লুইস দে লা ফুয়েন্তে (ফুটবলার, ১৯৬১-এ জন্ম)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
লুইস দে লা ফুয়েন্তে
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম লুইস দে লা ফুয়েন্তে কাস্তিলো[১]
জন্ম (1961-06-21) ২১ জুন ১৯৬১ (বয়স ৬২)[২]
জন্ম স্থান হারো, স্পেন[২]
উচ্চতা ১.৭২ মিটার
মাঠে অবস্থান লেফট-ব্যাক
ক্লাবের তথ্য
বর্তমান দল
স্পেন (কোচ)
যুব পর্যায়
১৯৭৬–১৯৭৮ অ্যাথলেটিক বিলবাও
জ্যেষ্ঠ পর্যায়*
বছর দল ম্যাচ (গোল)
১৯৭৮–১৯৮২ অ্যাথলেটিক বিলবাও বি ৫৯ (৩)
১৯৮১–১৯৮৭ অ্যাথলেটিক বিলবাও ১৪৬ (১)
১৯৮৭–১৯৯১ সেভিয়া ৮৬ (৪)
1991–1993 অ্যাথলেটিক বিলবাও ২২ (১)
১৯৯৩–১৯৯৪ আলাভেস ৩৫ (৩)
মোট ৩৪৮ (১২)
জাতীয় দল
১৯৭৮–১৯৭৯ স্পেন অ১৮ (০)
১৯৮২–১৯৮৪ স্পেন অ২১ (০)
১৯৮৮ স্পেন অ২৩ (০)
পরিচালিত দল
১৯৯৭–২০০০ পর্তুগালেতে
২০০০–২০০১ অরেরা
২০০৬–২০০৮ অ্যাথলেটিক বিলবাও বি
২০০৯–২০১১ অ্যাথলেটিক বিলবাও বি
২০১১ আলাভেস
২০১৩–২০১৮ স্পেন অ১৯
২০১৮–২০২২ স্পেন অ২১
২০২১ স্পেন অ২৩
২০২২– স্পেন
অর্জন ও সম্মাননা
পুরুষ ফুটবল
 স্পেন-এর প্রতিনিধিত্বকারী (কোচ হিসেবে)
অলিম্পিক গেমস
রৌপ্য পদক - দ্বিতীয় স্থান ২০২০ দল
 স্পেন-এর প্রতিনিধিত্বকারী (কোচ হিসেবে)
উয়েফা ইউরোপীয়ান অনূর্ধ্ব-২১ চ্যাম্পিয়নশীপ
বিজয়ী ২০১৯
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে

লুইস দে লা ফুয়েন্তে কাস্তিলো (জন্ম: ২১ জুন, ১৯৬১) হলেন একজন স্প্যানিশ ফুটবল ম্যানেজার এবং প্রাক্তন পেশাদার ফুটবলার। খেলোয়াড়ি জীবনে তিনি লেফট-ব্যাক হিসেবে খেলতেন। তিনি স্পেন জাতীয় ফুটবল দলের ম্যানেজার।

তিনি লা লিগার ক্লাব অ্যাথলেটিক বিলবাও এবং সেভিয়ার হয়ে ১৩ মৌসুমে ২৫৪ ম্যাচ খেলে ৬টি গোল করেন। ১৯৮৪ সালে কোপা দেল রে শিরোপা জেতার পাশাপাশি লিগ শিরোপা এবং পরবর্তীতে তাদের হয়ে আরেকটি লিগ শিরোপা জেতেন।

দে লা ফুয়েন্তে ২০১৩ সালে স্প্যানিশ যুব দলকে কোচিং করানো শুরু করেন। ২০১৫ সালের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে অনূর্ধ্ব-১৯ দল এবং ২০১৯ সালের একই টুর্নামেন্টে অনূর্ধ্ব-২১ দলকে শিরোপা জেতান। তিনি ২০২০ গেমসে অলিম্পিক দলকে রৌপ্য পদক জেতান, এবং ২০২২ সালে স্পেন জাতীয় ফুটবল দলের দায়িত্ব নেন।

খেলোয়াড়ি জীবন[সম্পাদনা]

দে লা ফুয়েন্তের জন্ম হারো, লা রিওজায়। অ্যাথলেটিক বিলবাও একাডেমি বের হওয়ার পর[৩] ১৯৭৮ সালে সেগুন্ডা ডিভিশন বি- তে রিজার্ভের দলের সাথে তার সিনিয়র ক্যারিয়ার শুরু হয়। ৮ মার্চ, ১৯৮১-এ তিনি ভ্যালেন্সিয়ার- বিপক্ষে বদলি খেলোয়াড় হিসাবে মাঠে নেমে লা লিগা -তে অভিষেক করেন।[৪]

১৯৮২ সালের গ্রীষ্মে দে লা ফুয়েন্তেকে সিনিয়র দলে নেওয়া হয়। পরের বছরের ২৬ মার্চে তিনি তার প্রথম পেশাদার গোল করেন, আরসি সেলটা ডি ভিগোর বিপক্ষে।[৫]

জুলাই ১৯৮৭ সালে, দে লা ফুয়েন্তে সেভিয়া- তে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন।[৬] ১৯৯১ সালে তিনি ২০ মিলিয়ন ফি দিয়ে অ্যাথলেটিকে ফিরে আসেন,[৭]

দে লা ফুয়েন্তে ১৯৯৩ সালে দেপোর্তিভো আলাভেসে যোগ দেন। এক মৌসুম পর, তিনি ৩৩ বছর বয়সে অবসর গ্রহণ করেন[৩]

কোচিং ক্যারিয়ার[সম্পাদনা]

প্রারম্ভিক বছর[সম্পাদনা]

দে লা ফুয়েন্তে প্রথমদিকে ক্লাব পর্তুগালেতের কোচ ছিলেন। ২০০০ সালের গ্রীষ্মে তিনি সেগুন্ডা ডিভিশন বি ক্লাব সিডি আউরেরা দে ভিটোরিয়াতে নিযুক্ত হন,[৮] পয়েন্ট টেবিলের সপ্তম স্থান থাকা সত্ত্বেও পরের বছরের মার্চ মাসে তাকে বরখাস্ত করা হয়।[৯]

সেভিলায় ফিরে যাওয়ার পর, দে লা ফুয়েন্তে অ্যাথলেটিকে ফিরে আসেন। প্রাথমিকভাবে রিজার্ভের একজন ম্যানেজার,[১০] তিনি তার আগের দায়িত্বে ফিরে আসার আগে দুই বছর[১১] ম্যাচ প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করেছিলেন।[১২]

১৩ জুলাই, ২০১১-এ, দে লা ফুয়েন্তেকে আলাভেসের কোচ মনোনীত করা হয়,[১৩] এবং ১৭ অক্টোবর বরখাস্ত করা হয়।[১৪]

স্পেনের যুব দল[সম্পাদনা]

৫ মে, ২০১৩-এ, দে লা ফুয়েন্তে স্পেনের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন।[১৫] কোচ হয়েই তিনি গ্রিসে অনুষ্ঠিত ২০১৫ সালের উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ জেতেন।[১৬] ২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব-২১ দলের কোচ আলবার্ট সেলেডস পদত্যাগ করলে তাকে সে দলের ম্যানেজার করা হয়।[১৭] ইতালিতে অনুষ্ঠিত ২০১৯ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে স্পেন অ১৯ দলজার্মানির কাছে ১–০ ফাইনালে হেরে যায়।[১৮]

৮ জুন, ২০২১-এ, দে লা ফুয়েন্তে লিথুয়ানিয়ার বিরুদ্ধে উয়েফা ইউরো ২০২০ টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য স্পেন জাতীয় দল থেকে খেলোয়ার ডাকেন। কারণ, সার্জিও বুসকেটস কোভিড-১৯ পজিটিভ ছিলেন, যার কারণে পুরো দলকেই কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।[১৯][২০]

দে লা ফুয়েন্তে জাপানে বিলম্বিত ২০২০ গেমসে স্পেন অলিম্পিক দলের দায়িত্বে ছিলেন।[২১] ফাইনালে ব্রাজিলের কাছে ২–১ গোলে হেরে রৌপ্য পদক নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।[২২]

স্পেন জাতীয় ফুটবল দল[সম্পাদনা]

স্পেন জাতীয় ফুটবল দলের কোচ লুইস এনরিকে মরক্কোর কাছে ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপে হারের পর পদত্যাগ করলে ৮ ডিসেম্বর, ২০২২-এ, দে লা ফুয়েন্তে স্পেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন।[২৩]

অর্জন[সম্পাদনা]

খেলোয়াড় হিসেবে[সম্পাদনা]

অ্যাথলেটিক বিলবাও

কোচ হিসেবে[সম্পাদনা]

স্পেন অ১৯

  • উয়েফা ইউরোপীয় অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপ : ২০১৫[১৬]

স্পেন অ২১

  • উয়েফা ইউরোপীয় অনূর্ধ্ব-২১ চ্যাম্পিয়নশিপ : ২০১৯[১৮]

স্পেন অ২৩

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Squad List: Men's Olympic Football Tournament Tokyo 2020: Spain (ESP)" (পিডিএফ)। FIFA। ২২ জুলাই ২০২১। পৃষ্ঠা 16। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০২১ 
  2. ওয়ার্ল্ডফুটবল.নেটে লুইস দে লা ফুয়েন্তে (ইংরেজি)
  3. Falagán, Aser (৭ আগস্ট ২০২১)। "De la Fuente, el éxito de un técnico discreto"El Comercio (স্পেনীয় ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  4. "0–0: Abdicación valencianista ante el Athletic"Mundo Deportivo (স্পেনীয় ভাষায়)। ৯ মার্চ ১৯৮১। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৫ 
  5. Castañeda, Eduardo (২৭ মার্চ ১৯৮৩)। "El Athletic, sin problemas"Mundo Deportivo (স্পেনীয় ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৫ 
  6. Granado, Luis (৬ জুলাই ১৯৮৭)। "El lateral del Athletic De la Fuente firma hoy contrato por el Sevilla"ABC (স্পেনীয় ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৫ 
  7. "El Sevilla traspasa a De la Fuente al Athletic de Bilbao por veinte millones"ABC (স্পেনীয় ভাষায়)। ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯১। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৫ 
  8. "Una apuesta para dar un salto cualitativo"Mundo Deportivo (স্পেনীয় ভাষায়)। ২ সেপ্টেম্বর ২০০০। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৫ 
  9. Parcero, Bruno (১৪ মার্চ ২০০১)। "Los nervios afloran en el tramo final"Mundo Deportivo (স্পেনীয় ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  10. "Luis de la Fuente, new Bilbao Athletic coach"। Athletic Bilbao। ৮ জুলাই ২০০৬। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৫ 
  11. "Luis de la Fuente, the new delegate"। Athletic Bilbao। ১৬ জুলাই ২০০৭। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৫ 
  12. "Luis de la Fuente ya trabaja con el Bilbao Athletic"El Correo (স্পেনীয় ভাষায়)। ৮ জুলাই ২০০৯। ৫ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৫ 
  13. "Luis de la Fuente retorna al Alavés como entrenador después de 17 años"Marca (স্পেনীয় ভাষায়)। ১৩ জুলাই ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৫ 
  14. M. Otero, Pablo (১৬ অক্টোবর ২০১১)। "El Alavés destituye a su técnico Luis de la Fuente"Marca (স্পেনীয় ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৫ 
  15. "La Federación Española ficha a Luis De la Fuente, que dirigirá la Sub'19"El Correo (স্পেনীয় ভাষায়)। ৫ মে ২০১৩। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৫ 
  16. "Los campeones Sub-19 ya están en España"El Mundo (স্পেনীয় ভাষায়)। ২০ জুলাই ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১৯ 
  17. "OFICIAL: Luis de la Fuente seleccionador sub 21" (স্পেনীয় ভাষায়)। El Desmarque। ২৪ জুলাই ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০১৯ 
  18. Fisher, Ben (৩০ জুন ২০১৯)। "Classy Spain sink Germany to lift Euro Under-21 Championship"The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১৯ 
  19. G. Matallanas, Javier (৭ জুন ২০২১)। ""Estoy preparado si tengo que dirigir a la Selección en la Eurocopa""Diario AS (স্পেনীয় ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০২১ 
  20. Feldman, Ben (৮ জুন ২০২১)। "Spain youngsters impress in Lithuania rout"Marca। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০২১ 
  21. "Pedri, Garcia & Torres among Spain's Euro 2020 players named in Tokyo Olympics squad"Goal। ২৯ জুন ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০২১ 
  22. "Tokyo Olympics 2021 medal count updates: who has won more? Tally by country, today, 7 August"Diario AS। ৭ আগস্ট ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০২১ 
  23. Lara, Miguel Ángel; Picó, Diego (৮ ডিসেম্বর ২০২২)। "Luis de la Fuente is Spain's new coach, succeeding Luis Enrique"Marca। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০২২ 
  24. ""The Barge years. The Athletic of 1983 and 1984""। Athletic Bilbao। ৮ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০২১ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]