাই আছে।[৪৮][৪৯][৩৮] ধূমপান কয়েকভাবে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।[৪৮][৩৮][৫০] ধূমপায়ীদের সার্ভাইকাল ইন্ট্রা-এপিথেলিয়াল নিওপ্লেজিয়া (জরায়ুমুখ উপঝিল্লিকোষ-মধ্যস্থ নবকলায়ন) হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়, যা পরবর্তীতে ক্যান্সারে রূপ নিতে পারে।[৪৮] অধূমপায়ী বা অল্প ধূমপায়ীদের তুলনায় বেশি ধূমপায়ী বা দীর্ঘদিন ধরে ধূমপান করে এমন মহিলাদের সার্ভাইকাল ইন্ট্রা-এপিথেলিয়াল নিওপ্লেজিয়া হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।[৫১] ধূমপান জরায়ুমুখ ক্যান্সার হওয়ার সাথে যুক্ত হলেও, এটি এইচপিভি-র বিকাশে সহায়তা করে যা এ-ধরনের ক্যান্সারের প্রধান কারণ।[৩৮] এটি যে কেবল এইচপিভি-র বিকাশে সাহায্য করে তা নয়, বরং যদি মহিলাটি ইতোমধ্যে এইচপিভি-পজিটিভ হয়ে থাকে তাহলে তার জরায়ুমুখের ক্যান্সারের সম্ভাবনা খুবই বেশি।[৫১]

জন্মনিরোধক খাবার বড়ি

[সম্পাদনা]

এইচপিভি জীবাণুতে আক্রান্ত এমন মহিলা জন্মনিরোধক বড়ি দীর্ঘদিন খেলে তাদের জরায়ুমুখের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। যারা ৫ থেকে ৯ বছর ধরে খাচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে আক্রমণমূলক ক্যান্সারের ঘটনা তিনগুণ বেড়ে যায়, অন্যদিকে যারা ১০ বা ততধিক বছর ধরে ব্যবহার করছে, তাদের ক্ষেত্রে এটি চারগুণ বেড়ে যায়।[৪৭][৫২]

বহু গর্ভধারণ

[সম্পাদনা]

বহু গর্ভধারণ জরায়ুমুখের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এইচপিভি সংক্রমিত মহিলাদের মধ্যে যারা সাত বা ততোধিক পূর্ণকালীন গর্ভধারণ করেছেন তাদের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি যারা কখনো গর্ভধারণ করেনি তাদের থেকে চারগুণ বেশি।[৪৭]

সংক্রমণ

[সম্পাদনা]

২০ বছরের কম বয়সীদের নিচে এ রোগ সাধারণত হয় না। আক্রান্তরা সাধারণত ৩৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সী হয়ে থাকেন। ৬০ বছরের পরও এ রোগ হতে পারে, তবে সংখ্যা তুলনামূলক কম। উপযুক্ত চিকিৎসায় শতভাগ আরোগ্য সম্ভব। হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) হিউম্যান পেপিলোমা বা এইচপি ভাইরাস জরায়ুমুখের ক্যানসারের একটি অন্যতম কারণ, তবে এটি একমাত্র কারণ নয়। যৌন সংযোগে এর সংক্রমণ ঘটে। সংক্রমণের এক যুগেরও বেশি সময় ধরে জরায়ুমুখের স্বাভাবিক কোষ পরিবর্তিত হতে থাকে এবং একসময় তা ক্যান্সারে রূপ নেয়। এযাবৎ (প্রেক্ষিত ২০১০) ১০০ ধরনের এইচপি ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, যার বেশিরভাগই জরায়ু ক্যান্সারের জন্য অতোটা ঝুঁকিপূর্ণ নয়। তবে এইচপিভি-১৬, এইচপিভি ১৮, এইচপিভি-৬, এইচপিভি-১১ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। স্বাভাবিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত নারীদের জরায়ু প্রায়ই এইচপি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে। এতে কোনো উপসর্গ থাকে না বা শারীরিক পরীক্ষায় কোনো চিহ্ন বা ক্ষত পাওয়া যায় না। এর জন্য কোনো চিকিৎসারও প্রয়োজন নেই। শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতাবলে ১৮-২৪ মাসের মধ্যে জরায়ু প্রায় সব এইচপি ভাইরাস থেকে মুক্ত হয়ে যায়। জরায়ুতে এইচপি ভাইরাস দীর্ঘদিন স্থায়ী হলে, জরায়ু কোষে পরিবর্তনের সূত্রপাত হয় এবং ধীরে ধীরে তা ক্যান্সারে রূপ নেয়।

প্যাপ স্মিয়ার টেস্ট

[সম্পাদনা]

প্যাপ স্মিয়ার টেস্ট, এ-জাতীয় ক্যান্সার শনাক্তকরণের একটি সহজ পরীক্ষা। জরায়ুমুখ থেকে রস নিয়ে অণুবীক্ষণযন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করে ক্যান্সার, ক্যান্সার হওয়ার পূর্বাবস্থা ও জরায়ুমুখের অন্যান্য রোগ যেমন প্রদাহ (ইনফ্লামেশন) শনাক্ত করা যায়। এটি একটি ব্যথামুক্ত ও সাশ্রয়ী পরীক্ষা পদ্ধতি। সাধারণত বিবাহিত নারীদের ২১ বছরের পর থেকে এ পরীক্ষা শুরু করা যেতে পারে এবং দুই বছরে একবার করে পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেয়া হয়। ৩০ থেকে ৬৪ বছর বয়স পর্যন্ত, যাদের ফলাফল তিনবার 'স্বাভাবিক' এসেছে, তারা প্রতি তিন বছর পর পর এই পরীক্ষা করা উচিত।[৫৩] তবে চিকিৎসকের পরামর্শে এ রুটিনের পরিবর্তন হতে পারে।

প্রতিরোধক

[সম্পাদনা]

সাধারণত ১০ বছর বয়সের পর থেকেই জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধক টিকা নেয়া যায়। মোট তিন ডোজ টিকা নিতে হয় – প্রথম ডোজের এক মাস পর দ্বিতীয় ডোজ এবং প্রথম ডোজের ছয় মাস পর তৃতীয় ডোজ টিকা নিতে হয়। টিকা গ্রহণের পাশাপাশি নিয়মিত পরীক্ষা করালে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের আক্রমণ হার কমিয়ে আনা যায়। ভাইরাস এইচপিভি-১৬, এইচপিভি-১৮, এইচপিভি-৬, এইচপিভি-১১-এর প্রতিরোধক টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে। আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) নিয়মানুযায়ী নয় থেকে ২৫ বছর বয়সে এ টিকা কার্যকর হয়। গর্ভাবস্থায় এ টিকা প্রদানের অনুমোদন নেই। আক্রান্ত হয়ে ক্যান্সার সংঘটনের পর এই টিকা আর কোনো কাজে আসে না।

তবে ঔষধি প্রতিরোধকের চেয়ে আচরণগত প্রতিরোধকের দিকে বিজ্ঞানীরা বেশি গুরুত্বারোপ করেছেন। যেমন: বাল্য বিবাহ রোধ; অধিক সন্তান প্রসব; ধূমপান করা (এমনকি পরোক্ষ ধূমপানের স্বীকার হওয়া); পানের সাথে জর্দা, সাদা পাতা, দাঁতের গোড়ায় গুল (তামাকের গুঁড়া) রাখা ইত্যাদি কারণে এই ক্যান্সারে আক্রান্তের সম্ভাবনা বাড়ে। আর সুষম খাবার গ্রহণ; দৈনিক তিন-চারবার ফল, শাকসব্জি, তরকারি খাওয়া; পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যসম্মত, সুশৃঙ্খল জীবনযাপন ও সামাজিক অনুশাসন মান্য করা এই রোগ প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এর পাশাপাশি নারীর, নিয়মিত পেপস স্মেয়ার টেস্টে অংশ নেওয়া উচিত, তাতে রোগ আগেভাগে শনাক্ত করা সম্ভব হয়।

বিশ্বব্যাপি বিস্তার

[সম্পাদনা]
সারাবিশ্বে ২০০৪ সালে প্রতিলাখে বয়স অনুসারে গড় নারীমৃত্যুর হার[৫৪]
  তথ্য নেই
  ২.৪এর কম
  ২.৪-৪.৮
  ৪.৮-৭.২
  ৭.২-৯.৬
  ৯.৬-১২
  ১২-১৪.৪
  ১৪.৪-১৬.৮
  ১৬.৮-১৯.২
  ১৯.২-২১.৬
  ২১.৬-২৪
  ২৪-২৬.৪
  ২৬.৪এর বেশি

জরায়ুমুখ ক্যান্সার বিশ্বব্যাপী ১২তম সবচেয়ে পরিচিত রোগের নাম। নারীদের জন্য ৫ম প্রাণঘাতী রোগের নাম জরায়ুমুখ ক্যান্সার।[৫৫] প্রতিলাখে প্রতিবছর ১৬ জন নারী এই রোগে আক্রান্ত হন। যাদের ৮জনই মৃত্যুবরণ করেন। [৫৬] আনুমানিক ৮০শতাংশ উন্নয়নশীল দেশের নারীরা এই ব্যাধিতে আক্রান্ত।[৫৭] ২০০৮ সালে বিশ্বব্যাপী ৪৭৩,০০০ টি জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার ঘটনা জানা যায়। ২৫৩,০০০ জনের প্রতিবছরে মৃত্যু হয়।[৫৮] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জরায়ুমুখ ক্যান্সারে ৮ম কমন রোগ। ১৯৯৮ সালে ১২,৮০০ মার্কিন নারীর মধ্যে ৪,৮০০ জন মৃত্যুবরণ করেন।২০০৮ সালে ৩,৮৭০ জন মার্কিন নারী এই রোগে মারা যায় বলে ধারণা করা হয়।[৫৯]

বাংলাদেশ

[সম্পাদনা]

দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ১৩,০০০ নারী নতুন করে জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং প্রতিবছর মৃত্যুবরণ করেন প্রায় ৬,৬০০ নারী (প্রেক্ষিত ২০১০)। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে সারাদেশে ১৮ জন নারী মারা যাচ্ছেন জরায়ু-মুখ ক্যান্সারে। জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ক্যান্সার ইপিডেমিওলজি বিভাগ থেকে সর্বশেষ প্রকাশ করা প্রতিবেদনমতে, ২০০৫ সালে পাঁচ হাজার ৪১১ জন মোট ক্যান্সার শনাক্ত রোগীর মধ্যে নারীর সংখ্যা ছিল দুই হাজার ২৭৫ জন। এর মধ্যে জরায়ুমুখের ক্যান্সারের রোগীর সংখ্যা ছিল ৫৬১ জন।এ ক্যান্সারে আক্রান্ত ৫৬১ জনের মধ্যে ২১৩ জনেরই বয়স ছিল ৪০ থেকে ৪৯ বছর বয়সের মধ্যে। আর ২০ থেকে ২৯ বছর বয়সের মধ্যে ছিল ২৬ জন। [৬০]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "CERVICAL | meaning in the Cambridge English Dictionary"dictionary.cambridge.org। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১৯ 
  2. "Cervical Cancer Treatment (PDQ®)"NCI। ১৪ মার্চ ২০১৪। ৫ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১৪ 
  3. World Cancer Report 2014। World Health Organization। ২০১৪। পৃষ্ঠা Chapter 1.1। আইএসবিএন 978-92-832-0429-9 
  4. "Cervical Cancer Treatment (PDQ®)"National Cancer Institute। ১৪ মার্চ ২০১৪। ৫ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১৪ 
  5. Kumar V, Abbas AK, Fausto N, Mitchell RN (২০০৭)। Robbins Basic Pathology (8th সংস্করণ)। Saunders Elsevier। পৃষ্ঠা 718–721। আইএসবিএন 978-1-4160-2973-1 
  6. Kufe D (২০০৯)। Holland-Frei cancer medicine (8th সংস্করণ)। New York: McGraw-Hill Medical। পৃষ্ঠা 1299। আইএসবিএন 978-1-60795-014-1। ১ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  7. Bosch FX, de Sanjosé S (২০০৭)। "The epidemiology of human papillomavirus infection and cervical cancer"Disease Markers23 (4): 213–227। ডিওআই:10.1155/2007/914823অবাধে প্রবেশযোগ্যপিএমআইডি 17627057পিএমসি 3850867অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  8. "Cervical Cancer Prevention (PDQ®)"National Cancer Institute। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪। ৬ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১৪ 
  9. "Human Papillomavirus (HPV) Vaccines"National Cancer Institute। ২৯ ডিসেম্বর ২০১১। ৪ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১৪ 
  10. "Global Cancer Facts & Figures 3rd Edition" (পিডিএফ)। ২০১৫। পৃষ্ঠা 9। ২২ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১৭ 
  11. Bray, F; Laversanne, M; Sung, H; Ferlay, J; Siegel, RL; Soerjomataram, I; Jemal, A (মে ২০২৪)। "Global cancer statistics 2022: GLOBOCAN estimates of incidence and mortality worldwide for 36 cancers in 185 countries."। CA: a cancer journal for clinicians৭৪: ২২৯–২৬৩। ডিওআই:10.3322/caac.21834পিএমআইডি 38572751 |pmid= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) 
  12. "Defining Cancer"National Cancer Institute। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭। ২৫ জুন ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুন ২০১৪ 
  13. Tarney CM, Han J (২০১৪)। "Postcoital bleeding: a review on etiology, diagnosis, and management"Obstetrics and Gynecology International2014: 192087। ডিওআই:10.1155/2014/192087অবাধে প্রবেশযোগ্যপিএমআইডি 25045355পিএমসি 4086375অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  14. "Immunizing against HPV"World Health Organization। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০২৪ 
  15. Dunne EF, Park IU (ডিসেম্বর ২০১৩)। "HPV and HPV-associated diseases"। Infectious Disease Clinics of North America27 (4): 765–778। ডিওআই:10.1016/j.idc.2013.09.001পিএমআইডি 24275269 
  16. "Human papillomavirus vaccines (HPV)"World Health Organization। ৭ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 
  17. "Cervical cancer"www.who.int (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-১৩ 
  18. Ramachandran D, Dörk T (অক্টোবর ২০২১)। "Genomic Risk Factors for Cervical Cancer"Cancers13 (20): 5137। ডিওআই:10.3390/cancers13205137অবাধে প্রবেশযোগ্যপিএমআইডি 34680286 |pmid= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)পিএমসি 8533931অবাধে প্রবেশযোগ্য |pmc= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) 
  19. "FDA approves Gardasil 9 for prevention of certain cancers caused by five additional types of HPV"U.S. Food and Drug Administration। ১০ ডিসেম্বর ২০১৪। ১০ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১৫ 
  20. Tran NP, Hung CF, Roden R, Wu TC (২০১৪)। "Control of HPV Infection and Related Cancer Through Vaccination"। Viruses and Human Cancer। Recent Results in Cancer Research। 193। পৃষ্ঠা 149–171। আইএসবিএন 978-3-642-38964-1ডিওআই:10.1007/978-3-642-38965-8_9পিএমআইডি 24008298 
  21. "WHO adds an HPV vaccine for single-dose use"World Health Organization। ৪ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০২৪ 
  22. "WHO and partners rally cervical cancer elimination efforts"। World Health Organization। ১৭ নভেম্বর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০২৪ 
  23. Drolet M, Bénard É, Pérez N, Brisson M (আগস্ট ২০১৯)। "Population-level impact and herd effects following the introduction of human papillomavirus vaccination programmes: updated systematic review and meta-analysis"Lancet394 (10197): 497–509। ডিওআই:10.1016/S0140-6736(19)30298-3পিএমআইডি 31255301পিএমসি 7316527অবাধে প্রবেশযোগ্য |pmc= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) 
  24. Saville AM (এপ্রিল ২০১৬)। "Cervical cancer prevention in Australia: Planning for the future"। Cancer Cytopathology124 (4): 235–240। ডিওআই:10.1002/cncy.21643অবাধে প্রবেশযোগ্যপিএমআইডি 26619381 
  25. World Health Organization (ফেব্রুয়ারি ২০১৪)। "Fact sheet No. 297: Cancer"। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১৪ 
  26. "SEER Stat Fact Sheets: Cervix Uteri Cancer"NCI। National Cancer Institute। ১০ নভেম্বর ২০১৪। ৬ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৪ 
  27. WHO (মার্চ ৫, ২০২৪)। "Cervical cancer"WHIO। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪ 
  28. "WHO adds an HPV vaccine for single-dose use"World Health Organization। ৪ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০২৪ 
  29. "Cervical cancer prevention and control saves lives in the Republic of Korea"World Health Organization। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০১৮ 
  30. Donnez J (এপ্রিল ২০২০)। "An update on uterine cervix pathologies related to infertility"। Fertility and Sterility113 (4): 683–684। ডিওআই:10.1016/j.fertnstert.2020.02.107অবাধে প্রবেশযোগ্যপিএমআইডি 32228872 |pmid= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) 
  31. Canavan TP, Doshi NR (মার্চ ২০০০)। "Cervical cancer"American Family Physician61 (5): 1369–1376। পিএমআইডি 10735343। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  32. Uddin, AFMK; Sumon, MA; Pervin, S; Sharmin, F (২০২৩)। "Cervical Cancer in Bangladesh"South Asian journal of cancer। ১২(১): ৩৬-৩৮। ডিওআই:10.1055/s-0043-1764202পিএমআইডি 36851938 |pmid= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)পিএমসি 9966158অবাধে প্রবেশযোগ্য |pmc= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) 
  33. Nessa, A; Khanom, Q; Ripa, SZ; Khan, KH; Azad, AK; Kamal, M (২০১৯)। "Present Status of Cervical Cancer Screening in Bangladesh" (পিডিএফ)Journal of Histopathology and Cytopathology৩(১): ৪৫-৫২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০২৪ 
  34. "Cervical Cancer Symptoms, Signs, Causes, Stages & Treatment"medicinenet.com 
  35. Li H, Wu X, Cheng X (জুলাই ২০১৬)। "Advances in diagnosis and treatment of metastatic cervical cancer"Journal of Gynecologic Oncology27 (4): e43। ডিওআই:10.3802/jgo.2016.27.e43পিএমআইডি 27171673পিএমসি 4864519অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  36. "Cervical cancer"MedlinePlus Medical Encyclopedia। National Institutes of Health। ৯ জুন ২০০৬। ১১ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০০৭ 
  37. "Cervical Cancer Prevention and Early Detection"Cancer। ১০ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  38. Gadducci A, Barsotti C, Cosio S, Domenici L, Riccardo Genazzani A (আগস্ট ২০১১)। "Smoking habit, immune suppression, oral contraceptive use, and hormone replacement therapy use and cervical carcinogenesis: a review of the literature"। Gynecological Endocrinology27 (8): 597–604। এসটুসিআইডি 25447563ডিওআই:10.3109/09513590.2011.558953পিএমআইডি 21438669 
  39. Campbell S, Monga A (২০০৬)। Gynaecology by Ten Teachersবিনামূল্যে নিবন্ধন প্রয়োজন (18th সংস্করণ)। Hodder Education। আইএসবিএন 978-0-340-81662-2 
  40. "Cervical Cancer Symptoms, Signs, Causes, Stages & Treatment"medicinenet.com 
  41. Snijders PJ, Steenbergen RD, Heideman DA, Meijer CJ (জানুয়ারি ২০০৬)। "HPV-mediated cervical carcinogenesis: concepts and clinical implications"। The Journal of Pathology208 (2): 152–164। এসটুসিআইডি 25400770ডিওআই:10.1002/path.1866অবাধে প্রবেশযোগ্যপিএমআইডি 16362994 
  42. Dillman RK, Oldham RO, সম্পাদকগণ (২০০৯)। Principles of cancer biotherapy (5th সংস্করণ)। Dordrecht: Springer। পৃষ্ঠা 149। আইএসবিএন 978-90-481-2289-9। ২৯ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  43. "What Causes Cancer of the Cervix?"। American Cancer Society। ৩০ নভেম্বর ২০০৬। ১৩ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০০৭ 
  44. Marrazzo JM, Koutsky LA, Kiviat NB, Kuypers JM, Stine K (জুন ২০০১)। "Papanicolaou test screening and prevalence of genital human papillomavirus among women who have sex with women"American Journal of Public Health91 (6): 947–952। ডিওআই:10.2105/AJPH.91.6.947পিএমআইডি 11392939পিএমসি 1446473অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  45. "HPV and Cancer - NCI"www.cancer.gov (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৩-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১৩ 
  46. Muñoz N, Bosch FX, de Sanjosé S, Herrero R, Castellsagué X, Shah KV, ও অন্যান্য (ফেব্রুয়ারি ২০০৩)। "Epidemiologic classification of human papillomavirus types associated with cervical cancer"The New England Journal of Medicine348 (6): 518–527। hdl:2445/122831অবাধে প্রবেশযোগ্যএসটুসিআইডি 1451343ডিওআই:10.1056/NEJMoa021641পিএমআইডি 12571259 
  47. "Cervical Cancer Prevention"PDQ। Bethesda, MD: National Cancer Institute, National Institutes of Health। ২৬ ডিসেম্বর ২০২২। 
  48. Luhn P, Walker J, Schiffman M, Zuna RE, Dunn ST, Gold MA, ও অন্যান্য (ফেব্রুয়ারি ২০১৩)। "The role of co-factors in the progression from human papillomavirus infection to cervical cancer"Gynecologic Oncology128 (2): 265–270। ডিওআই:10.1016/j.ygyno.2012.11.003পিএমআইডি 23146688পিএমসি 4627848অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  49. Remschmidt C, Kaufmann AM, Hagemann I, Vartazarova E, Wichmann O, Deleré Y (মার্চ ২০১৩)। "Risk factors for cervical human papillomavirus infection and high-grade intraepithelial lesion in women aged 20 to 31 years in Germany"। International Journal of Gynecological Cancer23 (3): 519–526। এসটুসিআইডি 205679729ডিওআই:10.1097/IGC.0b013e318285a4b2পিএমআইডি 23360813 
  50. Agorastos T, Miliaras D, Lambropoulos AF, Chrisafi S, Kotsis A, Manthos A, Bontis J (জুলাই ২০০৫)। "Detection and typing of human papillomavirus DNA in uterine cervices with coexistent grade I and grade III intraepithelial neoplasia: biologic progression or independent lesions?"। European Journal of Obstetrics, Gynecology, and Reproductive Biology121 (1): 99–103। ডিওআই:10.1016/j.ejogrb.2004.11.024পিএমআইডি 15949888 
  51. Jensen KE, Schmiedel S, Frederiksen K, Norrild B, Iftner T, Kjær SK (নভেম্বর ২০১২)। "Risk for cervical intraepithelial neoplasia grade 3 or worse in relation to smoking among women with persistent human papillomavirus infection"Cancer Epidemiology, Biomarkers & Prevention21 (11): 1949–1955। ডিওআই:10.1158/1055-9965.EPI-12-0663পিএমআইডি 23019238পিএমসি 3970163অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  52. Asthana S, Busa V, Labani S (এপ্রিল ২০২০)। "Oral contraceptives use and risk of cervical cancer-A systematic review & meta-analysis"। European Journal of Obstetrics, Gynecology, and Reproductive Biology247: 163–175। এসটুসিআইডি 211728228ডিওআই:10.1016/j.ejogrb.2020.02.014পিএমআইডি 32114321 |pmid= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) 
  53. স্বাস্থ্যবটিকা, মাইকেল এ. পেট্টি, দৈনিক প্রথম আলো, পৃ. ১৩; প্রকাশকাল: ৩ জানুয়ারি ২০১২; সংগ্রহের তারিখ: ৬ জানুয়ারি ২০১২ খ্রিস্টাব্দ।
  54. "WHO Disease and injury country estimates"World Health Organization। 2009। সংগ্রহের তারিখ Nov. 11, 2009  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  55. World Health Organization (২০০৬)। "Fact sheet No. 297: Cancer"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১২-০১  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  56. "GLOBOCAN 2002 database: summary table by cancer"। ২০০৮-০৬-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১০-২৬ 
  57. PMID 20508781 (PubMed)
    কয়েক মিনিটের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে উদ্ধৃতি সম্পন্ন করা হবে। Jump the queue বা expand by hand
  58. "NCCC National Cervical Cancer Coalition"। ২০০৮-০৮-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৭-০১ 
  59. "What Are the Key Statistics About Cervical Cancer?"American Cancer Society। ২০০৮-০৩-২৬। ২০০৮-০৪-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৮-১৯ 
  60. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৮ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০১১ 

আরও পঠন

[সম্পাদনা]
  • Arbyn M, Castellsagué X, de Sanjosé S, Bruni L, Saraiya M, Bray F, Ferlay J (ডিসেম্বর ২০১১)। "Worldwide burden of cervical cancer in 2008"। Annals of Oncology22 (12): 2675–2686। ডিওআই:10.1093/annonc/mdr015অবাধে প্রবেশযোগ্যপিএমআইডি 21471563 
  • Bhatla N, Aoki D, Sharma DN, Sankaranarayanan R (অক্টোবর ২০১৮)। "Cancer of the cervix uteri"। International Journal of Gynaecology and Obstetrics143 (Suppl 2): 22–36। ডিওআই:10.1002/ijgo.12611অবাধে প্রবেশযোগ্যপিএমআইডি 30306584 


বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]


শ্রেণীবিন্যাস
বহিঃস্থ তথ্যসংস্থান

টেমপ্লেট:Human papillomavirus

টেমপ্লেট:Female genital neoplasia