ভেরিয়ার এলউইন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ভেরিয়ার এলউইন
ভেরিয়ার এলউইন
জন্ম(১৯০২-০৮-২৯)২৯ আগস্ট ১৯০২
মৃত্যু২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৪(1964-02-22) (বয়স ৬১)
জাতীয়তাব্রিটিশ (১৯০২ - ১৯৫৪)
ভারতীয় (১৯৫৪ -১৯৬৪)
মাতৃশিক্ষায়তনমার্টন কলেজ, অক্সফোর্ড
পেশানৃতত্ত্ববিদ, নৃতাত্ত্বিক
পরিচিতির কারণভারতের আদিবাসী জনগণ অধ্যয়ন
উল্লেখযোগ্য কর্ম
দ্য বাইগা (১৯৩৯)
দ্য মুরিয়া অ্যান্ড দেয়ার ঘোটুল (১৯৪৭)
পুরস্কারপদ্মভূষণ (১৯৬১)

হ্যারি ভেরিয়ার হলম্যান এলউইন সংক্ষেপে ভেরিয়ার এলউইন (২৯ আগস্ট ১৯০২ – ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৪)[১] ছিলেন একজন ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত ভারতীয় নৃতত্ত্ববিদ, নৃতাত্ত্বিক এবং  উপজাতীয় কর্মী। তিনি খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারক হিসাবে ভারতে আসেন, কিন্তু যাজকের কর্ম পরিত্যাগ করে ভারতীয় জাতীয়তাবাদে যুক্ত হয়ে যান। মহাত্মা গান্ধী এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে কাজে প্রথমে মহাত্মা গান্ধীর সাবরমতী আশ্রমে থাকতে শুরু করেন এবং পরে ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত হন।[২] ভারতের আদিবাসী তথা উপজাতি সেইসব জনগোষ্ঠী যারা সাধারণত লোকালয় হতে দূরে কোন বিচ্ছিন্ন,দুর্গম অঞ্চল যেমন পার্বত্য বা অরণ্যভূমিতে বসবাস করেন। সেই সব আদিমবাসী সমাজ মূলত আদিম সমাজ, সরল সমাজ বা সাক্ষরতাহীন সমাজ। তাদের রূপান্তর এলউইনের মতে তাড়াহুড়োর প্রক্রিয়া নয়। ভেরিয়ার এলউইন মধ্য ভারতের উড়িষ্যা এবং মধ্য প্রদেশের 'বাইগা' এবং 'গোণ্ড' জাতির জনগোষ্ঠীর জীবনধারা, সংস্কৃতি নিয়ে প্রথম কাজ করেন। যে সম্প্রদায়ের অধ্যয়নে যুক্ত হন তাদের এক তের বৎসর বয়সি এক কন্যাকে বিবাহ পর্যন্ত করেন। পরবর্তীতে তিনি উত্তর-পূর্ব ভারতের আদিবাসীদের উপর কাজ করতে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত সংস্থার (NEFA) হয়ে মেঘালয়ের পার্বত্য রাজধানী শিলং -এ বসতি স্থাপন করেন ।[৩]

সময়ের সঙ্গে তিনি ভারতীয় উপজাতির জীবনধারা এবং সংস্কৃতি, বিশেষ করে গোণ্ডি জনগণের একজন কর্তৃপক্ষে পরিণত হন।[২] তিনি ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে ভারতের নৃতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ডেপুটি ডিরেক্টর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন[৪] ভারতের স্বাধীনতার পর তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন।[৩] প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু তাকে উত্তর-পূর্ব ভারতের উপজাতি বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত করেন এবং পরে তিনি নেফা (অর্থাৎ NEFA) বর্তমানে অরুণাচল প্রদেশ) সরকারের নৃতাত্ত্বিক উপদেষ্টা পদে ছিলেন ।[৫] উত্তর-পূর্বের জনজাতির বিষয়ে তার দর্শন আধুনিক বিশ্বের থেকে আংশিকভাবে পৃথক ছিল।[৬]

ভারত সরকার তাকে ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞান ও প্রকৌশল ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মভূষণে সম্মানিত করে।[৭] ইংরাজী ভাষায় রচিত তার আত্মজীবনী-  দ্য ট্রাইবাল ওয়ার্ল্ড অফ ভেরিয়ার এলউইন জন্য ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে ভারতের জাতীয় প্রকাশনা সংস্থা - সাহিত্য অকাদেমি সাহিত্য অকাডেমি পুরস্কার প্রদান করে।[৮] বইটি পরে "ভেরিয়ার এল্যুইন-এর আদিবাসী জগৎ" শিরোনামে বাংলা ভাষায় অনূদিত হয়ে প্রকাশিত হয়।

জন্ম ও শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

হ্যারি ভেরিয়ার হলম্যান এলউইনের জন্ম ১৯০২ খ্রিস্টাব্দের ২৯ আগস্টের খুব ভোরে ইংল্যান্ডের কেন্ট ডোভারের অত্যন্ত ধার্মিক এক এভাঞ্জেলিক পরিবারে। পিতা এডমন্ড হেনরি এলউইন আংলিক্যান বিশপ সিয়েরা লিওনের দায়িত্বে ছিলেন। ব্রিস্টলে বিশপের পদে উন্নীত হয়েছিলেন, কিন্তু ইংল্যান্ডে ফিরে কার্যভার গ্রহণের পূর্বে মাত্র আটত্রিশ বৎসর বয়সে পীতরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তখন ভেরিয়ারের বয়স ছিল মাত্র সাত বৎসর। মাতা ছিলেন হলম্যান পরিবার ভুক্ত পিতামাতার তিন সন্তানের মধ্যে তিনিই ছিলেন জ্যেষ্ঠ।[৯] ভেরিয়ার প্রথমে অক্সফোর্ডের ডিন ক্লোজ স্কুলে এবং পরে মের্টন কলেজে থেকে ইংরাজী ভাষা ও সাহিত্যে প্রথম শ্রেণীতে বি.এ, এম.এ এবং ডিএসসি ডিগ্রি লাভ করেন।[১০] তিনি ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে অক্সফোর্ড ইন্টার-কলেজিয়েট খ্রিস্টান ইউনিয়নের (ওআইসিসিইউ) সভাপতিও ছিলেন। অক্সফোর্ডে তার শিক্ষাজীবন ছিল অত্যন্ত উজ্জ্বল। তিনি ইংরাজী ও থিওলজি দুটি বিষয়েই প্রথম হয়েছিলেন। এরপর তিনি চার্চ অফ ইংল্যান্ডের যাজক নিযুক্ত হন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে, তিনি অক্সফোর্ডের উইক্লিফ হলের ভাইস-প্রিন্সিপাল এবং পরের বছর অক্সফোর্ডের মেরটন কলেজে প্রভাষক নিযুক্ত হন। ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে  ধর্মপ্রচারক হিসেবে ভারতে আসেন। তিনি প্রথমে পুনেতে খ্রিস্টান সার্ভিস সোসাইটিতে যোগ দেন। প্রথমবার তিনি মধ্য ভারতের বিভিন্ন স্থান- বর্তমানের  মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং পূর্ব মহারাষ্ট্রের কিছু অংশ পরিদর্শন করেন এবং তার সঙ্গে ছিলেন পুনের শামরাও হিভাল। কিন্তু শুরু থেকেই তার জীবন মহাত্মা গান্ধী এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দর্শনে প্রভাবিত হয়েছিল। তিনি ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের কর্মকাণ্ডে নিজেকে যুক্ত করেন। মহাত্মা গান্ধীর পুত্রসম স্নেহ লাভ করেন। ভারতীয় জাতীয়তাবাদের অনুসারী হয়ে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সমর্থক হন। অনগ্রসর উপজাতি সমূহের জীবনধারা ও সংস্কৃতি অধ্যয়নে মান্ডলা জেলার জঙ্গলময় প্রত্যন্ত গ্রামে বিশ বৎসর গোণ্ড উপজাতির মাঝে অতিবাহিত করেন। ইংল্যান্ডের ধর্মযাজকের গৃহে জাত অক্সফোর্ড প্রশিক্ষিত ধর্মতত্ত্ববিদ ভারতীয় নৃতত্ত্ববিদের গবেষণায় উপজাতিদের মাঝে এক বিরল এবং নতুন প্রজাতির মানুষ হয়ে পরিশ্রম, ভোগান্তি, দারিদ্র্যের মধ্যে পূর্ণ নিমজ্জিত হন। তিনি বস্তারে আদিবাসীদের সঙ্গে বসবাস কালে সঙ্গী হিসাবে পেয়েছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাঙালি ফটো সাংবাদিক সুনীল জানাকে। যৌথপ্রয়াসে তুলেছিলেন আদিবাসীগোষ্ঠীর সুন্দর সুন্দর ছবি।[১১] যার ফলে ভারতের আদিবসী তথা উপজাতিদের উপর ভেরিয়ার এলউইনের জীবনভর পরিশ্রমের নৃতাত্ত্বিক গবেষণা প্রকৃত পক্ষে বিরল এবং প্রামান্য নথি হিসাবে বিবেচিত হয়। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি প্রথম বিদেশী যিনি ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। সেবছরেই তিনি ভারত সরকারের নৃতাত্ত্বিক উপদেষ্টা নিযুক্ত হন এবং সস্ত্রীক শিলংয়ে আসেন।

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে তিনি যেমন সক্রিয় ছিলেন, স্বাধীনোত্তর সময়ে পণ্ডিত নেহরুর ইচ্ছায় উত্তর-পূর্ব সীমান্ত অঞ্চলে বসবাসকারী উপজাতি জনগণের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার এজেন্সির মাধ্যমে সচেষ্ট ছিলেন। প্রসঙ্গতঃ তিনি নেহরুর সঙ্গে এক চুক্তিতে নাগাল্যান্ডে সাধুদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছিলেন।[১২] তিনি ভারতীয় জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমির ফেলো নির্বাচিত হয়েছিলেন।[১৩]

সেখানে আদিবাসীদের জন্য যে কাজে তিনি লিপ্ত হন সে কাজকে তিনি "উপজাতিদের জন্য নেহরুর গসপেল" আখ্যা দেন। তিনি ভারতের বিভিন্ন উপজাতি গোষ্ঠী উপর অসংখ্য কাজ করেছেন তন্মধ্যে মারিয়া এবং বাইগাদের বিষয়গুলি অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

ভারতপ্রেমিক হিসাবে ভেরিয়ার এলউইন অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তিত্ব ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে অগণিত পদক ও পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মভূষণ প্রদান করেন।

ঘোটুলের সম্পর্কে[সম্পাদনা]

ঘোটুলে বসবাসকারী উপজাতি যুবক-যুবতীর উদ্দেশ্যে ভেরিয়ার এলউইন  লিখেছেন- "যুবকদের প্রতি তার বার্তা হল যে পার্থিব লাভের চেয়ে স্বাধীনতা ও সুখের মূল্য অনেক বেশি -  বন্ধুত্ব ও সহানুভূতি, আতিথেয়তা ও একতা প্রথম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং সর্বোপরি মানুষের ভালোবাসা এবং এর বাহ্যিক প্রকাশ সুন্দর, পরিচ্ছন্ন ও মূল্যবান এবং একান্তই ভারতীয়। "[১৪]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

ভেরিয়ার এলউইন ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের ৪ এপ্রিল মধ্যপ্রদেশের ডিন্ডোরি জেলার রায়থওয়ার (রাইথওয়ার) গোণ্ড জাতির এক আদিবাসী স্কুলছাত্রী কোসি'কে বিবাহ করেন। ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে তাদের এক পুত্র সন্তান, জওহরলাল (কুমার) জন্মায়। ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে তাদের কলকাতা উচ্চ আদালতে প্রাক্তন  বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। ভেরিয়ার এলউইন আত্মজীবনীতে লিখেছেন, "আমি এখন আমার জীবনের এই সময়ের  ব্যথা এবং ব্যর্থতার গভীর অনুভূতি ছাড়া ফিরে তাকাতে পারি না"[১৫] ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে তাদের সন্তান 'কুমার' মারা যাওয়ার পর কোসিবাঈ  রায়থওয়ারে একটি কুঁড়েঘর বাস করতেন। কোসিবাঈ-এর দ্বিতীয় পুত্র বিজয়ও অল্প বয়সে মারা যায়।[১৬] পরে এলউইন মধ্যপ্রদেশের পটানগড় গ্রামের গোণ্ড উপজাতির নিরক্ষর মহিলা লীলাকে বিবাহ করেন। ১৯৫০ -এর দশকের গোড়ার দিকে তিনি সস্ত্রীক শিলং-এ যান।  তাদের তিন পুত্রসন্তান- বসন্ত, নকুল ও অশোক।[১৭] ভেরিয়ার এলউইন ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের ২২ ফেব্রুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দিল্লিতে মারা যান।[১৮][১৯] বৌদ্ধ রীতি অনুসারে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয় এবং চিতাভস্ম অরুণাচল প্রদেশের সিয়াং নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়। তার বিধবা স্ত্রী লীলা তাদের জ্যেষ্ঠ সন্তান বসন্তের মৃত্যুর পর ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের ১৪ জুলাই ৮০ বৎসর বয়সে মুম্বাইতে মারা যান।[২০] ভেরিয়ার এলউইনের সঙ্গে লীলার বিবাহ গোণ্ড উপজাতির কিংবদন্তি শিল্পী জনগড় সিং শ্যামের কারণেই ঘটেছিল।

রচিত গ্রন্থসমূহ[সম্পাদনা]

  • খ্রিসচিয়ান ধ্যান - সোসাইটি ফর প্রমোটিং খ্রিসচিয়ান নলেজ (১৯৩০);
  • দ্য ডন অফ ইন্ডিয়ান ফ্রিডম (১৯৩১) - জি অ্যালেন অ্যান্ড আনউইন - জ্যাক কপলে উইনস্লো’র সঙ্গে যৌথভাবে;
  • গান্ধী : দ্য ডন অফ ইন্ডিয়ান ফ্রিডম (১৯৩৪) - ফ্লেমিং এইচ রেভেল কোম্পানী, জ্যাক কপলে উইনস্লো’র সঙ্গে যৌথভাবে;
  • ট্রুথ অ্যাবাউট ইন্ডিয়া: ক্যান উই গেট ইট? (১৯৩২) - জি অ্যালেন অ্যান্ড আনউইন
  • মহাত্মা গান্ধী: স্কেচেস্ ইন পেন, পেনসিল অ্যান্ড ব্রাশ (১৯৩২) গোল্ডেন ভিস্টা প্রেস- কানু দেশাই-এর সঙ্গে যৌথভাবে;
  • সঙস্ অফ দ্য ফরেস্ট: দ্য ফোক পোয়েট্রি অফ দ্য গোণ্ডস্ (১৯৩৫) জি অ্যালেন অ্যান্ড আনউইন , লন্ডন, শ্যামরাও হিভালে
  • লিভস্ ফ্রম দি জাঙ্গল: লাইফ ইন এ গোণ্ড ভিলেজ: (১৯৩৬) জন ম্যুরে পাবলিশার্স লিমিটেড;
  • দ্য আগারিয়া (১৯৪২) এইচ মিলফোর্ড,  অক্সফোর্ড ইউনিভারসিটি প্রেস;
  • ‘দ্য অ্যাবরিজিনালস' (১৯৪৪) অক্সফোর্ড ইউনিভারসিটি প্রেস; বাংলা ভাষান্তর ও সম্পাদনা করেছেন ঋত্বিক মল্লিক ভেরিয়ার এলুইন -এর আদিবাসী নামে।[২১]
  • ফোক-সঙস্ অফ দ্য মাইকাল হিলস্ (১৯৪৪) এইচ মিলফোর্ড, অক্সফোর্ড ইউনিভারসিটি প্রেস - শ্যামরাও হিভালে’র সঙ্গে যৌথভাবে;
  • ফেক-সঙস্ অফ ছত্তিশগড় (১৯৪৬)  অক্সফোর্ড ইউনিভারসিটি প্রেস;
  • দ্য মুরিয়া অ্যান্ড দেয়ার ঘোটুল (১৯৪৭) অক্সফোর্ড ইউনিভারসিটি প্রেসআইএসবিএন ৯৭৮৯৩৮৭৫৮৭০৪৫
  • মিথস্ অফ মিডল ইন্ডিয়া (১৯৪৯) অক্সফোর্ড ইউনিভারসিটি প্রেস;
  • বোন্দো হাইল্যান্ডার (১৯৫০) অক্সফোর্ড ইউনিভারসিটি প্রেস;
  • মারিয়া মার্ডার অ্যান্ড সুইসাইড (১৯৫০)অক্সফোর্ড ইউনিভারসিটি প্রেস;
  • দ্য ট্রাইবাল আর্ট অফ মিডল ইন্ডিয়া : এ পারসোনাল রেকর্ড (১৯৫১) অক্সফোর্ড ইউনিভারসিটি প্রেস ভারতীয় শাখা;
  • দ্য রিলিজিয়ন অফ অ্যান ইন্ডিয়ান ট্রাইব (১৯৫৫) অক্সফোর্ড ইউনিভারসিটি প্রেস;
  • মিথস্ অফ দ্য নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ার অফ ইন্ডিয়া প্রথম খণ্ড (১৯৫৮) নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ার এজেন্সী;
  • ইন্ডিযাজ নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ার ইন দ্য নাইন্টিন্থ সেন্চুরী, (১৯৫৯) অক্সফোর্ড ইউনিভারসিটি প্রেস;
  • দ্য আর্ট অফ দি নর্থ-ইস্ট ফ্রনন্টিয়ার অফ ইন্ডিয়া প্রথম খণ্ড, (১৯৫৯) নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ার এজেন্সী
  • দ্য ফিসার-গার্ল অ্যান্ড ক্র্যাব - এ ফিলোজফি ফর নেফা (১৯৬০)  নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ার এজেন্সীর পক্ষে এস রায়
  • এ নিউ ডিল ফর ট্রাইবাল ইন্ডিয়া অ্যাব্রিজমেন্ট অফ দ্য টেন্থ রিপোর্ট অফ দ্য কমিশনার ফর শিডিউল্ড কাস্টস্ অ্যান্ড শিডিউল্ড ট্রাইবস্ ফর দ্য ইয়ার ১৯৬০-৬১ (১৯৬৩) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
  • হোয়েন দ্য ওয়ার্ল্ড ওয়াজ ইয়াং: ফোক-টেলস্ ফ্রম ইন্ডিয়াজ হিলস্ অ্যান্ড ফরেস্টস্ (১৯৬১) প্রকাশনা বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় , ভারত সরকার
  • দ্য ট্রাইবাল ওয়ার্ল্ড অফ ভেরিয়ার এলউইন: অ্যান অটোবায়োগ্রাফি (১৯৬৪)   অক্সফোর্ড ইউনিভারসিটি প্রেস আইএসবিএন ৯৭৮০১৯৫৬২৩১৪৭
  • রিলিজিয়াস অ্যান্ড কালচারাল এসপেক্টস্ অফ খাদি (১৯৬৪) সর্বোদয় প্রচারালয়
  • ডেমোক্রাসি ইন নেফা, (১৯৬৫) নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ার এজেন্সি;
  • ফোক পেইন্টিংস্ অফ ইন্ডিয়া (১৯৬৭) ইন্টারন্যাশনাল কালচারাল সেন্টার;
  • দ্য কিংডম অফ দি ইয়ং (১৯৬৮) অক্সফোর্ড ইউনিভারসিটি প্রেস
  • দ্য নাগাস্ ইন দ্য নাইটিন্থ সেনচুরি (১৯৬৯) অক্সফোর্ড ইউনিভারসিটি প্রেস
  • এ নিউ অফ ট্রাইবাল ফিকশন (১৯৭০) নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ার এজেন্সি
  • ফোক-টেলস্ অফ মহাকোশল (১৯৮০) অর্ণ প্রেস
  • দ্য বাইগা (১৯৮৬) জ্ঞান পাবলিশিং হাউস আইএসবিএন ৯৭৮৮১২১২০০৫৪৭
  • ভেরিয়ার এলউইন, ফিলানথ্রোপোলজিস্ট: সিলেক্টেড রাইটিংস্ (২০০২) নরি রুস্তমজীর সম্পাদনা নর্থ-ইস্টার্ন হিল ইউনিভার্সিটি পাবলিকশনস্ অক্সফোর্ড ইউনিভারসিটি প্রেস, আইএসবিএন ০-১৯-৫৬৫৮০১-৯

আরও পড়া[সম্পাদনা]

  • স্কলার জিপসি: ভেরিয়ার এলউইন, শামরাও হিভালের একটি গবেষণা । এন এম ত্রিপাঠি, 1946।
  • নৃতত্ত্ব এবং প্রত্নতত্ত্ব: ভেরিয়ার এলউইনের স্মরণে প্রবন্ধ, 1902-64 । এড. মহেশ চন্দ্র প্রধান। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, 1969।
  • ভেরিয়ার এলউইন, লোকসাহিত্যিক, ভাবগ্রহী মিশ্রের একটি মূল্যায়নমূলক অধ্যয়ন । ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়, 1969।
  • ভেরিয়ার এলউইন: একজন অগ্রগামী ভারতীয় নৃতত্ত্ববিদ । এশিয়া পাব। হাউস, 1973।আইএসবিএন ০-২১০-৪০৫৫৬-২আইএসবিএন 0-210-40556-2
  • ভেরিয়ার এলউইন এবং ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত, নারী রুস্তমজি দ্বারা। নর্থ-ইস্টার্ন হিল ইউনিভার্সিটি পাবলিকেশন্স, 1988।
  • দীন-সেবক: উপজাতীয় ভারতে ভেরিয়ার এলউইনের সেবার জীবন । ড্যানিয়েল ও'কনর, ক্রিশ্চিয়ান ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ রিলিজিয়ন অ্যান্ড সোসাইটি, ব্যাঙ্গালোর, 1993।আইএসবিএন ৮১-৭২১৪-০৬৯-Xআইএসবিএন 81-7214-069-X
  • সভ্যতা রক্ষাকারী — ভেরিয়ার এলউইন, তার আদিবাসী এবং ভারত, রামচন্দ্র গুহ। ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো প্রেস; OUP 1999।
  • পরিবেশগত রোমান্টিসিজমের বিরুদ্ধে: অর্চনা প্রসাদ দ্বারা ভেরিয়ার এলউইন এবং আধুনিক বিরোধী উপজাতীয় পরিচয় তৈরি করা। থ্রি এসেস কালেকটিভ, 2003।
  • ভেরিয়ার এলউইনকে তার পরিবার এবং বন্ধুরা মনে রেখেছেন, বি. ফ্রান্সিস কুলিরানি, বিভাস ধর। ভারতের নৃতাত্ত্বিক জরিপ, 2003।আইএসবিএন ৮১-৮৫৫৭৯-৮০-৬আইএসবিএন 81-85579-80-6
  • এথনোগ্রাফি এবং ফিকশনের মধ্যে: ভেরিয়ার এলউইন এবং ভারতে উপজাতি প্রশ্ন । টাঙ্ক বাহাদুর সুব্বা, সুজিত সোম, কেসি বড়াল (সম্পাদনা। ) নতুন দিল্লি: ওরিয়েন্ট লংম্যান, 2005।আইএসবিএন ৮১-২৫০-২৮১২-৯আইএসবিএন 81-250-2812-9
  • রুসেলো, রাফায়েল (2019)। " ভেরিয়ার এলউইন, ডু মিশননেয়ার গান্ধিয়েন à l'ethnopoète philanthropologue (1928-1939) », Gaetano Ciarcia এবং আন্দ্রে মেরি (সম্পাদনা। ), নৃতাত্ত্বিক পরিস্থিতি মিশননায়ার, Les Carnets de Bérose n° 12, Paris, BEROSE - নৃবিজ্ঞানের ইতিহাসের আন্তর্জাতিক বিশ্বকোষ, পিপি। 250-278।

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

  • ক্রিস্টোফ ফন ফুরার-হাইমেনডর্ফ

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Levens, R.G.C., সম্পাদক (১৯৬৪)। Merton College Register 1900-1964। Oxford: Basil Blackwell। পৃষ্ঠা 143। 
  2. World of Verrier Elwin[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] by K. L. Kamat,8 August 2000.
  3. Linebaugh, p. 162
  4. Anthropological Survey of India ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ মার্চ ২০১০ তারিখে Anthropological Survey of India, Kolkata, website.
  5. "British scholar's Indian widow in penury"BBC News। ৪ মে ২০০৬। 
  6. Das, Pushpita (২০০৮)। "Management of India-China Border Area: A Case Study of Arunachal Pradesh"Indian Foreign Affairs Journal3 (3): 100। আইএসএসএন 0973-3248জেস্টোর 45340743 
  7. "Padma Awards" (পিডিএফ)। Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১৫। ১৫ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২১, ২০১৫ 
  8. "Sahitya Akademi Awards 1955–2007"Sahitya Akademi Award Official listing। ১১ জুন ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  9. দেবী, মহাশ্বেতা; সাহা, পৃথ্বীশ। ভেরিয়ার এল্যুইন-এর আদিবাসী জগৎ। সাহিত্য অকাদেমি, নতুন দিল্লি। 
  10. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; MCreg নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  11. অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, দ্বিতীয়  খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, জানুয়ারি ২০১৯ পৃষ্ঠা ৪৪৬, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-২৯২-৬
  12. "Only Nagaland safe from sadhus in India"INDIAN CULTURE (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২৪ 
  13. Science Academy, Indian National (১৯৯৫)। Biographical memoirs of fellows of the Indian National Science Academy, Volume 20। পৃষ্ঠা 101। 
  14. "Cgnet.in - Ghotul : 100 years behind or 100 years ahead ?"। ৩০ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ 
  15. The Tribal World of Verrier Elwin. An autobiography, Oxford University Press, Bombay, 1964, p. 138.আইএসবিএন ৯৭৮০১৯৫৬২৩১৪৭
  16. "British scholar's Indian widow in penury"BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৬-০৫-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৯ 
  17. The Tribal World of Verrier Elwin: an autobiography
  18. [ How a tribal girl's life became a book on sex] "Archived copy"। Archived from the original on ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৩  Indian Express, 5 March 1999.
  19. "Elwin and Kosi were incompatible"The Indian Express। ১০ মার্চ ১৯৯৯। 
  20. "Lila,wife of anthropologist Verrier Elwin passes away"। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-৩০ 
  21. "ভেরিয়ার এলুইন -এর আদিবাসী -ঋত্বিক মল্লিক"। ৩ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০২২