হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় | |
---|---|
![]() | |
অবস্থান | |
![]() | |
ফায়ার সার্ভিস মোড়, রাজশাহী রাজশাহী | |
তথ্য | |
ধরন | প্রাথমিক ও মাধ্যমিক |
নীতিবাক্য | ইমান-শৃঙ্খলা-বিনয় |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৮৭৪ |
বিদ্যালয় জেলা | রাজশাহী |
প্রধান শিক্ষক | মোশতাক হাবিব |
শ্রেণী | ১ - ১০ |
শিক্ষার্থী সংখ্যা | ৬৫০+ |
শিক্ষায়তন | ৩৫ বিঘা |
ক্যাম্পাসের ধরন | স্থায়ী |
রঙ | সাদা এবং খাকি |
ওয়েবসাইট | rajmohsin |
হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় রাজশাহী শহরে অবস্থিত একটি প্রাচীন স্কুল। যদিও এটি প্রাথমিক অবস্থায় মাদ্রাসা (ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। নাম পরিবর্তন করে বর্তমানে হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় নামকরন করা হয়েছে।[১]
ইতিহাস[সম্পাদনা]
হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন প্রতিষ্ঠান।এটি ১৮৭৪ সালে প্রাচীন ভারতে মুসলিম শিক্ষার প্রসারের জন্য রাজশাহীতেই সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠা করা হয় রাজশাহী মাদ্রাসা যা বর্তমানে হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠানের আয়তন প্রায় ৩৫ বিঘা।[২]
তৎকালীন ইংরেজ শাসক স্যার জর্জ ক্যাম্পবেলকে উত্তরবঙ্গের জমিদার নবাব আব্দুল লতিফ বিশেষ ভাবে অনুরোধ করে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য। হাজী মুহম্মদ মহসিনের দানকৃত জায়গার উপর এই প্রতিষ্ঠানটি দাড়িয়ে যায়। এবং মহসিন ফান্ডের অর্থ থেকেই প্রতিষ্ঠিত হয় হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়।[৩]
প্রায় দেড় শতক ধরে হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে। তৈরি করেছে হাজার হাজার আলোকিত মানুষ। ১৯১১ সালে মাদ্রাসার অনতিদূরে বর্তমান রাজশাহী কলেজের ফুলার ভবনে দূরবর্তী শিক্ষার্থীদের জন্য স্থাপন করা হয় হোস্টেল। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ অধিকাংশ আন্দোলনে তাই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ। ১৯৫২ সালে সর্বপ্রথম যে শহিদ মিনার রাজশাহী কলেজে তৈরি করা হয় তাতে ছিল রাজশাহী সরকারী মাদ্রাসার অনেক কৃতী শিক্ষার্থীর অবদান।[৪]
১৯৬০ সালে পাকিস্তান সরকার রাজশাহী হাই মাদ্রাসাকে সরকারীকরণ করে।এবং নাম হয় রাজশাহী সরকারী মাদ্রাসা। সরকার থেকে আর্থিক সুবিধা পেতে শুরু করে।
২০১৯ সালের ২রা সেপ্টেম্বর রাজশাহী সরকারী মাদ্রাসার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়,রাজশাহী।
অবকাঠামো[সম্পাদনা]
বর্তমানে হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের রয়েছে একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মসজিদ, ছাত্র হোস্টেল, ৩ টি একাডেমিক ভবন, একটি প্রশাসনিক ভবন, লাইব্রেরি,বিতর্ক ক্লাব, ৩ টি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ও কম্পিউটার ল্যাব, বিজ্ঞান গবেষণাগার, শহিদ মিনার, পুকুর, কর্মচারী কোয়াটার, বিরাট পাকা মঞ্চ এবং প্রশস্ত প্রবেশ পথ। রাজশাহীর প্রাচীনতম স্থাপত্যের মধ্যে হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন অন্যতম।
সহশিক্ষা কার্যক্রম[সম্পাদনা]
বেশ কয়েকবার জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব অর্জন করেছে। এছাড়াও নানা মেধাভিত্তিক কর্মকান্ডে রয়েছে হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ। অত্রস্কুলের রয়েছে নিজস্ব কিছু সুবিধা। স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য সুলতান আহমদ শিক্ষা বৃত্তি, নবাব আব্দুল লতিফ ফান্ড, হাজী মুহম্মদ মুহসিন ফান্ড ইত্যাদি।
প্রাক্তন ছাত্র[সম্পাদনা]
আরো দেখুন[সম্পাদনা]
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "রাজশাহী সরকারি মাদরাসা এখন 'হাজী মুহম্মদ মহসীন স্কুল' - দৈনিকশিক্ষা"। Dainik shiksha।
- ↑ ব্যুরো, রাজশাহী। "রাজশাহী সরকারি মাদরাসার নাম পরিবর্তন"। DailyInqilabOnline।
- ↑ "'রাজশাহী সরকারি মাদ্রাসা'র নাম পরিবর্তন"। banglanews24.com।
- ↑ "রাজশাহী সরকারি মাদরাসা থেকে 'হাজী মুহম্মদ মহসীন স্কুল"। The Daily Campus।