সিরাজুন্নেসা চৌধুরী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(সেরজুননেসা চৌধুরী থেকে পুনর্নির্দেশিত)
সিরাজুন্নেসা চৌধুরী
পাকিস্তানের তৃতীয় জাতীয় পরিষদের সদস্য
কাজের মেয়াদ
১৯৬২ – ১৯৬৫
উত্তরসূরীসৈয়দা রাজিয়া ফয়েজ
সংসদীয় এলাকাNE-৭৮ (Women's Constituency III)
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মবেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী
১৯১০
ইটা পরগণা, দক্ষিণ শ্রীহট্ট, পূর্ববঙ্গ ও আসাম
মৃত্যু১৯৭৪(1974-00-00) (বয়স ৬৩–৬৪)
দাম্পত্য সঙ্গীআব্দুর রশীদ চৌধুরী
সন্তানহুমায়ূন রশীদ চৌধুরী
ফারূক রশীদ চৌধুরী
পিতাদেওয়ান আব্দুল হলীম চৌধুরী

বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিনিধি হিসাবে পাকিস্তানের তৃতীয় জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন।[১]

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ২৭ নভেম্বর ১৯১০ খ্রীষ্টাব্দে পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের শ্রীহট্ট জিলার দক্ষিণ শ্রীহট্ট মহকুমার ইটা পরগণার দেওয়ান বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা দেওয়ান আব্দুল হলীম চৌধুরী ছিলেন একজন বাঙ্গালী মুসলিম জমিদার। সিরাজুন্নেসা বাড়ীতেই বাংলা, ইংরেজী ও ইসলামী তালিম পড়ালেখা করেছিলেন।[২]

তরুণ বয়সে তিনি দরগাপাশার আব্দুর রশীদ চৌধুরীকে শাদী করেন,[৩] যিনি ছিলেন আসাম বিধানসভাদিল্লিস্থ কেন্দ্রীয় বিধানসভার সদস্য।[৪] তারা সিলেট নগরীর রশীদ মঞ্জিলে থাকতেন এবং তাঁদের পাঁচ ছেলে ও দুই মেয়ে ছিলেন যাদের মধ্যে হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী এবং ফারূক রশীদ চৌধুরী উল্লেখযোগ্য।[৫]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৯৪৪ খ্রীষ্টাব্দে সিরাজুন্নেসা তাঁর মরহূম স্বামীর জমিদারী ও চা বাগানগুলো দেখাশোনার পরিচালক হন। তিনি রশীদ এণ্টার্প্রাইজ লিঃ ও হমদর্দ চা কোম্পানী লিঃ এর পরিচালন অধিকর্তা, পাকিস্তান জাতীয় চা সমিতির সহ-সভাপতি এবং সিরাজনগর ও রশীদাবাদ ওয়াকফ চা বাগানের মোতায়াল্লী হন। তাছাড়া তিনি দরগাপাশা আব্দুর রশীদ কেজি স্কুলের পরিচালনা কমিটির সদস্য ছিলেন।

সিরাজুন্নেসা চৌধুরী পাকিস্তানের তৃতীয় জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন। সংসদে তিনি প্রশ্ন করেছিলেন যে সমস্ত পরিষেবা শাখার সদর দপ্তর শুধু পশ্চিম পাকিস্তানে কেন অবস্থিত ছিল?[৬]

ইন্তেকাল[সম্পাদনা]

সিরাজুন্নেসা ১৯৭৪ খ্রীষ্টাব্দে ইন্তেকাল করেন।[৩] শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হল তাঁর নামেই নাম দেওয়া হয়।.[৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Assembly, Pakistan National (১৯৬৫)। Parliamentary Debates. Official Report (ইংরেজি ভাষায়)। Manager of Publications.। পৃষ্ঠা 228। 
  2. Rahman, Fazlur (১৯৯১)। "বেগম সিরাজুন্নেসা"। সিলেটের মাটি, সিলেটের মানুষ [Soil of Sylhet, People of Sylhet]। MA Sattar। পৃষ্ঠা 349। 
  3. "Man in the News; U.N. Enthusiast at Assembly Helm: Humayan Rasheed Choudhury"The New York Times। ১৯৮৬-০৯-২৩। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৪-১২ 
  4. Nasrine R Karim (জুলাই ১১, ২০০৩)। "Lest we forget Humayun Rasheed Choudhury"The Daily Star। এপ্রিল ২, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৩, ২০১৫ 
  5. "A Legacy of Love"The Daily Star। ২০১০-০৬-২৫। ২০১৮-০১-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-২২ 
  6. Assembly, Pakistan National (১৯৬৬)। Debates: official report (ইংরেজি ভাষায়)। Manager of Publications.। পৃষ্ঠা 480। 
  7. "Shahjalal University of Science & Technology"www.sust.edu। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-২৭