লক্ষ কোটি ডলারের ক্লাব
লক্ষ কোটি ডলারের ক্লাব বা ট্রিলিয়ন ডলার ক্লাব বিশ্বের প্রধান কিছু জাতীয় অর্থনীতির একটি অনানুষ্ঠানিক শ্রেণী, যাদের প্রত্যেকের স্থূল অভ্যন্তরীণ উৎপাদন তথা মোট জাতীয় আয় বছরে ১ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। ২০২৩ সালের উপাত্ত অনুযায়ী এরকম ১৯টি রাষ্ট্র আছে। এগুলি হল উত্তর আমেরিকা মহাদেশের রাষ্ট্র কানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো, দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের রাষ্ট্র ব্রাজিল, এশিয়া মহাদেশের রাষ্ট্র জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, ভারত ও ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব ও তুরস্ক, ইউরোপ মহাদেশের রাষ্ট্র জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, যুক্তরাজ্য, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও রাশিয়া এবং ওশেনিয়ার রাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়া।[১][২]
১৯৮০-র দশকের শুরুর দিকে বিশ্বের মাত্র দুইটি রাষ্ট্র লক্ষ কোটি ডলার ক্লাবের সদস্য ছিল: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন। ১৯৮০-র দশকের শেষে এসে জাপান, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ইতালি এই দলে যোগ দেয়। কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়নের অর্থনীতিতে মন্দা শুরু হলে সেটি দল থেকে বের হয়ে যায়। ১৯৯০-এর দশকে একটিমাত্র রাষ্ট্র এই দলে যোগ দেয় : চীন। ২০০৪ সালে কানাডা ও স্পেন এবং ২০০৬-২০০৮ সালের মধ্যে রাশিয়া, ব্রাজিল, মেক্সিকো, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত ও অস্ট্রেলিয়াও এই দলে আগমন করে। ২০১০-এর দশকে এসে ২০১৭ সালে ইন্দোনেশিয়া যোগ দেয়। ২০২০-এর দশকের শুরুতে নেদারল্যান্ডস, সৌদি আরব ও তুরস্ক সর্বশেষ রাষ্ট্র হিসেবে লক্ষ কোটি ডলারের ক্লাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এছাড়া সুইজারল্যান্ডের অর্থনীতির (২০তম) মোট জাতীয় আয় লক্ষ কোটি ডলার না হলেও এটি বিশ্বের বৃহত্তম ২০টি অর্থনীতির মধ্যে স্থান পেয়েছে।[১]
উল্লেখ্য যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি এতই বৃহৎ যে এর চারটি অঙ্গরাজ্যের রাজ্য অর্থনীতির আকার ১ লক্ষ কোটি ডলারের বেশি। এগুলি হল ক্যালিফোর্নিয়া (৩ লক্ষ কোটি ডলার), টেক্সাস (১.৮ লক্ষ কোটি ডলার), নিউ ইয়র্ক (১.৭ লক্ষ কোটি ডলার) ও ফ্লোরিডা (১ লক্ষ কোটি ডলার)। অনুরূপে চীনের তিনটি প্রদেশ কুয়াংতুং (১.৪৭ লক্ষ কোটি ডলার), চিয়াংসু (১.৩৯ লক্ষ কোটি ডলার) ও শানতুং (১.১৫ লক্ষ কোটি ডলার) প্রদেশগুলির প্রাদেশিক অর্থনীতির আকার ১ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি।
সারণি
[সম্পাদনা]| অন্তর্ভুক্তির বছর | দেশ | তথ্যসূত্র | ২০২৩ সালের মোট জাতীয় আয় (লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারে)[৩][৪] |
|---|---|---|---|
| ১৯৬৯ | [৫] | ২৬.৯ | |
| ১৯৭৯ | [৫] | ৪.২৩ | |
| ১৯৮৭ | [৫] | ৪.৪০ | |
| ১৯৮৮ | [৫] | ৩.০৪ | |
| ১৯৮৯ | [৫] | ৩.৩৩ | |
| ১৯৯০ | [৫] | ২.১৮ | |
| ১৯৯৮ | [৫] | ১৭.৭০ | |
| ২০০৪ | [৫] | ১.৫৮ | |
| ২০০৪ | [৫] | ২.১১ | |
| ২০০৬ | [৫] | ২.১২ | |
| ২০০৬ | [৫] | ১.৭০ | |
| ২০০৭ | [৫] | ৩.৭৩ | |
| ২০০৭ | [৫] | ১.৮১ | |
| ২০০৭ | [৫] | ১.৮৬ | |
| ২০০৮ | [৫] | ১.৬৮ | |
| ২০১৭ | [৫] | ১.৪১ | |
| ২০২১ | [৬] | ১.০৯ | |
| ২০২২ | [৭] | ১.০৬ | |
| ২০২৩ | [৮] | ১.১৫ |
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- 1 2 Caleb Silber (৭ জুন ২০১৯), Top 20 Economies in the World: Ranking the "Richest" Countries in the World
- ↑ Bruce D. Jones (২০১৪), Still Ours to Lead: America, Rising Powers, and the Tension between Rivalry and Restraint, Brookings Institution Press, পৃ. ৪০-৪১
- ↑ "World Economic Outlook Database, October 2023"। IMF.org। International Monetary Fund। ১০ অক্টোবর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০২৩।
- ↑ "WEO Database, October 2023. Report for Selected Countries and Subjects: World, European Union"। IMF.org। International Monetary Fund। ১০ অক্টোবর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০২৩।
- 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 "World Bank"। Data.worldbank.org। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১৯।
- ↑ "Report for Selected Countries and Subjects"। IMF.org। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০২২।
- ↑ "Saudi GDP Exceeds $1 Tln, Shows Kingdom's Economy Is on Right Track"।
- ↑ "April 2023"।