মহাপ্রাণ ও অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মহাপ্রাণ
◌ʰ
এনকোডিং
এন্টিটি (দশমিক)ʰ
ইউনিকোড (ষটদশমিক)U+02B0

ধ্বনিবিজ্ঞানে প্রাণ বলতে স্পর্শ বা উষ্ম ব্যঞ্জনধ্বনির উচ্চারণের সাথে নির্গত শ্বাসবায়ুকে বোঝায়। বাংলাসহ বেশিরভাগ ইন্দো-আর্য ভাষা এবং বেশিরভাগ পূর্ব এশীয় ভাষায় মহাপ্রাণ ও অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনির মধ্যে পার্থক্য বোঝা যায় (যেমন "তালা" ও "থালা")। অন্যদিকে ইংরেজি ভাষায় মহাপ্রাণ ও অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনির মধ্যে পার্থক্য বোঝা যায় না এবং অবস্থানভেদে এর ব্যবহার লক্ষ করা যায়।

উপস্থাপনা[সম্পাদনা]

আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালায় অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনির প্রতীকের ডানদিকে অঘোষ স্বররন্ধ্রীয় উষ্মধ্বনির প্রতীকের ⟨hঊর্ধ্বলিপি রূপ ⟨◌ʰ⟩ যোগ করে মহাপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনি লেখা হয়। যেমন, ⟨p⟩ হচ্ছে অল্পপ্রাণ অঘোষ উভয়ৌষ্ঠ্য স্পর্শধ্বনি এবং তার ডানদিকে ⟨◌ʰ⟩ যোগ করলে মহাপ্রাণ অঘোষ উভয়ৌষ্ঠ্য স্পর্শধ্বনি ⟨⟩ বোঝাবে।

অল্পপ্রাণ বা টেনুইস ব্যঞ্জনধ্বনিকে সমান চিহ্নের ঊর্ধ্বলিপি রূপ ⟨◌˭⟩ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়, যেমন ⟨⟩। অবশ্য অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনিকে সাধারণত আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হয় না, যেমন ⟨p⟩।

ধ্বনিবিজ্ঞান[সম্পাদনা]

ধ্বনিতত্ত্ব[সম্পাদনা]

বিভিন্ন ভাষায় মহাপ্রাণ ও অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনির বিভিন্ন গুরুত্ব রয়েছে। অনেক ভাষায় মহাপ্রাণ ও অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনির মধ্যে পার্থক্য বোঝা যায়, আবার অনেক ভাষায় তা বোঝা যায় না।

বাংলা ও অন্যান্য ভারতীয় ভাষা[সম্পাদনা]

বাংলাসহ বেশিরভাগ ইন্দো-আর্য ভাষায় অঘোষ অল্পপ্রাণ, অঘোষ মহাপ্রাণ, ঘোষ অল্পপ্রাণ ও ঘোষ মহাপ্রাণ—এই চারপ্রকার স্পর্শ ব্যঞ্জনধ্বনি রয়েছে, যেমন /p b bʱ/ (বাংলায় প, ফ, ব, ভ)।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]