ব্যবহারকারী:Robin Saha/খেলাঘর/৫

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

হিন্দুধর্ম সম্পর্কিত[সম্পাদনা]

হিন্দু ধর্মানুসারীদের মাঝে আরাধ্য হচ্ছেন হিন্দু দেবদেবী। দেবতা উপাসনার মাঝে হিন্দুধর্মে বহুত্ববাদের প্রতিফলন হয়। বহুদেবতার উপাসনা করেও একই সঙ্গে সেইসব দেবতাকে অভিন্ন হিসেবে বিবেচনা করা হিন্দুধর্মে একত্ববাদের মূল দর্শন। হিন্দু দেব-দেবীগণ বৈদিক যুগ (খ্রীষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতক) ও মধ্যযুগে (খ্রীষ্টীয় প্রথম শতক) নেপাল ভারত ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বহু বিবর্তনের মধ্য দিয়ে বর্তমান অবস্থায় পৌঁছেছে।[১][২]

  1. অগ্নি পুরাণ বা আগ্নেয় পুরাণ: সঠিক রচনাকাল জানা যায় না। এটি একটি প্রাচীন পুরাণ এবং একে "পৌরাণিক ও সাহিত্যবিদ্যার কোষগ্রন্থ" বলা হয়। কিংবদন্তি অনুসারে, ঋষি বশিষ্ঠের অনুরোধে অগ্নি এই পুরাণ রচনা করেছিলেন। এই পুরাণে বিষ্ণুর বিভিন্ন অবতারের বর্ণনা, বংশানুচরিত, সৃষ্টিতত্ত্ব, ভূগোল, ছন্দ, অলংকার, ব্যাকরণ, স্মৃতিশাস্ত্র, আয়ুর্বেদ, রাজনীতি, অশ্বচিকিৎসা ইত্যাদির বর্ণনা আছে। এটি বৈষ্ণব পুরাণ; তবে এতে তান্ত্রিক উপাসনা পদ্ধতি, লিঙ্গপূজা, দুর্গাপূজা ইত্যাদি শাক্তশৈব বিষয়বস্তুও সংযোজিত হয়েছে।[৩]
  2. ভাগবত পুরাণ – সর্বাধিক প্রসিদ্ধ ও জনপ্রিয় পুরাণ[৪]। এই পুরাণের মূল উপজীব্য বিষ্ণুর দশাবতারের কাহিনি। দশম স্কন্দটি গ্রন্থের বৃহত্তম অধ্যায়; এই অধ্যায়ে কৃষ্ণের লীলা বর্ণিত হয়েছে। পরবর্তীকালে একাধিক ভক্তি আন্দোলনের মুখ্য বিষয়বস্তু কৃষ্ণের বাল্যলীলা এই পুরাণেই লিপিবদ্ধ।[৫]
  3. ব্রহ্মপুরাণ (রচনাকাল আনুমানিক খ্রিস্টীয় অষ্টম-দ্বাদশ শতাব্দী)। কিংবদন্তি অনুসারে, সূত লোমহর্ষণ নৈমিষারণ্যে উপস্থিত ঋষিদের কাছে এই পুরাণ প্রথম বর্ণনা করেন। এই পুরাণে ব্রহ্মাণ্ডের উৎপত্তি, দেব, মনু চন্দ্র ও সূর্য বংশের বিবরণ, বিশ্বের ভূগোল, স্বর্গ-নরক, তীর্থের মাহাত্ম্য, সূর্য ও বিষ্ণু উপসনার পদ্ধতি, আদিত্যগণের বিবরণ, বিষ্ণু-সংক্রান্ত পৌরাণিক গল্প, শিব-পার্বতীর গল্প, কৃষ্ণের জীবনী, বর্ণাশ্রম ধর্ম, নীতিধর্ম ইত্যাদি বর্ণনা করা হয়েছে। এই পুরাণের প্রক্ষিপ্ত অংশগুলো অন্যান্য পুরাণ থেকে গৃহীত এবং কয়েকটি প্রক্ষিপ্ত তীর্থমাহাত্ম্যের বর্ণনা বৈষ্ণব, শাক্ত, শৈবসৌর সম্প্রদায়ের লেখকদের রচনা।[৬]
  4. হরিবংশ পুরাণ (১৬,০০০ শ্লোক; ইতিহাস নামে সমধিক আখ্যাত)

112356[সম্পাদনা]

https://sa.wikisource.org/wiki/%E0%A4%AE%E0%A5%81%E0%A4%96%E0%A5%8D%E0%A4%AF%E0%A4%AA%E0%A5%83%E0%A4%B7%E0%A5%8D%E0%A4%A0%E0%A4%AE%E0%A5%8D

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Nicholas Gier (2000), Spiritual Titanism: Indian, Chinese, and Western Perspectives, State University of New York Press, আইএসবিএন ৯৭৮-০৭৯১৪৪৫২৮০, pages 59-76
  2. Jeaneane D Fowler (2012), The Bhagavad Gita, Sussex Academic Press, আইএসবিএন ৯৭৮-১৮৪৫১৯৩৪৬১, pages 253-262
  3. সংস্কৃত সাহিত্যের ইতিহাস, ধীরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুস্তক পর্ষৎ, কলকাতা, ২০০৯, পৃ. ১১০
  4. A Sanskrit-English Dictionary. Sir Monier Monier-Williams. Oxford: Oxford University Press, 1899. Page 752, column 3, under the entry Bhagavata.
  5. Viraha-Bhakti - The Early History of Krsna Devotion in South India - Friedhelm Hardy. আইএসবিএন ০-১৯-৫৬৪৯১৬-৮
  6. সংস্কৃত সাহিত্যের ইতিহাস, ধীরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুস্তক পর্ষৎ, কলকাতা, ২০০৯, পৃ. ১০৪-০৫