বিষয়বস্তুতে চলুন

মুহাম্মদ শামসুল হক আজিমাবাদী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মুহাম্মদ শামসুল হক আজিমাবাদী
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম১৮ জুলাই ১৮৫৭
মৃত্যু২১ মার্চ ১৯১১ (৫৩ বছর)
ধর্মইসলাম
জাতীয়তাভারতীয়
ধর্মীয় মতবিশ্বাসআছারি
আন্দোলনআহলে হাদিস
মুসলিম নেতা
শিক্ষার্থী
  • আব্দুর রহমান মুবারকপুরী
যার দ্বারা প্রভাবিত

আবু-আল-তৈয়্যব মুহাম্মদ শামস-আল-হক বিন শায়খ আমীর 'আলি বিন শেখ মাকসুদ' আলী বিন শেখ গোলাম হায়দার বিন শেখ হেদায়েতুল্লাহ বিন শায়খ মুহাম্মদ জাহিদ বিন শায়খ নূর মুহাম্মদ বিন শেখ 'আলাউদ্দীন, যিনি মুহাম্মদ শামসুল হক আজিমাবাদী নামে অধিক পরিচিত। ভারতীয় হাদীসশাস্ত্রের পণ্ডিত ছিলেন। তিনি সুনানে আবি দাউদের ব্যাখ্যাগ্রন্থ লেখার জন্য সর্বাধিক পরিচিত।[]

তিনি পাটনায় জন্মগ্রহণ করেন, যা পূর্বে আজিমাবাদ নামে পরিচিত ছিল এবং সৈয়দ নাজির হোসেনের কাছ থেকে ইসলামিক শিক্ষা লাভ করেন।

১৮৯৪ সালে তিনি হজ পালনের জন্য মক্কামদিনা ভ্রমণ করেন এবং সেখানে থাকাকালীন তিনি অনেক পন্ডিতদের সাথে সাক্ষাতের সুযোগ পান। আজিমাবাদীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের মধ্যে ছিল হাদিস এবং এর সাহিত্যের জনপ্রিয়করণ এবং বিতরণ।

আজিমাবাদির ইসলামিক পাণ্ডুলিপির একটি অত্যন্ত বিস্তৃত গ্রন্থাগার ছিল, যা ভারতের সেরা গ্রন্থগুলির মধ্যে বিবেচিত হত। তিনি অনেক বইয়ের লেখক, তবে তার সর্বাধিক পরিচিত হল ৩২ খন্ডের সুনান আবি দাউদের ভাষ্য, যাকে গায়তুল মাকসুদ বলা হয় এবং ১৪ খন্ডের আউন উল-মা'বুদ। আজিমাবাদী ইসলামের একজন মুজাদ্দিদ বা মুক্তিদাতার যোগ্যতা সম্পর্কে তার মতামতের জন্যও পরিচিত ছিলেন; তার হিসাব অনুযায়ী, আল-সুয়ুতি এবং মুর্তদা আল-জাবিদি ছিলেন দুইজন বিশিষ্ট মুজাদ্দিদ।

১৯১০-১১ সালে সমগ্র দেশ প্লেগের মহামারীর কবলে পড়ে। বিহারের আজিমাবাদির জেলার পাটনাও এই রোগে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়েছিল। ১৫ মার্চ দিয়ানওয়ান শহর পরিদর্শন করার পর তিনি নিজেই প্লেগের আক্রমণে আক্রান্ত হন এবং ছয় দিন পর ২১ মার্চ ১৯১১ সালে তিনি ৫৩ বছর বয়সে মারা যান।[]

লিখনী অবদান

[সম্পাদনা]

উদ্ধৃতি

[সম্পাদনা]
  1. Ze'ev Maghen, After Hardship Cometh Ease: The Jews as Backdrop for Muslim Moderation, pg. 51. Volume 17 of Studien zur Geschichte und Kultur des islamischen Orients. Neue Folge. Berlin: Walter de Gruyter, 2006. আইএসবিএন ৯৭৮৩১১০৯১০৪৭৬
  2. Azyumardi Azra, The Origins of Islamic Reformism in Southeast Asia, pg. 18. Part of the ASAA Southeast Asia Publications Series. Honolulu: University of Hawaii Press, 2004. আইএসবিএন ৯৭৮০৮২৪৮২৮৪৮৬

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]