মহাপ্রাণ ও অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনি
এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি পরিবর্ধন বা বড় কোনো পুনর্গঠনের মধ্যে রয়েছে। এটির উন্নয়নের জন্য আপনার যে কোনো প্রকার সহায়তাকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। যদি এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি কয়েকদিনের জন্য সম্পাদনা করা না হয়, তাহলে অনুগ্রহপূর্বক এই টেমপ্লেটটি সরিয়ে ফেলুন। ৩৪ দিন আগে Sbb1413 (আলাপ | অবদান) এই নিবন্ধটি সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন। (হালনাগাদ) |
মহাপ্রাণ | |
---|---|
◌ʰ | |
এনকোডিং | |
এন্টিটি (দশমিক) | ʰ |
ইউনিকোড (ষটদশমিক) | U+02B0 |
ধ্বনিবিজ্ঞানে প্রাণ বলতে স্পর্শ বা উষ্ম ব্যঞ্জনধ্বনির উচ্চারণের সাথে নির্গত শ্বাসবায়ুকে বোঝায়। বাংলাসহ বেশিরভাগ ইন্দো-আর্য ভাষা এবং বেশিরভাগ পূর্ব এশীয় ভাষায় মহাপ্রাণ ও অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনির মধ্যে পার্থক্য বোঝা যায় (যেমন "তালা" ও "থালা")। অন্যদিকে ইংরেজি ভাষায় মহাপ্রাণ ও অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনির মধ্যে পার্থক্য বোঝা যায় না এবং অবস্থানভেদে এর ব্যবহার লক্ষ করা যায়।
উপস্থাপনা[সম্পাদনা]
আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালায় অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনির প্রতীকের ডানদিকে অঘোষ স্বররন্ধ্রীয় উষ্মধ্বনির প্রতীকের ⟨h⟩ ঊর্ধ্বলিপি রূপ ⟨◌ʰ⟩ যোগ করে মহাপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনি লেখা হয়। যেমন, ⟨p⟩ হচ্ছে অল্পপ্রাণ অঘোষ উভয়ৌষ্ঠ্য স্পর্শধ্বনি এবং তার ডানদিকে ⟨◌ʰ⟩ যোগ করলে মহাপ্রাণ অঘোষ উভয়ৌষ্ঠ্য স্পর্শধ্বনি ⟨pʰ⟩ বোঝাবে।
অল্পপ্রাণ বা টেনুইস ব্যঞ্জনধ্বনিকে সমান চিহ্নের ঊর্ধ্বলিপি রূপ ⟨◌˭⟩ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়, যেমন ⟨p˭⟩। অবশ্য অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনিকে সাধারণত আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হয় না, যেমন ⟨p⟩।
ধ্বনিবিজ্ঞান[সম্পাদনা]
ধ্বনিতত্ত্ব[সম্পাদনা]
বিভিন্ন ভাষায় মহাপ্রাণ ও অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনির বিভিন্ন গুরুত্ব রয়েছে। অনেক ভাষায় মহাপ্রাণ ও অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনির মধ্যে পার্থক্য বোঝা যায়, আবার অনেক ভাষায় তা বোঝা যায় না।
বাংলা ও অন্যান্য ভারতীয় ভাষা[সম্পাদনা]
বাংলাসহ বেশিরভাগ ইন্দো-আর্য ভাষায় অঘোষ অল্পপ্রাণ, অঘোষ মহাপ্রাণ, ঘোষ অল্পপ্রাণ ও ঘোষ মহাপ্রাণ—এই চারপ্রকার স্পর্শ ব্যঞ্জনধ্বনি রয়েছে, যেমন /p pʰ b bʱ/ (বাংলায় প, ফ, ব, ভ)।