রিজেন্ট হুইসলার
Regent whistler | |
---|---|
![]() | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস ![]() | |
জগৎ/রাজ্য: | অ্যানিম্যালিয়া (Animalia) |
পর্ব: | কর্ডাটা (Chordata) |
গোষ্ঠী: | ডাইনোসরিয়া (Dinosauria) |
গোষ্ঠী: | সরিস্কিয়া (Saurischia) |
গোষ্ঠী: | থেরোপোডা (Theropoda) |
গোষ্ঠী: | Maniraptora |
গোষ্ঠী: | আভিয়ালে (Avialae) |
শ্রেণি: | এভিস (Aves) |
বর্গ: | প্যাসারিফর্মিস (Passeriformes) |
পরিবার: | Pachycephalidae |
গণ: | Pachycephala Schlegel, 1871 |
প্রজাতি: | P. schlegelii |
দ্বিপদী নাম | |
Pachycephala schlegelii Schlegel, 1871 |
রিজেন্ট হুইসলার (Pachycephala schlegelii) হল Pachycephalidae পরিবারের একটি পাখির প্রজাতি। এটি নিউ গিনির উচ্চভূমিতে পাওয়া যায়। এদের প্রাকৃতিক বাসস্থান হল উপক্রান্তীয় বা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় আর্দ্র পাহাড়ী বন। তাছাড়াও পাপুয়া নিউ গিনির বৃষ্টি-অরণ্যে রিজেন্ট হুইসলারদের পাওয়া যায়। তাদের পালকে আর চামড়ায় রুফাস-নেপ্ড বেলবার্ড ও হুডেড পিটোহুইয়ের মতো নিউরোটক্সিন জমে থাকে, অথচ তাদের নিজেদের কোনো ক্ষতি হয় না। মানুষ, শিকারি পাখি-সহ আক্রমণকারীদের থেকে আত্মরক্ষার্থে এই বিষ ব্যবহৃত হয়। এই বিশেষ বিষকে বলা হয় ব্যাট্রাকোটক্সিন। বিষাক্ত পোকামাকড় খাওয়ার ফলে তাদের শরীরে এই বিষ তৈরী হয়। মাংসপেশির যে ভোল্টেজ-গেটেড সোডিয়াম চ্যানেলে ব্যাট্রাকোটক্সিন জুড়ে বসে (বাইণ্ডিং), এদের শরীরে জেনেটিক মিউটেশনের ফলে বেশ কিছু বদল আসে যার ফলে ব্যাট্রাকোটক্সিন এদের শরীরে প্রভাব ফেলত পারে না। এই বিষ পয়জন-ডার্ট ব্যাঙের শরীরেও পাওয়া যায়। এদের পালকে হাত দিলে নাক-চোখ জ্বলতে শুরু করে ও কিছুক্ষণ বাদে প্রবল জল গড়াতে থাকে ঠিক যেন পেঁয়াজের ঝাঁজের সাথে নার্ভ এজেন্টের সংমিশ্রণ। তাছাড়া কর্মরত স্কেলিটাল মাসেলের মধ্যে থাকা সোডিয়াম চ্যানেল বন্ধ করে দিতে পারে, যার ফল স্প্যাজম বা মাংসপেশির খিঁচুনি এবং কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যু।[২]
উপপ্রজাতি
[সম্পাদনা]- P.s. schlegelii - Schlegel, 1871 : উত্তর-পশ্চিম নিউ গিনিতে পাওয়া যায়
- P.s. cyclopum - হার্টার্ট, 1930 : উত্তর-মধ্য নিউ গিনিতে পাওয়া যায়
- P. s. obscurior - হার্টার্ট, 1896 : পশ্চিম-মধ্য থেকে পূর্ব নিউ গিনিতে পাওয়া যায়
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ BirdLife International (২০১৭)। "Pachycephala schlegelii"। বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা (ইংরেজি ভাষায়)। আইইউসিএন। 2017: e.T22705513A118685625। ডিওআই:10.2305/IUCN.UK.2017-3.RLTS.T22705513A118685625.en
। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০২১।
- ↑ "পাখির শিস নয়, পাখির বিষ"।