রোশন জুরঙ্গপতি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রোশন জুরঙ্গপতি
රොෂාන් ජුරන්පති
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামবাবা রোশন জুরঙ্গপতি
জন্ম (1967-06-25) ২৫ জুন ১৯৬৭ (বয়স ৫৬)
কলম্বো, শ্রীলঙ্কা
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৩১)
১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৮৫ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট২৭ ডিসেম্বর ১৯৮৬ বনাম ভারত
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৮৯ - ১৯৯২কলম্বো ক্রিকেট ক্লাব
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৪৯ ১৫
রানের সংখ্যা ১৪৮৩ ১৬৪
ব্যাটিং গড় ০.২৫ ২৫.১৩ ১২.৬১
১০০/৫০ ০/০ ২/৬ ০/০
সর্বোচ্চ রান ১০৪ ৩৬
বল করেছে ১৫০ ৫৫৬৬ ৪৬৪
উইকেট ১০৪ ১৮
বোলিং গড় ৯৩.০০ ২০.৬২ ১৬.৯৪
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ১/৬৯ ৬/৪৪ ৫-২০
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/- ২৭/- ৮/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৯ মার্চ ২০২০

বাবা রোশন জুরঙ্গপতি (সিংহলি: රොෂාන් ජුරන්පති; জন্ম: ২৫ জুন, ১৯৬৭) কলম্বো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক শ্রীলঙ্কান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯২ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে শ্রীলঙ্কার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে কলম্বো ক্রিকেট ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ের পারদর্শী ছিলেন রোশন জুরঙ্গপতি

খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

১৯৮৪-৮৫ মৌসুম থেকে ১৯৯২-৯৩ মৌসুম পর্যন্ত রোশন জুরঙ্গপতি’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সদস্যরূপে পাকিস্তানের বিপক্ষে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন। ১৭ বছর ৩৪২ দিন বয়সে শ্রীলঙ্কার সর্বকনিষ্ঠ প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটার হিসেবে শতরানের ইনিংস খেলেন।

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন রোশন জুরঙ্গপতি।[১] ১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৫ তারিখে ক্যান্ডিতে সফরকারী ভারত দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৮৬ তারিখে নাগপুরে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

বিদ্যালয়ের বালক থাকা অবস্থাতেই টেস্ট ক্রিকেটারের মর্যাদা লাভ করেন। অংশগ্রহণকৃত চারটি টেস্ট ইনিংসের মধ্যে তিনটিতেই শূন্য রানের সন্ধান পান ও একটিতে এক রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন তিনি। অভিষেক টেস্টে তাকে বোলিং করারও তেমন সুযোগ দেয়া হয়নি। মাত্র চার ওভার বোলিং করেছিলেন তিনি।

অ্যাসগিরিয়া স্টেডিয়ামে অভিষেক টেস্টে ভারতীয় অল-রাউন্ডার মহিন্দর অমরনাথের একমাত্র উইকেট পেয়েছিলেন তিনি।[২] নিজস্ব দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত খেলায় অফ স্পিন বোলিং করে ২১ ওভারে ৬৯ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পান। এরপর তিনি পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় গ্রেড ক্রিকেটে অংশ নেন।

মূল্যায়ন[সম্পাদনা]

অভিষেককালীন জুরঙ্গপতি শ্রীলঙ্কার চতুর্থ কনিষ্ঠতম খেলোয়াড়ের মর্যাদা লাভ করেছিলেন। সহজাত প্রতিভার অধিকারী অল-রাউন্ডার ছিলেন তিনি। তবে, দুই টেস্ট পর দল নির্বাচকমণ্ডলী তার উপর খুব কমই আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছিলেন। অবশ্য সন্দেহাতীতভাবেই তার খেলার মান বেশ নিচু পর্যায়ের ছিল। কিন্তু বয়সের বিবেচনায়, কিছুটা পরিচালনাসহ সময়ের সাথে সাথে তিনি হয়তোবা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অল-রাউন্ডার হতে পারতেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Was Dawid Malan's hundred the fastest for England in T20Is?"ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০১৯ 
  2. CricketArchive: India v Sri Lanka in 1986/87

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]