মোহাম্মদ আছাদুজ্জামান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মোহাম্মদ আছাদুজ্জামান
যশোর-১১ আসনের
সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ – ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২
মাগুরা-২ আসনের
সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
৭ মে ১৯৮৬ – ৩ মার্চ ১৯৮৮
পূর্বসূরীআসন শুরু
উত্তরসূরীনিতাই রায় চৌধুরী
কাজের মেয়াদ
২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ – ২৫ ডিসেম্বর ১৯৯৩
পূর্বসূরীনিতাই রায় চৌধুরী
উত্তরসূরীকাজী সালিমুল হক কামাল
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১১ নভেম্বর ১৯৩৫
মৃত্যু২৫ ডিসেম্বর ১৯৯৩
নাগরিকত্বব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
বাংলাদেশ
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
সন্তানসাইফুজ্জামান শিখর
পেশারাজনীতিবিদ, আইনজীবী[১]

মোহাম্মদ আছাদুজ্জামান ছিলেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, যিনি মাগুরা জেলা থেকে চার বার জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার এক ছেলে সাইফুজ্জামান শিখর মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং এক মেয়ে কামরুল লায়লা জলি জাতীয় সংসদের সাবেক সংসদ সদস্য[২][৩]

জীবনী[সম্পাদনা]

মোহাম্মদ আছাদুজ্জামান জন্মেছিলেন ১৯৩৫ সালের ১১ নভেম্বরে, মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নের মৌলভী জোকা গ্রামে।[৪][৫][৬] তিনি অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র অবস্থায় ভাষা আন্দোলনে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। ১৯৫৪ সালে ছাত্রাবস্থাতেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। তিনি ১৯৬২’র ছাত্র আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯’র গণ-অভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন আন্দোলনে তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। ১৯৬৫ সালে তিনি মাগুরা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন।

১৯৭০ সালে তিনি তৎকালীন পূর্ববঙ্গ আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।[৫] ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করা ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হিসেবেও তিনি কাজ করেছেন।[৫] মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি সোহরাব হোসেনসৈয়দ আতর আলীকে সাথে নিয়ে মাগুরায় পাকিস্তানি বাহিনী ও দোসরদের আক্রমণ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাকে মাগুরায় সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়; তবে যুদ্ধকালে তিনি ভারতে অবস্থান করছিলেন এবং সেখানে তাকে রানাঘাট যুব শিবিরের (ইয়ুথ ক্যাম্প)-এর দায়িত্ব দেয়া হয়।[৭]

১৯৭২ সালে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে বাংলাদেশ গণপরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। ১৯৭৬ সালে তিনি মাগুরা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৯ সালে তিনি দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন যশোর-১১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৫][৮] এরপর, ১৯৮৬ সালে তিনি তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-২ সংসদীয় আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৫][৯][১০]

মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি জাতীয় সংসদের মাগুরা-২ সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৯৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।[৪][৫][৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Asaduzzaman's contributions recalled"The Daily Star 
  2. "নাসিক নির্বাচন প্রমাণ করেছে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব: ফজলে রাব্বি মিয়া"জনকণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১৯ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "মাগুরা-১ শিখরের পক্ষে একাট্টা আ'লীগ"সমকাল। ২১ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১৯ 
  4. "মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আছাদুজ্জামানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ"ইত্তেফাক। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৪। ২২ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০১৯ 
  5. "মো.আছাদুজ্জামান: সংসদীয় বিতর্কের এক শিক্ষকের কথা"চ্যানেল আই। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১৯ 
  6. "আজ সাবেক এমপি আছাদুজ্জামানের মৃত্যুবার্ষিকী"সমকাল। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০১৯ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  7. জাহিদ রহমান (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। মুক্তিযুদ্ধে মাগুরার যত শহীদ। শোভা প্রকাশ। পৃষ্ঠা ১৪। 
  8. "দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ সদস্য তালিকা"parliament.gov.bd। জাতীয় সংসদ। ২০১৯-০২-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  9. "তৃতীয় জাতীয় সংসদ সদস্য তালিকা" (পিডিএফ)parliament.gov.bd। জাতীয় সংসদ। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  10. "৫ম জাতীয় সংসদ সদস্য তালিকা (বাংলা)" (পিডিএফ)www.parliament.gov.bd। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ। ২৯ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০১৮