শিবানন্দ আশ্রম
গঠিত | ১৯৩৬ |
---|---|
প্রতিষ্ঠাতা | স্বামী শিবানন্দ |
ধরন | ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান |
উদ্দেশ্য | শিক্ষামূলক ,জনকল্যাণ, ধর্ম-সংক্রান্ত গবেষণা, আধ্যাত্মিকতা |
সদরদপ্তর | হৃষিকেশ, উত্তরাখণ্ড, ভারত |
অবস্থান |
|
এলাকাগত সেবা | বিশ্বব্যাপী |
ওয়েবসাইট | www |
শিবানন্দ আশ্রম বা ডিভাইন লাইফ সোসাইটি (ডিএলএস) একটি হিন্দু-ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং আশ্রম, যা স্বামী শিবানন্দ স্বরস্বতী’র দ্বারা ১৯৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি সদরদপ্তর মুনি কি রেতি, হৃষিকেশ, ভারতে আবস্থিত। এখন সারাবিশ্বে এটির কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান কার্যালয় হৃষিকেশেও স্থাপিত হচ্ছে। স্বামী শিবানন্দের শিষ্যরাও স্বাধীনভাবে প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন জায়গায় গড়ে তুলছে। যেমন- মরিশাস, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, মালেয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা এবং ইউরোপ প্রভৃতি জায়গায়। [১][২][৩]
লক্ষ্য ও কার্যক্রম[সম্পাদনা]
নিম্নলিখিত উপায়গুলোর মাধ্যমে এই সংগঠন আধ্যাত্মিক জ্ঞান প্রচার করে:
- যোগ, বেদান্ত প্রভৃতির উপর বই, ম্যাগাজিন প্রকাশের মাধ্যমে।
- আধ্যাত্মিক সমবেত অনুষ্ঠান এবং আলোচনা সভা (সৎসঙ্গ) অনুষ্ঠিত করার মাধ্যমে।
- যোগ চর্চা করার বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার মাধ্যমে।
- উৎসাহী ব্যক্তিদের যোগ এবং দর্শনের পদ্ধতিগত অনুশীলনের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক জীবন সুন্দরভাবে গড়ে তোলার মাধ্যমে ।
- দাতব্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মাধ্যমে।
- ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক অনুশীলন সংরক্ষণ করার মাধ্যমে।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
১৯৩৬ সালে একটি তীর্থযাত্রা থেকে ফেরার পর, স্বামী শিবানন্দ হৃষিকেশে গঙ্গা নদীর ধারে একটি পুরাতন কুটীরে বাস করতে শুরু করেন। তার দলের অন্যান্য শিষ্যগণও কঠিন পরিস্থিতিতে তার সাথে থাকার জন্য ইচ্ছা পোষণ করেন। অবশেষে একসময় তিনি মানবজাতির সেবা করার উদ্দেশ্যে ডিভাইন লাইফ সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন। তেহরি গাড়োয়ালের রাজা শিবানন্দ আশ্রম প্রতিষ্ঠার জন্য তাকে কিছু জমি দান করেন।[৪] চিদানন্দ সরস্বতী এই সোসাইটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে আগস্ট ১৯৬৩ থেকে ২৮ আগস্ট ২০০৮ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। আবার, কৃষ্ণনন্দ সরস্বতী হৃষিকেশে এই সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ১৯৫৮ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
নিরামিষভোজী[সম্পাদনা]
শিবানন্দ নৈতিক ও আধ্যাত্মিক কারণে কঠোর ল্যাকটো-ভেজিটেরিয়ান।[৫] তার ডিভাইন লাইফ সোসাইটি এইভাবে নিরামিষ খাবারের পক্ষে।[৬]
বিভাগসমূহ[সম্পাদনা]
- শিবানন্দ আশ্রম ডিভাইন লাইফ সোসাইটির সদর দপ্তর।
- ইয়োগা-বেদান্ত ফরেস্ট একাডেমি শিক্ষার্থীদের যোগ অনুশীলনের সময় ব্যক্তিত্ব বিকাশ এবং মানব কল্যাণের জন্য সাধারণ শৃঙ্খলার অংশ হিসেবে প্রশিক্ষণ দেয় ।
- ইয়োগা-বেদান্ত ফরেস্ট একাডেমি প্রেস কৃষ্টি এবং আধ্যাত্মিক বিষয়ে বই এবং বিভিন্ন সাময়িকী বের করে এছাড়া তার ডিভাইন লাইফ সোসাইটির বিভিন্ন সাহিত্যকর্মও প্রকাশ করে।
- শিবানন্দ পাবলিকেশন লীগ, ডিভাইন লাইফ সোসাইটির একটি সহযোগী শাখা।
- ফ্রি লিটারেচার সেকশন সারা পৃথিবীব্যাপী ভক্তদের মাঝে বিভিন্ন বই এবং সাহিত্যকর্ম বিনামূল্যে বিলি করে।
- শিবানন্দ চ্যারিটেবল হসপিটাল বিনামূল্যে সেবা প্রদান করে এবং ত্রৈমাসিক ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করে।
- শিবানন্দ হোম দুঃস্থ রোগীদের খাদ্য, পোশাক এবং অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম দিয়ে পাশে দাঁড়ায়।
কেন্দ্রসমূহ[সম্পাদনা]
ডিভাইন লাইফ সোসাইটির কেন্দ্রগুলো অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, কানাডা প্রভৃতি দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ Divine Life Society Britannica.com
- ↑ Divine Life Society Divine enterprise: Gurus and the Hindu Nationalist Movement, by Lise McKean. University of Chicago Press, 1996. আইএসবিএন ০-২২৬-৫৬০০৯-০. Page 164=165.
- ↑ Swami Shivananda Religion and anthropology: a critical introduction, by Brian Morris. Cambridge University Press, 2006. আইএসবিএন ০-৫২১-৮৫২৪১-২. Page 144.
- ↑ "Introduction"। ২৬ অক্টোবর ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০২০।
- ↑ "Meat Eating"। www.sivanandaonline.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-১২।
- ↑ "Vegetarianism – The Divine Life Society" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-১২।
আরও পড়ুন[সম্পাদনা]
- জন ফর্নারো, রবার্ট (১৯৬৯)। Sivananda and the Divine Life Society: A Paradigm of the "secularism," "puritanism" and "cultural Dissimulation" of a Neo-Hindu Religious Society। সিরাকিউজ বিশ্ববিদ্যালয়।
- অনন্তনারায়ণ, এন (১৯৭০)। From man to God-man: the inspiring life-story of Swami Sivananda। ভারতীয় প্রকাশনা ট্রেডিং কর্পোরেশন।
- জ্ঞান, সতীশ চন্দ্র (১৯৭৯)। Swami Sivananda and the Divine Life Society: An Illustration of Revitalization Movement। এস এন।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]