১৯৩৭ দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল

১৯৩৭ দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল

এস্তাদিও গাসোমেত্রো, ফাইনালের স্থান
প্রতিযোগিতা	১৯৩৭ দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপ
আর্জেন্টিনা ব্রাজিল ২ ০
তারিখ	১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৭
রেফারি	লুইস আলবেরতো মিরাবল (উরুগুয়ে)
দর্শক সংখ্যা	৮০,০০০

১৯৩৭ দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল ছিল ১৯৩৭ দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপের বিজয়ী নির্ধারণের চূড়ান্ত ম্যাচ, এই মহাদেশীয় প্রতিযোগিতার ১৪ তম সংস্করণ। এটি ১ ফেব্রুয়ারী ১৯৩৭ তারিখে সান লরেঞ্জো দে আলমাগ্রোর ভেন্যু, বুয়েনোস আইরেসের এস্তাদিও গাসোমেত্রোতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। গরমের কারণে (প্রতিযোগিতাটি গ্রীষ্মে খেলা হয়েছিল) বেশিরভাগ ম্যাচই রাতে খেলা হত (তখন পর্যন্ত আর্জেন্টিনার এস্তাদিও গ্যাসোমেট্রোই ছিল একমাত্র স্টেডিয়াম যেখানে কৃত্রিম আলোকসজ্জা ছিল) অন্য খেলাগুলি দিনের বেলায় খেলা হত (রিভার প্লেতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এর ভেন্যু, এস্তাদিও আলভেয়ার ও তাগল)।

আর্জেন্টিনা ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচটি ২–০ স্কোরে জিতেছে, এটি সহ তারা তাদের পঞ্চম মহাদেশীয় শিরোপা জিতেছে।

যোগ্য দল

দল	পূর্বের চূড়ান্ত উপস্থিতি
আর্জেন্টিনা	(কোনটিই নয়)
ব্রাজিল	১৯১৯, ১৯২২

হাইলাইটেড শব্দ বিজয়ী সাল নির্দেশ করে

ফাইনালের পথ

আর্জেন্টিনা		পর্ব	ব্রাজিল
প্রতিপক্ষ	ফলাফল	গ্রুপ পর্ব	প্রতিপক্ষ	ফলাফল
চিলি	২–১	ম্যাচ ১	পেরু	৩–২
প্যারাগুয়ে	৬–১	ম্যাচ ২	চিলি	৬-৪
পেরু	১–০	ম্যাচ ৩	প্যারাগুয়ে	৫–০
উরুগুয়ে	২–৩	ম্যাচ ৪	উরুগুয়ে	৩–২
ব্রাজিল	১–০	ম্যাচ ৫	আর্জেন্টিনা	০–১
দল ম্যাচ বি ড্র হ গোল জিএ জিডি পয়েন্ট আর্জেন্টিনা ৫ ৪ ০ ১ ১২ ৫ +৭ ৮ ব্রাজিল ৫ ৪ ০ ১ ১৭ ৮ +৮ ৮ উরুগুয়ে ৫ ২ ০ ৩ ১১ ১৪ −৩ ৪ প্যারাগুয়ে ৫ ২ ০ ৩ ৮ ১৬ −৮ ৪ চিলি ৫ ১ ১ ৩ ১২ ১৩ −১ ৩ পেরু ৫ ১ ১ ৩ ৭ ১০ −৩ ৩

টীকা

• আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিল পয়েন্টে টাই শেষ করে, তাই চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণের জন্য একটি প্লে অব ম্যাচ খেলতে হয়েছিল।

পরিদর্শন

ব্রাজিল তাদের দুইজন উল্লেখযোগ্য খেলোয়াড় ডিফেন্ডার ডোমিঙ্গোস দা গুইয়া (দুই বছর আগে বোকা জুনিয়র্সের সাথে চ্যাম্পিয়ন) এবং ব্ল্যাক ডায়মন্ড খ্যাত স্ট্রাইকার লিওনিদাস দা সিলভা ছাড়াই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল। প্রতিযোগিতাটি একটি একক রাউন্ড-রবিন পদ্ধতিতে খেলা হয়েছিল, কিন্তু আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিল পয়েন্টে টাই শেষ করেছে, যার অর্থ বলবৎ নিয়ম অনুযায়ী চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণের জন্য একটি প্লে-অব ম্যাচের প্রয়োজন ছিল।

ম্যাচটি সান লরেঞ্জো স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, উভয় দলই কঠিনভাবে খেলেছে এবং বেশ কয়েকটি ফাউলও করেছে। ৩৬তম মিনিটে ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড় ডোমিঙ্গোস স্পিটালেট্টি ফ্রান্সিসকো ভারালোকে হিংস্রভাবে লাথি মারার পর সমস্ত খেলোয়াড় (এমনকি কিছু বিকল্প) জড়িত একটি দাঙ্গা শুরু হয়। ৪০' বিরতির পর ম্যাচ পুনরায় শুরু হয়। তবুও, মাত্র দুই মিনিটে কুনহা চেরোকে তার মুখে আঘাত করার পরে একটি নতুন দাঙ্গা শুরু হয়েছিল।

দ্বিতীয়ার্ধে কার্লোস পিউসেল চেরোর স্থলাভিষিক্ত হন এবং অভিজ্ঞ বার্নাবে ফেরেরা জোজায়াকে প্রতিস্থাপন করেন। ১৯ বছর বয়সী ইন্ডিপেন্ডিয়েন্ট ফরোয়ার্ড ভিসেন্তে দে লা মাতা ভারালোর স্থলাভিষিক্ত হন, যিনি আহত হয়েছিলেন; দে লা মাতা উরুগুয়ের কাছে হেরে খেলেছিলেন এবং তার পারফরম্যান্স খারাপ ছিল।

৯০ মিনিটের মেয়াদ শেষে স্কোর ০–০ টাই ছিল, চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণের জন্য অতিরিক্ত সময়ের দুটি ১৫-মিনিটের অর্ধেক প্রয়োজন ছিল: অতিরিক্ত সময়ে, দে লা মাতা চার মিনিটের মধ্যে দুটি গোল করেন, যার ফলে আর্জেন্টিনা তাদের পঞ্চম দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপ জয়লাভ করে।

বুয়েনোস আইরেসে ম্যাচটি শেষ হয় দুপুর ২টায়।

ম্যাচের বিবরণ

১৯৩৭ দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল

১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৭

আর্জেন্টিনা	২–০ (অ.স.প.)	ব্রাজিল
দে লা মাতা  ১০২', ১১২'	Report

এস্তাদিও গাসোমেত্রো, বুয়েনোস আইরেস

দর্শক সংখ্যা: ৮০,০০০

রেফারি: লুইস আলবেরতো মিরাবাল (উরুগুয়ে)

আর্জেন্টিনা

ব্রাজিল

GK		ফেরনান্দো বেয়ো
RB		অস্কার তারিও
LB		লুইস ফাজিও
RH		আন্তোনিও সাস্ত্রে
CH		এরনেস্তো লাজাত্তি
LH		সেলেস্তিনো মার্তিনেস
OR		এনরিকে হুয়াইতা
IR		ফ্রান্সিসকো ভারায়ো		৮৪'
CF		আলবেরতো জোজায়া		৬৫'
IL		রবের্তো চেরো		৪৬'
OL		এনরিকে গার্সিয়া
প্রতিস্থাপন:
OR		কার্লোস পেউসেয়ে		৪৬'
CF		বের্নাবে ফেরেয়রা		৬৫'
IR		ভিসেন্তে দে লা মাতা		৮৪'
পরিচালক:
মানুয়েল সিওয়ানে

GK		জুরান্দির
RB		কার্নেরা
LB		জাউ
RH		ব্রিতো
CH		ব্রানদাও
LH		আফোনসিনিও
OR		রবের্তো		৫৮'
IR		লুইসিনিও		৬১'
CF		কার্দিয়াল		৮৪'
IL		তিম
OL		পাতেস্কো
প্রতিস্থাপন:
FW		কারেয়রো		৫৮'
FW		বাহিয়া		৬১'
FW		কার্ভালো লেইতে		৮৪'
পরিচালক:
আধেমার পিমেন্তা

পরবর্তী

কিছু সাংবাদিক এই ম্যাচটিকে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ফুটবল দ্বন্দ্বের সূচনা বলে মনে করছেন। এই প্রতিযোগিতাটি এনরিক গুয়াইতা, আলবার্তো জোজায়া, আলেজান্দ্রো স্কোপেলি, বার্নাবে ফেরেরা, কার্লোস পিউসেল এবং ফ্রান্সিসকো ভারালোর মতো উল্লেখযোগ্য কিছু খেলোয়াড়ের জন্য আর্জেন্টিনার স্কোয়াডের সাথে একটি যুগের সমাপ্তিও ছিল।

“ আমি যখন উরুগুয়ের বিপক্ষে প্রতিস্থাপিত হয়েছিলাম, তখন আমি হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। তারপরও ঘামছি, আমি দ্বিতীয়ার্ধ দেখতেই থাকলাম। তারপর আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি, সম্ভবত তিক্ততার সাথে। আমি দুটি গোল করেছি কিন্তু আমি আরও সময় খেলতে চেয়েছিলাম। আমি করিনি। ” — ভিসেন্তে দে লা মাতা, এল গ্রাফিকোর সাথে একটি সাক্ষাৎকারের সময়