২০২২-এ সিলেটে বন্যা
তারিখ | ১১ মে ২০২২ — চলমান |
---|---|
অবস্থান | সিলেটের ৬টি, সুনামগঞ্জের ৬টি ও নেত্রকোনা জেলায় বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক রূপ নেয়। |
আসাম ও অরুণাচল প্রদেশে অধিক বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলে সুরমা নদী, কুশিয়ারা নদী ও অনান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়।[১][২][৩][৪][৫][৬]
কারণ
১১ মে ২০২২ থেকে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের চলমান থাকে। এর কারণে সিলেট জেলায় বন্যা শুরু হয়। জেলার অভ্যন্তর দিয়ে প্রবাহিত সুরমা নদী সারি নদী লুভা নদী ধলাই নদী কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পায় এবং প্রতিটি পয়েন্টই বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। উজানের পানি নামতে থাকায় নতুন করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।[৭]
ক্ষয়ক্ষতি
সিলেট জেলায় কৃষিকাজের উপযুক্ত জমিগুলো পানিতে তলিয়ে যায়। পানিতে তলিয়ে যাওয়া জমিগুলোর মধ্যে রয়েছে আউশ ধানের বীজতলা যার আয়তন ১,৪২১ হেক্টর। ১৭০৪ হেক্টর আয়তনের বোরো ফসলের জমি এবং ১,৩৩৪ হেক্টর আয়তনের গ্রীষ্মকালীন সবজির জমিও বন্যা থেকে রেহাই পায়নি। এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ার পর সেখানের প্লাবিত পুকুর ও জলাশয় থেকে অনেক মাছ ভেসে উঠতে দেখা যায়। বন্যার কারণে সিলেটের ৬৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ায় বন্ধ করা হয়। সিলেট জেলার ৫৫টি ইউনিয়ন সম্পূর্ণভাবে এবং ১৫টি ইউনিয়ন আংশিক প্লাবিত হয়।[৭]
তথ্যসূত্র
- ↑ "সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ, শহরে হু-হু করে ঢুকছে পানি"। দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-২২।
- ↑ "সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি, সুনামগঞ্জ-নেত্রকোনায় অবনতি"। জাগো নিউজ। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-২২।
- ↑ "সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি"। সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-২২।
- ↑ "সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ রূপ"। jaintabarta24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-২২।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব। "সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ত্রাণের জন্য আকুতি"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-২২।
- ↑ আহমেদ, মঞ্জুর; ডটকম, সিলেট প্রতিনিধি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর। "দেড় যুগে এমন বন্যা দেখেনি সিলেটের মানুষ"। bangla.bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-২২।
- ↑ ক খ "সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ৮৬ ইউনিয়ন প্লাবিত"। banglanews24.com। ২০২২-০৫-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-২২।