জাপানের অর্থনীতি
![]() টোকিও, জাপানের আর্থিক কেন্দ্র | |
মুদ্রা | জাপানি ইয়েন (JPY, ¥) |
---|---|
১ এপ্রিল – ৩১ মার্চ | |
বাণিজ্যিক সংস্থা | এপিইসি, ডব্লিউটিও, সিপিটিপিপি, আরইসিপি, ওইসিডি, জি২০, জি৭ ও অন্যান্য |
দেশের স্তর |
|
পরিসংখ্যান | |
জনসংখ্যা | ![]() |
জিডিপি | |
জিডিপি ক্রম | |
জিডিপি প্রবৃদ্ধি |
|
মাথাপিছু জিডিপি | |
মাথাপিছু জিডিপি ক্রম | |
খাত অনুযায়ী জিডিপি |
|
বিষয় অনুযায়ী জিডিপি |
|
৩.১% | |
দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থিত জনসংখ্যা | ১৬.১% (২০১৩)[৫] |
৩৩.৯ মাঝারি (২০১৫)[৬] | |
শ্রমশক্তি | |
পেশা অনুযায়ী শ্রমশক্তি |
|
বেকারত্ব | |
গড় বেতন | মাসিক ¥৪২৯,৫০১ / US$৩,২৬৭.১৬[১১] (২০২২) |
প্রধান শিল্পসমূহ |
|
বৈদেশিক | |
রপ্তানি | ![]() |
রপ্তানি পণ্য |
|
প্রধান রপ্তানি অংশীদার |
|
আমদানি | ![]() |
আমদানি পণ্য |
|
প্রধান আমদানি অংশীদার |
|
এফডিআই স্টক | |
![]() | |
মোট বৈদেশিক ঋণ | ![]() (জিডিপি’র ১০৩.২%) |
মূল উপাত্ত সূত্র: সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক মুদ্রা অনুল্লেখিত থাকলে তা মার্কিন ডলার এককে রয়েছে বলে ধরে নিতে হবে। |
জাপান একটি শিল্পোন্নত দেশ যার বাজারভিত্তিক অর্থনীতি বিশ্বের ২য় বৃহত্তম অর্থনীতি। এর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সাথে সম্পর্কিত অর্থনৈতিক খাতগুলি অত্যন্ত দক্ষ ও প্রতিযোগিতাশীল। তবে সুরক্ষিত খাত যেমন কৃষি, বিতরণ এবং বিভিন্ন পরিষেবায় উৎপাদনশীলতা তুলনামূলকভাবে কম। ১৯৬০-এর দশক থেকে ১৯৮০-র দশক পর্যন্ত জাপান বিশ্বের সবচেয়ে বর্ধিষ্ণু অর্থনীতিগুলির অন্যতম ছিল। কিন্তু ১৯৯০-এর দশকে এসে "বুদ্বুদ অর্থনীতিতে" ধ্বস নামলে জাপানের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি নাটকীয়ভাবে ধীর হয়ে পড়ে। স্টক এবং রিয়েল এস্টেটের দাম অনেক পড়ে যায়।
শিল্পনেতা, কারিগর, সুশিক্ষিত ও পরিশ্রমী কর্মী বাহিনী, উচ্চ মাত্রায় সঞ্চয়ের প্রবণতা, উচ্চ বিনিয়োগ হার, শিল্প ও বৈদেশিক বাণিজ্য উন্নয়নের জন্য সরকারের জোরালো সমর্থন --- এ সব কিছু মিলে জাপান একতি পরিণত শিল্পোন্নত অর্থনীতি। জাপানের প্রাকৃতিক সম্পদের পরিমাণ খুব কম। কিন্তু বৈদেশিক বাণিজ্যের মাধ্যমে জাপান যে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে, তা অর্থনীতির জন্য কাঁচামাল ক্রয়ে ব্যবহার করা হয়।
জাপানের অর্থনীতি ভবিষ্যতে ভাল থাকার সম্ভাবনা আছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৯০-এর দশকে এসে প্রথমবারের মত জাপান অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত স্থবির একটি পর্যায়ে প্রবেশ করে, যে সময় প্রবৃদ্ধির হার ছিল বছরে গড়ে মাত্র ১%। ২০০০ সালের পর থেকে এর কিছুটা উন্নতি হওয়া শুরু হয়েছে। ২০০৭ সালে প্রকৃত প্রবৃদ্ধির হার ছিল ২%-এর কিছু বেশি।
জাপানের মাত্র ১৫% ভূমি আবাদযোগ্য। কৃষিখাত সরকার থেকে প্রচুর ভর্তুকি পায়। প্রতি হেক্টর জমিতে জাপানের কৃষি উৎপাদনের পরিমাণ বিশ্বের সর্বোচ্চগুলির একটি। জাপান তার নিজের কৃষিজমি ব্যবহার করে কৃষিতে প্রায় ৪০% স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এর মধ্যে ধানের উৎপাদন দেশের চাহিদা মিটিয়ে খানিকটা উদ্বৃত্ত থেকে যায়। কিন্তু গম, ভুট্টা, সয়াবিন ইত্যাদি বিপুল পরিমাণে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকেই এগুলি আসে। জাপান তাই মার্কিন কৃষি রপ্তানির প্রধানতম বাজার।
জ্বালানিশক্তির জন্য জাপান বিদেশের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু ১৯৭০-এর তেল সংকটের পর থেকে জাপান পেট্রোলিয়ামের পরিবর্তে শক্তির অন্য উৎস ব্যবহারের পদক্ষেপ নিয়েছে। বর্তমানে জাপানের মাত্র অর্ধেক শক্তি পেট্রোলিয়ামজাত তেল থেকে আসে। অন্য জ্বালানির মধ্যে আছে কয়লা, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস, নিউক্লীয় শক্তি এবং জলবিদ্যুৎ। বর্তমানে জাপান বিশ্বের সবচেয়ে শক্তি-সাশ্রয়ী উন্নত অর্থনীতিগুলির একটি।
জাপানে সোনা, ম্যাগনেসিয়াম ও রূপার মজুদ ভাণ্ডার দেশের বর্তমান শিল্প চাহিদা মেটাতে সক্ষম। কিন্তু জাপান আধুনিক শিল্পে ব্যবহৃত অনেক খনিজের জন্য বিদেশের উপর নির্ভরশীল। লোহার আকরিক, কোক কয়লা, তামা, বক্সাইট এবং বহু বনজ দ্রব্য বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।
জাপানের শ্রমিকসংখ্যা প্রায় ৬ কোটি ৭০ লক্ষ। এদের মধ্যে ৪০%-ই নারী। প্রায় ১ কোটি শ্রমিক কোন না কোন শ্রমিক সঙ্ঘের সাথে জড়িত।
- ↑ "World Economic Outlook Database, April 2024"। IMF.org। International Monetary Fund। ১৭ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০২৪।
- ↑ "World Bank Country and Lending Groups"। datahelpdesk.worldbank.org। World Bank। ২৮ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Source"। ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০২৩।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "Report for Selected Countries and Subjects: April 2024"। imf.org। International Monetary Fund। ৩০ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০২৪।
- ↑ ক খ গ "EAST ASIA/SOUTHEAST ASIA :: JAPAN"। CIA.gov। Central Intelligence Agency। ৫ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০২৪।
- ↑ "Income inequality"। data.oecd.org। OECD। ২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ ক খ "Human Development Index (HDI)"। hdr.undp.org। HDRO (Human Development Report Office) United Nations Development Programme।
- ↑ ক খ গ ঘ "Seasonally adjusted series of major items (Labour force, Employed person, Unemployed person, Not in labour force, Unemployment rate)"। stat.go.jp। Ministry of Internal Affairs and Communications। ৭ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ "Employed person by age group"। stat.go.jp। Ministry of Internal Affairs and Communications। ৭ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ "Labor Force by Services"। data.worldbank.org। ২৭ জুন ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৯। – Labor Force by Industry ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ জুন ২০২২ তারিখে and agriculture ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ জুন ২০২২ তারিখে
- ↑ "Home"। ১৭ মে ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০২৩।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ "Trade Statistics"। customs.go.jp। Japan Customs। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪।
- ↑ ক খ "UNCTAD 2022" (পিডিএফ)। UNCTAD। ১২ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-০৬।
- ↑ "External Debt | Economic Indicators | CEIC"। www.ceicdata.com। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০২৩।