সফিউল্লা
এম সফিউল্লাহ | |
---|---|
কুমিল্লা-২৬ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ৭ মার্চ ১৯৭৩ – ৬ নভেম্বর ১৯৭৬ | |
পূর্বসূরী | আসন শুরু |
উত্তরসূরী | আসন বিলুপ্ত |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | এম সফিউল্লাহ ১৯৪৬ ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত। (বর্তমান বাংলাদেশ) |
মৃত্যু | ২৫ অক্টোবর ২০০৮ চাঁদপুরস্থ নিজ বাসভবন |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
সন্তান | ২ পুত্র সফিউল আলম সুমন ও সফিউল আজম রাজন,৩ কন্যা সালমা সুলতানা,সাবিহা সুলতানা,সাজেদা সুলতানা |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চাঁদপুর সরকারি কলেজ |
জীবিকা | ব্যবসা |
এম সফিউল্লাহ (১৯৪৬–২৫ অক্টোবর ২০০৮) বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলার রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক যিনি তৎকালীন কুমিল্লা-২৬ আসনের আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।[১]
প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]
এম সফিউল্লাহ ১৯৪৬ সালে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের বারপাইকা গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। পৈত্রিক বাড়ি ফরিদগঞ্জের ১৫নং রূপসা উত্তর ইউনিয়নস্থ বারপাইকা গ্রামে। তার ২ পুত্র ও ৩ কন্যা। তিনি গৃদকালিন্দিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি,চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন।
রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]
এম,সফিউল্লাহ ৬৬ এর ৬ দফা আন্দোলন,৬৯ এর গন অভ্যুথান বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সের (বিএলএফ) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাব সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। তিনি ১৯৯২ সালেচাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথমে সাংগঠনিক সম্পাদক ও পরবর্তীতে সহ-সভাপতি ছিলেন। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যও ছিলেন তিনি। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন কুমিল্লা-২০ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[১][২]
তিনি চাঁদপুর জেলা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন। চাঁদপুর জেলা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক ছিলেন। চাঁদপুর ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। বদরপুর আলিয়া মাদ্রাসা,ফরিদগঞ্জ এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। গৃদকালিন্দিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। চাঁদপুরের পুরান বাজারস্থ মার্চেন্ড একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। দীর্ঘদিন চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি ছিলেন। চাঁদপুর জেলা ডায়াবেটিক হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার নিবন্ধিত চাঁদপুর ইয়ুথ ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।
উনি চাঁদপুর জেলায় বহু স্কুল, কলেজ প্রতিষ্ঠায় বলিষ্ঠ ভুমিকা পালন করেন।
মৃত্যু[সম্পাদনা]
এম সফিউল্লা ২৫ অক্টোবর ২০০৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন।[৩][৪]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ "১ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ The Election Archives (ইংরেজি ভাষায়)। Shiv Lal। ১৯৮১।
- ↑ এমকে মানিক পাঠান (২২ এপ্রিল ২০১৭)। "ফরিদগঞ্জে ডাকাতিয়ার উপর নির্মিত সেতু সাবেক এমপি সফিউল্লার নামে নামকরণের সিদ্ধান্ত দু'বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি"। দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ। ২৬ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ চাঁদপুর প্রতিনিধি (২৬ অক্টোবর ২০১৮)। "চাঁদপুরে নানা আয়োজনে সাবেক এমপি মো. সফিউল্লাহকে স্মরণ"। দৈনিক কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০২০।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |