ফুনাফুটি

স্থানাঙ্ক: ০৮°৩১′ দক্ষিণ ১৭৯°১২′ পূর্ব / ৮.৫১৭° দক্ষিণ ১৭৯.২০০° পূর্ব / -8.517; 179.200
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ফুনাফুটি
Funafuti
অ্যাটল (প্রবালপ্রাচীর দ্বীপ)
মানেয়াপা এবং বিমানবন্দর, ফুনাফুটি অ্যাটল (প্রবালপ্রাচীর দ্বীপ), তুভালু
মানেয়াপা এবং বিমানবন্দর, ফুনাফুটি অ্যাটল (প্রবালপ্রাচীর দ্বীপ), তুভালু
ফুনাফুটি অ্যাটলের বিমানচিত্র
ফুনাফুটি অ্যাটলের বিমানচিত্র
ফুনাফুটি টুভালু-এ অবস্থিত
ফুনাফুটি
ফুনাফুটি
টুভালুতে ফুনাফুটি অ্যাটলের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ০৮°৩১′ দক্ষিণ ১৭৯°১২′ পূর্ব / ৮.৫১৭° দক্ষিণ ১৭৯.২০০° পূর্ব / -8.517; 179.200
দেশ / রাষ্ট্রটুভালু
আয়তন
 • মোট২.৪ বর্গকিমি (০.৯ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১২)
 • মোট৬,০২৫
 • জনঘনত্ব২,৫০০/বর্গকিমি (৬,৫০০/বর্গমাইল)
আইএসও ৩১৬৬ কোডTV-FUN

ফুনাফুটি (ইংরেজি: Funafuti) পশ্চিম-মধ্য প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত দ্বীপরাষ্ট্র টুভালুকে গঠনকারী নয়টি অ্যাটল বা প্রবালপ্রাচীর দ্বীপের মধ্যে বৃহত্তম দ্বীপ। দ্বীপগুলি অস্ট্রেলিয়া থেকে ৩৪০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। ফুনাফুটি অ্যাটলটি ৩০টি খণ্ডদ্বীপ নিয়ে গঠিত। খণ্ডদ্বীপগুলি ২০ মিটার থেকে ৪০০ মিটার প্রশস্ত হতে পারে এবং এদের সর্বমোট আয়তন মাত্র ২.৪ বর্গকিলোমিটার। ফুনাফুটির খণ্ডদ্বীপগুলি একটি উপহ্রদ বা লেগুনকে ঘিরে রেখেছে; লেগুনটির দৈর্ঘ্য ২১.৬ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৬ কিলোমিটার। লেগুনে জাহাজের নোঙর ফেলার সুব্যবস্থা আছে। মালবাহী জাহাজগুলির এখানে প্রবেশ করতে পারে এবং ফোঙ্গাফালে খণ্ডদ্বীপে বন্দরের সুব্যবস্থা উপভোগ করে। তুভালুতে কেবল ফুনাফুটি দ্বীপেই স্থায়ী জনবসতি রয়েছে। ফুনাফুটি তুভালুর রাজধানী।[১] আরও সঠিক করে বলতে গেলে ফোঙ্গাফালে খণ্ডদ্বীপটি দেশের রাজধানী। ফোঙ্গাফালেতে একটি হোটেল, হাসপাতাল ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আছে।

ফুনাফুটির জলবায়ু ক্রান্তীয় অতিবৃষ্টি অরণ্য প্রকৃতির। এখানে প্রতি মাসেই বৃষ্টিপাত হয়। গড় তাপমাত্রা সারা বছর ধরেই ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকে।

১৯৪৩ সালে এখানে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।

ফুনাফুটিতে প্রায় ৬ হাজার লোকের বাস, যা তুভালুর মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি। স্থানীয় অধিবাসীরা পলিনেশীয় জাতির লোক। তারা সম্ভবত সামোয়া থেকে এসেছিল।[২][৩] ফুনাফুটির লোকেরা মূলত কৃষিজীবী। তারা তারো, কলা ও আখের চাষ করে। এখানকার মাটি বেলে ধরনের ও অনুর্বর। তা সত্ত্বেও এখানে উৎপাদিত কোপরা (শুকানো নারিকেল শাঁস) রপ্তানি করা হয়।

ছবিতে ফুনাফুটি[সম্পাদনা]

ফুনাফুটি সৈকত (২০১৩)

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Map of Funafuti। Tuvaluislands.com। ১৪ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৯ 
  2. Talakatoa O'Brien (১৯৮৩)। Tuvalu: A History, Chapter 1, Genesis। Institute of Pacific Studies, University of the South Pacific and Government of Tuvalu। 
  3. Kennedy, Donald G. (১৯২৯)। "Field Notes on the Culture of Vaitupu, Ellice Islands"Journal of the Polynesian Society38: 2–5। ১৫ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৯