লক্ষ কোটি ডলারের ক্লাব

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

লক্ষ কোটি ডলারের ক্লাব বা ট্রিলিয়ন ডলার ক্লাব বিশ্বের প্রধান কিছু জাতীয় অর্থনীতির একটি অনানুষ্ঠানিক শ্রেণী, যাদের প্রত্যেকের স্থূল অভ্যন্তরীণ উৎপাদন তথা মোট জাতীয় আয় বছরে ১ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। ২০২৩ সালের উপাত্ত অনুযায়ী এরকম ১৯টি রাষ্ট্র আছে। এগুলি হল উত্তর আমেরিকা মহাদেশের রাষ্ট্র কানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রমেক্সিকো, দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের রাষ্ট্র ব্রাজিল, এশিয়া মহাদেশের রাষ্ট্র জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, ভারতইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরবতুরস্ক, ইউরোপ মহাদেশের রাষ্ট্র জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, যুক্তরাজ্য, স্পেন, নেদারল্যান্ডসরাশিয়া এবং ওশেনিয়ার রাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়া[১][২]

১৯৮০-র দশকের শুরুর দিকে বিশ্বের মাত্র দুইটি রাষ্ট্র লক্ষ কোটি ডলার ক্লাবের সদস্য ছিল: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন। ১৯৮০-র দশকের শেষে এসে জাপান, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ইতালি এই দলে যোগ দেয়। কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়নের অর্থনীতিতে মন্দা শুরু হলে সেটি দল থেকে বের হয়ে যায়। ১৯৯০-এর দশকে একটিমাত্র রাষ্ট্র এই দলে যোগ দেয় : চীন। ২০০৪ সালে কানাডা ও স্পেন এবং ২০০৬-২০০৮ সালের মধ্যে রাশিয়া, ব্রাজিল, মেক্সিকো, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত ও অস্ট্রেলিয়াও এই দলে আগমন করে। ২০১০-এর দশকে এসে ২০১৭ সালে ইন্দোনেশিয়া যোগ দেয়। ২০২০-এর দশকের শুরুতে নেদারল্যান্ডস, সৌদি আরবতুরস্ক সর্বশেষ রাষ্ট্র হিসেবে লক্ষ কোটি ডলারের ক্লাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এছাড়া সুইজারল্যান্ডের অর্থনীতির (২০তম) মোট জাতীয় আয় লক্ষ কোটি ডলার না হলেও এটি বিশ্বের বৃহত্তম ২০টি অর্থনীতির মধ্যে স্থান পেয়েছে।[১]

উল্লেখ্য যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি এতই বৃহৎ যে এর চারটি অঙ্গরাজ্যের রাজ্য অর্থনীতির আকার ১ লক্ষ কোটি ডলারের বেশি। এগুলি হল ক্যালিফোর্নিয়া (৩ লক্ষ কোটি ডলার), টেক্সাস (১.৮ লক্ষ কোটি ডলার), নিউ ইয়র্ক (১.৭ লক্ষ কোটি ডলার) ও ফ্লোরিডা (১ লক্ষ কোটি ডলার)। অনুরূপে চীনের তিনটি প্রদেশ কুয়াংতুং (১.৪৭ লক্ষ কোটি ডলার), চিয়াংসু (১.৩৯ লক্ষ কোটি ডলার) ও শানতুং (১.১৫ লক্ষ কোটি ডলার) প্রদেশগুলির প্রাদেশিক অর্থনীতির আকার ১ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি।

সারণি[সম্পাদনা]

অন্তর্ভুক্তির
বছর
দেশ তথ্যসূত্র ২০২৩ সালের মোট জাতীয় আয়
(লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারে)[৩][৪]
১৯৬৯  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র [৫] ২৬.৯
১৯৭৯  জাপান [৫] ৪.২৩
১৯৮৭  জার্মানি [৫] ৪.৪০
১৯৮৮  ফ্রান্স [৫] ৩.০৪
১৯৮৯  যুক্তরাজ্য [৫] ৩.৩৩
১৯৯০  ইতালি [৫] ২.১৮
১৯৯৮  চীন [৫] ১৭.৭০
২০০৪  স্পেন [৫] ১.৫৮
২০০৪  কানাডা [৫] ২.১১
২০০৬  ব্রাজিল [৫] ২.১২
২০০৬  দক্ষিণ কোরিয়া [৫] ১.৭০
২০০৭  ভারত [৫] ৩.৭৩
২০০৭  মেক্সিকো [৫] ১.৮১
২০০৭  রাশিয়া [৫] ১.৮৬
২০০৮  অস্ট্রেলিয়া [৫] ১.৬৮
২০১৭  ইন্দোনেশিয়া [৫] ১.৪১
২০২১  নেদারল্যান্ডস [৬] ১.০৯
২০২২  সৌদি আরব [৭] ১.০৬
২০২৩  তুরস্ক [৮] ১.১৫

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Caleb Silber (জুন ৭, ২০১৯), Top 20 Economies in the World: Ranking the "Richest" Countries in the World 
  2. Bruce D. Jones (২০১৪), Still Ours to Lead: America, Rising Powers, and the Tension between Rivalry and Restraint, Brookings Institution Press, পৃষ্ঠা 40-41 
  3. "World Economic Outlook Database, October 2023"IMF.orgInternational Monetary Fund। ১০ অক্টোবর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০২৩ 
  4. "WEO Database, October 2023. Report for Selected Countries and Subjects: World, European Union"IMF.orgInternational Monetary Fund। ১০ অক্টোবর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০২৩ 
  5. "World Bank"Data.worldbank.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-০৬ 
  6. "Report for Selected Countries and Subjects"IMF.org। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০২২ 
  7. "Saudi GDP Exceeds $1 Tln, Shows Kingdom's Economy Is on Right Track" 
  8. "April 2023"