শিয়াল এবং বিড়াল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শিয়াল এবং বিড়াল
হেনরিখ স্টেইনহোয়েলের ১৪৭৬ সালের উপকথার চিত্র
লোককাহিনী
নামশিয়াল এবং বিড়াল
আর্ন–থম্পসন শ্রেণিবিন্যাসএটিইউ ১০৫
দেশবহু
প্রকাশিতপঞ্চতন্ত্র

শিয়াল এবং বিড়াল হল একটি প্রাচীন উপকথা। প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্য উভয় ক্ষেত্রেই এই বিষয়ে বিভিন্ন প্রাণীকে নিয়ে একই ধরণের গল্প পাওয়া যায়। এগুলিতে যুক্তিপূর্ণ করিৎকর্মতা এবং দক্ষতাপূর্ণ কৌশলের মধ্যে পার্থক্যকে তুলে ধরা হয়েছে। ইউরোপে মুদ্রণ শুরু হওয়ার পর থেকে ঈশপের উপকথার সংগ্রহে এটি অন্তর্ভুক্ত এবং পেরি সূচকে এটি ৬০৫ নম্বরে রয়েছে। মৌলিক গল্পে বিড়াল এবং শিয়াল আলোচনা করে যে তাদের কতগুলি কৌশল এবং চাতুর্য আছে। শিয়াল গর্ব করে যে তার অনেক কৌশল আছে; বিড়াল তার একটি কৌশল থাকার কথা স্বীকার করে। শিকারীরা যখন তাদের কুকুর নিয়ে আসে, বিড়ালটি একটি গাছে ওঠে, কিন্তু শিয়াল কোন কিছু না করে শুধু উপায় চিন্তা করতে থাকে এবং শিকারীদের হাতে ধরা পড়ে। ঐতিহাসিকভাবে উপকথার উপস্থাপনা থেকে অনেক নীতিকথা পাওয়া যায় এবং ইশাইয়া বার্লিন তাঁর প্রবন্ধ "দ্য হেজহগ অ্যাণ্ড দ্য ফক্স"-এ যেমনভাবে এর ব্যবহার দেখিয়েছেন, সেইভাবে নতুনভাবে এটির ব্যাখ্যা করা অব্যাহত রয়েছে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

এই উপকথায় অনেক কৌশল নিয়ে গর্বিত একটি প্রাণীর ভাগ্যের সাথে অন্য একটি সাধারণ কৌশল জানা প্রাণীর ভাগ্যের তুলনা করা হয়েছে। বিপদের সময় এটি এমন একটি কৌশল যা অনেকগুলি বিকল্পের চেয়ে বেশি কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত। বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় এবং অনেক বৈচিত্র্য সহ এই গল্পটি আর্নে-থম্পসন-উথার লোককাহিনী সূচকে ধরণ ১০৫ হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়।[১]

প্রাচীন গ্রীক কবি আর্কিলোকাসের একটি খণ্ডিত প্রবাদ আছে : শেয়াল অনেক ছোট জিনিস জানে, কিন্তু কাঁটাচুয়া একটি বড় জিনিস জানে (প্রাচীন গ্রিকπόλλ' οἶδ' ἀλώπηξ, ἀλλ' ἐχῖνος ἓν μέγα)। ১৫০০ সাল থেকে ইরাসমাসের অ্যাডাগিয়া-তে , অভিব্যক্তিটি মুলতা নোভিট ভালপেস, ভেরাম ইচিনাস ইউনাম ম্যাগনাম (লাতিন: Multa novit vulpes, verum echinus unum magnum) হিসাবে নথিবদ্ধ করা হয়। এই প্রবাদটি একটি প্রাচীন উপকথার অস্তিত্বকে বোঝায় বলে মনে হয়, যেখানে একটি বিড়ালের পরিবর্তে একটি কাঁটাচুয়া জড়িত, এটি বলকান অঞ্চলের কিছু লোককাহিনীতে আছে।[২]

প্রাচ্য[সম্পাদনা]

"শত-বুদ্ধি, সহস্র-বুদ্ধি এবং এক-বুদ্ধি"-র সাদৃশ্যপূর্ণ গল্পটি পঞ্চতন্ত্রের পঞ্চম বিভাগে আছে, যা হঠকারী কর্মের পরিণতি দেখায়।[৩] দুটি মাছ এবং একটি ব্যাঙ বিতর্ক করে যে কিভাবে তারা তাদের বসতিকরা পুকুর থেকে জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়া এড়াতে পারে। একক বুদ্ধি ব্যাঙ পলায়নের পরামর্শ দেয় এবং ধরা পড়ার হাত থেকে সেই একমাত্র বাঁচতে পারে।

কালিলা এবং ডিমনা থেকে "তিনটি মাছ" -এর একটি চিত্র

এই গল্পটি ফারসি কালিলা এবং ডিমনায় "তিনটি মাছের গল্প" হিসাবেও সংরক্ষিত ছিল, এই তিনটির মধ্যে একটি জ্ঞানী, একটি চতুর এবং একটি বোকা। যখন মাছেরা লক্ষ্য করে জেলেরা আসছে, তখন জ্ঞানী মাছ পুকুর থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়, চতুর মাছ মরা সেজে পড়ে থাকে এবং খাদ্য হওয়া থেকে বাঁচে, বোকা মাছ ধরা পড়ে এবং তাকে খেয়ে নেওয়া হয়।[৪] রুমি, ১৩ শতকে লিখেছেন, এই গল্পটি তিনি তাঁর মসনবীর চতুর্থ খণ্ডে ব্যবহার করেছিলেন,[৫] এটিতে সৃষ্টিকর্তার সমগ্রতার সামনে নিজের পরিচয়কে ত্যাগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।

প্রাচীন ভারতীয় মহাভারতের অনুরূপ উদাহরণে রাজহাঁস এবং কাক প্রধান চরিত্র হিসেবে রয়েছে। রাজহাঁসের ওড়ার একটাই উপায় আছে, যখন কাক একশো এক উপায় জানার গর্ব করে।[৬] যখন কাকটি তার উড্ডীন-চালনার প্রদর্শন ক'রে সমুদ্রের উপরে অনেক দূরে চলে যায় এবং অবতরণ করার জায়গা না পেয়ে সমস্যায় পড়ে, তখন রাজহাঁস কাকের কাছে উড়ে এসে জিজ্ঞেস করে, "এটি ওড়ার একশত উপায়ের মধ্যে কোনটি?" এরপর সে বিনীত হয়ে কাককে উপযুক্তভাবে বহন করে নিরাপত্তার সঙ্গে ফিরিয়ে আনে।

ইউরোপীয়[সম্পাদনা]

মধ্যযুগ পর্যন্ত আর্কিলোকাসের পরে এই রূপকথার লিখিত নথি ইউরোপে দেখা যায় না।[৭] এখানে গর্বিত প্রাণীটি সাধারণত শিয়াল, তবে একটি কৌশল জানা প্রাণীটি কাঁটাচুয়া (গ্রীস), সারস (রাশিয়া), কাঠবিড়ালি (আর্মেনিয়া), বা মোরগ বা কলাম্বিডি হতে পারে। পশ্চিম ইউরোপে, প্রাণীটি সর্বদাই বিড়াল, অন্য সংস্করণের মতোই উপস্থিত হয়, যদিও শিয়ালের কৌশলের সংখ্যার তারতম্য থাকে। এই বৈচিত্র্যের কিছু সংগ্রহের মধ্যে রয়েছে অ্যাংলো-ল্যাটিন রোমুলাস (৮০টি কৌশল), মারি ডি ফ্রান্সের ইসোপেট (২টি কৌশল, "এবং সঙ্গে ঝুলিতে আরও প্রচুর আছে"), সেইসাথে চেরিটনের ওডোর কল্পকাহিনী সংগ্রহ (ঝুলিতে ১৭টি কৌশল) এবং জন শেপ্পি[২] গ্রিম ভাইয়েদের দ্বারা সংগৃহীত জার্মান লোকসংস্করণে, শিয়াল একশত কৌশল "এবং ঝুলিপূর্ণ ধূর্ততা"র বড়াই করে।[৮]

পশ্চিমী উপকথায় শিয়াল তার নৈপুণ্যের জন্য পরিচিত, এবং কখনও কখনও কল্পকাহিনীবাদীরা পুনঃকথনে তাদের আরও স্বাভাবিক বিবরণে যান। সমসাময়িক কবিতা "দ্য আউল অ্যাণ্ড দ্য নাইটিঙ্গেল"-এ, উদাহরণস্বরূপ, নাইটিঙ্গেল, যুক্তি দেয় যে তার একটি ক্ষমতা (গ্রীষ্মকালে গান গাওয়া) পেঁচার সমস্ত দক্ষতার চেয়ে বেশি মূল্যবান। এই বইতে শিয়ালের কিছু ধূর্ততা বর্ণনা করা হয়, কৃত্রিম আক্রমণ এবং কুকুরকে প্রতারণা করার জন্য বিভ্রান্তিকর রাস্তা নেওয়া: "শিয়াল ঝোপ বরাবর হামাগুড়ি দিতে পারে এবং তার আগের পথ থেকে সরে যেতে পারে এবং কিছুক্ষণ পরেই সেই রাস্তায় দ্বিগুণভাবে ফিরে আসে, তখন শিকারী কুকুর তার গন্ধ খুঁজে পায়না" (লাতিন: þe uox kan crope bi þe heie an turne ut from his forme weie an eft sone kume þarto þonne is þe hundes smel fordo)।[৯]

প্রচারক ওডোর মতানুযায়ী, যারা একটি কৌশল জানে বিড়ালটি তাদের প্রতিনিধিত্ব করে এবং "নতুন করে শুরু করে"। শিয়াল প্রতিনিধিত্ব করে "আইনজীবী, যুক্তিবাদী, কৌশলী" এবং অন্যদের, যাদের "ঝুলি ভর্তি কৌশল"। ১৩ শতকের গেস্তা রোমানোরাম- এর ব্যাখ্যাটি খুবই অনুরূপ, দুটি দলকে আলাদা করা যায় এইভাবে- "সাধারণ পুরুষ ও মহিলা শুধুমাত্র একটি নৈপুণ্য জানে, তা হল ঈশ্বরকে ডাকা" এবং অন্যদল তাদের কথার চাকচিক্য দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে।[১০] মারি ডি ফ্রান্সের বলা নীতিকথা ভিন্ন, যদিও সম্ভবত পরিপূরক: একজন জ্ঞানী ব্যক্তি মিথ্যাবাদীকে সনাক্ত করতে সক্ষম হবেন, তিনি যতই যুক্তিযুক্তভাবে কথা বলুন না কেন। বেরেচিয়াহ হা-নাকদান হিব্রু ভাষায় তাঁর হাণ্ড্রেড ফক্স ফেবলের ৯৪ নম্বর গল্পটি অন্তর্ভুক্ত করে মারিকে অনুসরণ করেছিলেন। তাঁর নৈতিকতা আবার আলাদা, সরল, প্রয়োজনীয় শ্রমের সাথে পদমর্যাদা-চেতনার তফাৎ। তাঁর মতে শিয়াল তাদের প্রতিনিধিত্ব করে যারা নিজেদের দেখাশোনা করতে এবং নিজেদের পরিবারকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য মৌলিক কাজগুলিও করেনা এবং অবহেলা করে, তারা বলে "আমাদের হাত এত উঁচু যে শস্যের জন্য কাস্তে চালাতে পারব না"। তারা নিজেদের পেশা নিয়ে গর্ব করে: "আমি একজন লেখক; আমি আমি একজন কামার, আমি একজন দর্জি; আমি একজন স্বর্ণকার, আমি একজন ব্যবসায়ী; আমি একজন ঋষি, এবং আমার সমকক্ষ আর কি আছে?"[১১]

উইলিয়াম ক্যাক্সটনের ১৪৮৪ সালের ঈশপের উপকথার সংগ্রহে, এমন লোকদের সম্পর্কে বলা হয়েছে যাদের প্রজ্ঞা এবং সূক্ষ্মতার ভান আছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে যারা "মহা বোকা এবং কিছুই জানে না"।[১২] উপকথার ইতিহাসে আরেকটি বৈশিষ্ট্য ছিল জিন দে লা ফন্টেইনের প্রভাবশালী ফেবলস চয়েসি (৯.১৪, ১৬৭৮ সালে প্রকাশিত) এর অন্তর্ভুক্তি।[১৩][১৪] লা ফন্টেইনের সাথে, উপকথাটি যাজকের জায়গা থেকে বৈঠকখানায় চলে গেছে এবং তাঁর এই গল্পটি বিষেষভাবে লঘু এবং আরও শহুরে; গল্পটি তাঁর জন্য যে সত্যটি তুলা আনে তা হল পূর্বের লেখকদের দ্বারা দেখা গুরুতর নৈতিক ব্যর্থতার চেয়ে সুবিধার প্রশ্ন। এখানে বিড়াল এবং শিয়াল একসাথে ভ্রমণ করছে এবং, যেহেতু "পথটি দীর্ঘ এবং তাই ক্লান্তিকর ছিল, তাই তারা তর্ক করে সময় কাটিয়েছে। তর্ক করা একটি দুর্দান্ত সাহায্য। এটি ছাড়া একজন ঘুমিয়ে পড়বে। আমাদের তীর্থযাত্রীরা কর্কশ চিৎকার করে। তারপর নিজেদের মধ্যে তর্ক হয়ে গেলে, তারা অন্য বিষয় নিয়ে কথা বলে।" কল্পকাহিনীটি আগের সংস্করণগুলির মতোই এগিয়ে যায় এবং লা ফন্টেইন ব্যবহারিক নৈতিকতার সাথে শেষ করেন: "অনেক বেশি সুবিধাজনক উপায় ব্যবসা নষ্ট করতে পারে। তাদের মধ্যে বেছে নিতে গিয়ে এবং অনেকগুলি চেষ্টা করে সময় নষ্ট হয়। শুধুমাত্র একটি থাকুক; কিন্তু সেটি যেন ভাল হয়।"

মার্কিন সুরকার ভিনসেন্ট পার্সিচেটি এই সংস্করণটিকে তাঁর ফেবলস ফর ন্যারেটর অ্যাণ্ড অর্কেস্ট্রা (১৯৪৩) গল্পের চতুর্থ অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেন।

কাঁটাচুয়া এবং শিয়াল[সম্পাদনা]

কাঁটাচুয়ার সাথে কল্পকাহিনীর বিভিন্ন সংস্করণের প্রধান পার্থক্য হল যে প্রাচীন সংস্করণে পালানো এবং প্রতিরক্ষার মধ্যে বেছে নেওয়া হয়ে, কিন্তু পরের দিকের উপকথায় বেছে নেওয়া হয়েছে পালানোর বিভিন্ন কৌশলগুলিকে, যেখানে বিড়াল এবং শিয়ালের চরিত্র আছে। প্রারম্ভিক রেনেসাঁর সময়ে, লেখক লরেন্টিয়াস অ্যাবস্টেমিয়াস প্রশ্ন করেছিলেন যে বিড়ালের সহজাত সমাধান শেষ পর্যন্ত শেয়ালের চাতুর্যের চেয়ে ভাল কিনা। ডে লেপোরে সেসে ভুলপি প্রেফারেন্টে অব পেডাম ভেলোসিটেম (একটি খরগোশ তার নিজের দ্রুতগামিতাকে শেয়ালের চেয়ে বেশি পছন্দ করে, লাতিন: De lepore sese vulpi praeferente ob pedum velocitatem)[১৫] যদিও খরগোশ তার উচ্চতর গতির জন্য গর্ব করে, শিয়াল দেখিয়ে দেয় যে তার নিজের ধূর্ততা বেঁচে থাকার একটি ভাল উপায়। লেখক বলেছেন যে বুদ্ধিমত্তাই উত্তম গুণ।

প্রশ্নটি উন্মুক্ত রয়ে গেছে এবং বিভিন্ন আচরণকে অন্যান্য উপায়ে পুনরায় ব্যাখ্যা করা হয়েছে। দার্শনিক ইশাইয়া বার্লিন তাঁর " দ্য হেজহগ অ্যাণ্ড দ্য ফক্স",[১৬][১৭] প্রবন্ধ মূলত ১৯৫৩ সালে লেখেন। তিনি লেখক এবং চিন্তাবিদদের দুটি বিভাগে বিভক্ত করার জন্য আর্কিলোকাসের সারাংশ হিসাবে উপকথাটি ব্যবহার করেছেন: একটি ভাগে আছে কাঁটাচুয়া, যারা বিশ্বকে দেখে একটি একক সংজ্ঞায়িত ধারণার চোখে; এবং দ্বিতীয় শিয়াল, যারা বিভিন্ন ধরণের অভিজ্ঞতা টেনে আনে এবং যাদের জন্য বিশ্বকে একক ধারণায় ফুটিয়ে তোলা যায় না। যদিও বার্লিন প্রবন্ধটিকে খুব বেশি গুরুত্বের সাথে বোঝাননি,[১৮] তবুও প্রবন্ধটি যে প্রভাবশালী তা প্রমাণিত হয়েছে, অনেক লেখক তাঁর স্বাতন্ত্র্য ব্যবহার করেছেন।

স্টিফেন জে গুল্ডের সংকলন দ্য হেজহগ, দ্য ফক্স অ্যাণ্ড ম্যাজিস্টার'স পক্স বিজ্ঞান এবং মানবতার মধ্যে জটিল সম্পর্ক অন্বেষণে বার্লিনের বই এবং উপকথা উভয়ই ব্যবহার করে।[১৯] গোল্ড আর্কিলোকাসের আসল চিত্রটিকে মানুষের বৈপরীত্যের জন্য দুটি স্তরের রূপক অর্থ ধারণ করে দেখেন। "প্রথমটি মনস্তাত্ত্বিক শৈলীর কথা বলে... ঠেলাঠেলি করা বা অটল থাকা।" দ্বিতীয়টি বুদ্ধিবৃত্তিক অনুশীলনের একটি প্রশ্ন: "বৈচিত্র্য এবং রঙ, অথবা তীব্রতা এবং আবরণ", দুটি কৌশলের একটি মিলন দুটি বিষয়ের মধ্যে বোঝার জন্য সবচেয়ে ফলপ্রসূ।[২০]

বিমূর্ত ভাস্কর রিচার্ড সেরা প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে তাঁর হেজহগ এবং শিয়াল (১৯৯৯) নামের ভাস্কর্যের উৎস হিসেবে ইশাইয়া বার্লিনের প্রবন্ধটিকে উল্লেখ করেছেন। ভাস্কর্যটি স্থাপনের সময় সেরা ব্যাখ্যা করেন, "এটি নির্দেশ করে যে কীভাবে পণ্ডিতরা হয় মুক্ত চিন্তাবিদ হয়ে ওঠেন এবং আবিষ্কার করেন অথবা ইতিহাসের নির্দেশের অধীন হয়ে যান। এটি প্রতিটি ছাত্রের কাছে ধ্রুপদী সমস্যা।"[২১] তাই তাঁর পাঠ মূল কাহিনীর নৈতিক ক্রমকে উল্টে দেয়। কাঁটাচুয়া, পরিবর্তনের প্রতিরোধী, বুদ্ধিগতভাবে মৃত; শিয়ালের অভিযোজনযোগ্যতা (ভাস্কর্যের পরিবেশের সাথে সম্পর্ক দ্বারা প্রদর্শিত) বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ এবং বেঁচে থাকার সঠিক কৌশল।

টীকা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Ashliman, D. L.। "The Fox and the Cat or The Fox and the Hedgehog and other fables of Aarne-Thompson-Uther type 105 and similar stories about the dangers of being too clever" 
  2. Grattan, J. H. G.; G. F. H. Sykes (১৯৩৫)। The Owl and the Nightingale। Humphrey Milford। পৃষ্ঠা lxvi। 
  3. pp.444-46
  4. Wood, Ramsay (২০০৮)। Kalila and Dimna: fables of friendship and betrayal। Saqi। পৃষ্ঠা 130। আইএসবিএন 978-0-86356-661-5 [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  5. Rumi's The Three Fishes in wikisource
  6. The Mahabharata of Krishna-Dwaipayana Vyasa। পৃষ্ঠা 112। আইএসবিএন 978-1-4510-1579-9 
  7. Adrados, Francisco Rodriguez (২০০০)। The fable during the Roman Empire and in the Middle Ages (rev., upd. সংস্করণ)। Brill। পৃষ্ঠা 686। আইএসবিএন 978-90-04-11583-5 
  8. Grimms' Fairy Tales, New York 1894, pp. 281–2, via Project Gutenberg.
  9. "The Owl and the Nightingale"। Soton Academy। সংগ্রহের তারিখ ২১ নভেম্বর ২০১৪ 
  10. Early English versions of the Gesta Romanorum। সংগ্রহের তারিখ ২১ নভেম্বর ২০১৪ 
  11. ha-Nakdan, Berechiah ha-Nakdan (২০০১)। Fables of a Jewish Aesop। David R. Godine। পৃষ্ঠা 171। আইএসবিএন 978-1-56792-131-1 
  12. "Caxton's version of the fable on mythfolklore.net/aesopica/"। সংগ্রহের তারিখ ২১ নভেম্বর ২০১৪ 
  13. F. C. Tilney's translation of La Fontaine's fable in Wikisource.
  14. La Fontaine। "Les Fables"La Fontaine net। ২৯ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ নভেম্বর ২০১৪ 
  15. Æsopus, Fable 73, PB works.
  16. McLean, Hugh (২০০৮)। In quest of Tolstoy। Academic Studies Press। পৃষ্ঠা 214। আইএসবিএন 978-1-934843-02-4 
  17. Skelley (২০০০)। Ideas matter : essays in honour of Conor Cruise O'Brien। University Press of America। পৃষ্ঠা 14। আইএসবিএন 978-0-7618-1655-3 
  18. Jahanbegloo, Ramin; Jahanbegloo, Ramin (১৯৯৩)। Conversations with Isaiah Berlin (1. [Dr.] সংস্করণ)। Phoenix। পৃষ্ঠা 189। আইএসবিএন 978-0-684-19394-6 
  19. Kenneally, Christine (১৫ জুন ২০০৩)। "book review"The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১১ 
  20. Gould, Stephen Jay (২০০৩)। The hedgehog, the fox, and the magister's pox: mending the gap between science and the humanities। Jonathan Cape। পৃষ্ঠা 5আইএসবিএন 978-0-224-06309-8 
  21. Princeton Weekly Bulletin, November 20, 2000 Vol. 90, No. 10

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]