বিষয়বস্তুতে চলুন

ছুটি খান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা Md. Golam Mukit Khan (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৯:৫১, ২৪ জুলাই ২০২২ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (স)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

লস্কর
ছুটি খান
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মনুসরত খান
চট্টগ্রাম জেলা, বাংলা সালতানাত
পিতাপরাগল খান
পেশাসেনা কর্মকর্তা ও প্রশাসক
সময়কালষোড়শ শতাব্দী
সামরিক পরিষেবা
আনুগত্যবাংলা সালতানাত
পদলস্কর (সেনাপতি)
যুদ্ধবাংলা সালতানাত–ত্রিপুরা রাজ্যের যুদ্ধ

নুসরত খান (ফার্সি: نصرت خان) বাংলা সালতানাতের একজন সামরিক কর্মকর্তা এবং চট্টগ্রামের উত্তরাঞ্চলের শাসক। তিনি ছুটি খান বা ছুটি খাঁ নামেই সমধিক পরিচিত। তার নির্দেশে শ্রীকর নন্দী মহাভারতের একটি পর্ব বাংলায় অনুবাদ করেন, যা ছুটি খানি মহাভারত নামে পরিচিত।[] তার নামানুসারে মীরসরাইয়ে ছুটি খাঁ জামে মসজিদ নামে একটি ঐতিহাসিক মসজিদ রয়েছে।[]

প্রারম্ভিক জীবন

ছুটি খান চট্টগ্রামের এক অভিজাত মুসলিম পরিবারে পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা পরাগল খান এবং দাদা রাস্তি খান ছিলেন বাংলা সালতানাতের সেনাপতি এবং উত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের শাসনকর্তা।[]

কর্মজীবন

ছুটি খান উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তাকে সালতানাতের সীমানা রক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়। ত্রিপুরা রাজ্যের রাজা ধন্যমাণিক্য ১৫১৩ এবং ১৫১৫ সালে দুবার চট্টগ্রাম আক্রমণ করলেও ছুটি সফলভাবে তাদের হাত থেকে সালতানাতকে রক্ষা করেন। সেই সাথে তিনি ত্রিপুরার বেশ কিছু অঞ্চল জয় করে বাংলা সালতানাতের অধীনে আনেন। বাংলার সুলতান নাসিরউদ্দিন নুসরাত শাহের সাথে তার সুসম্পর্ক ছিল।[]

ছুটি খান সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তিনি তার দরবারের কবি শ্রীকর নন্দীকে মহাভারতের অশ্বমেধ পর্ব সংস্কৃত থেকে বাংলায় অনুবাদ করার নির্দেশ দেন। কাব্যটি পয়ার ও ত্রিপদী মাত্রা বিন্যাসে লেখা হয়। ছুটি খানের নামানুসারে একে ছুটিখানি মহাভারত বলা হয়ে থাকে।[]

তিনি চট্টগ্রামে একটি খাল নির্মাণ করেন যা আজও বিদ্যমান। তিনি ছুটি খাঁ মসজিদ নির্মাণ করেন, যা এখনও টিকে আছে।[] ছুটিখানি মহাভারত হল মহাভারতের প্রথম দিকের বাংলা সংস্করণগুলোর একটি।[][]

তথ্যসূত্র

  1. দত্ত, অমরেশ (১৯৮৭)। Encyclopaedia of Indian Literature: A-Devo (ইংরেজি ভাষায়)। সাহিত্য অকাদেমি। পৃষ্ঠা ২৩। আইএসবিএন 978-81-260-1803-1 
  2. আহমদ মমতাজ (২০১২)। "ছুটি খান"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  3. ম্যাসিগনন, লুইস (২০১৯)। The Passion of Al-Hallaj, Mystic and Martyr of Islam, Volume 2: The Survival of Al-Hallaj (ইংরেজি ভাষায়)। প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ২৮৮। আইএসবিএন 978-0-691-65721-9 
  4. লাল, মোহন (১৯৯২)। Encyclopaedia of Indian Literature: Sasay to Zorgot (ইংরেজি ভাষায়)। সাহিত্য অকাদেমি। পৃষ্ঠা ৪০৮০। আইএসবিএন 978-81-260-1221-3 
  5. শামসুল হোসাইন (২০১২)। "ছুটি খান মসজিদ"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০২২ 
  6. ঘোষ, পিকা (২০০৫)। Temple to Love: Architecture and Devotion in Seventeenth-century Bengal (ইংরেজি ভাষায়)। ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ২১৭। আইএসবিএন 978-0-253-34487-8 
  7. সরকার, বিনয় কুমার (১৯৮৫)। The Positive Background of Hindu Sociology: Introduction to Hindu Positivism (ইংরেজি ভাষায়)। Motilal Banarsidass Publishe। পৃষ্ঠা ৪৫৭। আইএসবিএন 978-81-208-2664-9