মোহাম্মদ আছাদুজ্জামান
মোহাম্মদ আছাদুজ্জামান | |
---|---|
যশোর-১১ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ – ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২ | |
মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ৭ মে ১৯৮৬ – ৩ মার্চ ১৯৮৮ | |
পূর্বসূরী | আসন শুরু |
উত্তরসূরী | নিতাই রায় চৌধুরী |
কাজের মেয়াদ ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ – ২৫ ডিসেম্বর ১৯৯৩ | |
পূর্বসূরী | নিতাই রায় চৌধুরী |
উত্তরসূরী | কাজী সালিমুল হক কামাল |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১১ নভেম্বর ১৯৩৫ |
মৃত্যু | ২৫ ডিসেম্বর ১৯৯৩ |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
সন্তান | সাইফুজ্জামান শিখর |
পেশা | রাজনীতিবিদ, আইনজীবী[১] |
মোহাম্মদ আছাদুজ্জামান ছিলেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, যিনি মাগুরা জেলা থেকে চার বার জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার এক ছেলে সাইফুজ্জামান শিখর মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং এক মেয়ে কামরুল লায়লা জলি জাতীয় সংসদের সাবেক সংসদ সদস্য।[২][৩]
জীবনী[সম্পাদনা]
মোহাম্মদ আছাদুজ্জামান জন্মেছিলেন ১৯৩৫ সালের ১১ নভেম্বরে, মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নের মৌলভী জোকা গ্রামে।[৪][৫][৬] তিনি অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র অবস্থায় ভাষা আন্দোলনে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। ১৯৫৪ সালে ছাত্রাবস্থাতেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। তিনি ১৯৬২’র ছাত্র আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯’র গণ-অভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন আন্দোলনে তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। ১৯৬৫ সালে তিনি মাগুরা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন।
১৯৭০ সালে তিনি তৎকালীন পূর্ববঙ্গ আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।[৫] ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করা ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হিসেবেও তিনি কাজ করেছেন।[৫] মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি সোহরাব হোসেন ও সৈয়দ আতর আলীকে সাথে নিয়ে মাগুরায় পাকিস্তানি বাহিনী ও দোসরদের আক্রমণ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাকে মাগুরায় সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়; তবে যুদ্ধকালে তিনি ভারতে অবস্থান করছিলেন এবং সেখানে তাকে রানাঘাট যুব শিবিরের (ইয়ুথ ক্যাম্প)-এর দায়িত্ব দেয়া হয়।[৭]
১৯৭২ সালে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে বাংলাদেশ গণপরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। ১৯৭৬ সালে তিনি মাগুরা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৯ সালে তিনি দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন যশোর-১১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৫][৮] এরপর, ১৯৮৬ সালে তিনি তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-২ সংসদীয় আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৫][৯][১০]
মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি জাতীয় সংসদের মাগুরা-২ সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৯৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।[৪][৫][৬]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "Asaduzzaman's contributions recalled"। The Daily Star।
- ↑ "নাসিক নির্বাচন প্রমাণ করেছে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব: ফজলে রাব্বি মিয়া"। জনকণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১৯।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "মাগুরা-১ শিখরের পক্ষে একাট্টা আ'লীগ"। সমকাল। ২১ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ ক খ "মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আছাদুজ্জামানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ"। ইত্তেফাক। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৪। ২২ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০১৯।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ "মো.আছাদুজ্জামান: সংসদীয় বিতর্কের এক শিক্ষকের কথা"। চ্যানেল আই। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ ক খ "আজ সাবেক এমপি আছাদুজ্জামানের মৃত্যুবার্ষিকী"। সমকাল। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০১৯।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ জাহিদ রহমান (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। মুক্তিযুদ্ধে মাগুরার যত শহীদ। শোভা প্রকাশ। পৃষ্ঠা ১৪।
- ↑ "দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ সদস্য তালিকা"। parliament.gov.bd। জাতীয় সংসদ। ২০১৯-০২-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "তৃতীয় জাতীয় সংসদ সদস্য তালিকা" (পিডিএফ)। parliament.gov.bd। জাতীয় সংসদ। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "৫ম জাতীয় সংসদ সদস্য তালিকা (বাংলা)" (পিডিএফ)। www.parliament.gov.bd। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ। ২৯ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০১৮।