বীণা (অভিনেত্রী)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বীণা
জন্ম
তাজৌর সুলতানা

(১৯২৬-০৭-০৪)৪ জুলাই ১৯২৬
মৃত্যু১৪ নভেম্বর ২০০৪(2004-11-14) (বয়স ৭৮)
জাতীয়তাভারতীয়
পেশাঅভিনয়শিল্পী
কর্মজীবন১৯৩৯ – ১৯৮৩

বীণা (৪ঠা জুলাই ১৯২৬ – ১৪ই নভেম্বর ২০০৪), যিনি বীণা কুমারী নামেও পরিচিত, তাঁর আসল নাম তাজৌর সুলতানা। তিনি ছিলেন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী।

প্রাথমিক জীবন এবং পটভূমি[সম্পাদনা]

১৯২৬ সালের ৪ঠা জুলাই বীণা ব্রিটিশ ভারতের বেলুচিস্তান এজেন্সিকোয়েটায় জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের সময় তাঁর নাম ছিল তাজৌর সুলতানা।[১] [২] কোন এক সময়ে, তাঁর পরিবার লাহোরে স্থানান্তরিত হয় এবং সেখানেই বসবাস করতে থাকে। [১]

তিনি ১৯৪৭ সালে জুনাগড়ে অভিনেতা-নায়ক আল নাসিরকে বিয়ে করেন এবং তাঁদের দুই সন্তান ছিল। আল নাসির ভোপালের একটি রাজপরিবারের সদস্য ছিলেন এবং ইতিমধ্যেই বিবাহিত ছিলেন, প্রথমে তাঁর বিয়ে হয়েছিল অভিনেত্রী মীনা শোরের সঙ্গে এবং তারপরে মনোরমার সঙ্গে। তাঁরা দুজনে একসঙ্গে কয়েকটি ছবিতে কাজ করলেও তাঁদের ছবিগুলো বক্স অফিসে একেবারেই জনপ্রিয় হয়নি। আল নাসির ১৯৫৭ সালে টিটেনাসের কারণে মারা যান।[১] [২]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

দেশ বিভাজনের পূর্বে বীণা চলচ্চিত্রে নায়িকা চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন। প্রায় ষোল বছর বয়সে গরিব এবং গাওয়ান্ধি (১৯৪২) ছবি দিয়ে চলচ্চিত্রে তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটে। গরিব উর্দুতে এবং গাওয়ান্ধি পাঞ্জাবিতে নির্মিত হয়েছিল। গাওয়ান্ধির পরিচালক ছিলেন মেহবুব খান[২] গরিব,ছবিতে তিনি লতার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন এবং গাওয়ান্ধিতে তিনি নায়ক শ্যামের বিপরীতে নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। তিনি দেশ বিভাজনের পূর্বে হিন্দি এবং উর্দু চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য পরিচিত হন। তাঁর অভিনয়ের প্রথম বছরগুলিতে তিনি নাজমা (১৯৪৩), ফুল (১৯৪৫) এবং হুমায়ূনের (১৯৪৫) মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ভারত বিভাজনের আগে তাঁর শেষ চলচ্চিত্র ছিল রাজপুতানি (১৯৪৬), যেখানে তিনি একটি পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তিনি ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ভারতে থাকার সিদ্ধান্ত নেন এবং ১৯৪০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে শেষের দিকে, ১৯৫০, ১৯৬০, ১৯৭০-এর দশক এবং ১৯৮০-এর দশকের শুরুতে অভিনয় করেন। তিনি হালাকু (১৯৫৬), চলতি কা নাম গাড়ি (১৯৫৮), কাগজ কে ফুল (১৯৫৯), তাজমহল (১৯৬৩), দো রাস্তে (১০৬৯) এবং পাকিজার (১৯৭২) মতো বড় প্রযোজনাগুলিতে অভিনয় করেছিলেন। রাজিয়া সুলতান (১৯৮৩) মুক্তির পর তিনি ১৯৮৩ সালে অবসর গ্রহণ করেন। এই শেষ ছবিতে তিনি সম্রাজ্ঞী শাহ তুরখানের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।[২]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

অবসর নেওয়ার ২১ বছর পর ২০০৪ সালের ১৪ই নভেম্বর বীনা দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতায় ভুগে ৭৮ বছর বয়সে বম্বেতে মারা যান। ৪১ বছরের (১৯৪২ – ১৯৮৩) কর্মজীবনে তিনি ৭০টিরও বেশি কাহিনী চিত্রে অভিনয় করেছিলেন।[২]

বছর চলচ্চিত্র চরিত্র/ভূমিকা টীকা
১৯৮৬ মজলুম
১৯৮৩ রাজিয়া সুলতান সম্রাজ্ঞী শাহ তুরখান
১৯৮১ অগ্নি পরীক্ষা করুণা চৌধুরী
খাওজা কি দিওয়ানি
১৯৮০ পায়েল কি ঝংকার
১৯৭৮ সত্যম শিবম সুন্দরম[১]
নবাব সাহিব ফরিদা
১৯৭৭ জয় বিজয় চান্দেলি
শতরঞ্জ কে খিলাড়ি (চলচ্চিত্র) রানি মা
১৯৭৪ দুখ ভঞ্জন তেরা নাম রানি শীলা
১৯৭৪ ৫ রাইফেলস মহারানি
প্রাণ যায়ে পর বচন না যায়ে রাজার মা
১৯৭৩ ঝিল কে উস পার মিসেস কুলবন্ত রাই 'রানি মা'
ছুপা রুস্তম শ্রীমতি রাজেন্দ্র জৈন
বনারসি বাবু মোহনের মা
মেরে গরিব নওয়াজ বেগম বেগ
১৯৭২ পরিচয় (১৯৭২-এর চলচ্চিত্র) সতী দেবী
পাকিজা[১][২] নবাবজান
শাহজাদা রাজলক্ষ্মী
১৯৭০ হীর রাঞ্ঝা
নানক নাম জাহাজ হ্যায়
নয়া রাস্তা রুক্মিনী
১৯৬৯ দো রাস্তে মিসেস গুপ্তা, সত্যনের মা
আনমোল মোতি
১৯৬৮ আশির্বাদ লীলা এস চৌধুরী
সাথি রজনীর মা
শ্রীমানজি
১৯৬৭ ছোটিসি মুলাকাত শংকরের স্ত্রী
নূর জাহান[১]
১৯৬৬ সান্নাটা
১৯৬৬ আলিবাবা ঔর ৪০ চোর রাজিয়া, আলি বাবার বড় বোন
১৯৬৫ সিকান্দার-ই-আজম সিকান্দারের মা
১৯৬৪ বাগী
শেহনাই
১৯৬৩ ফির ওহি দিল লায়া হুঁ যমুনা
তাজমহল (১৯৬৩-এর চলচ্চিত্র)[১][২] মালকা-ই-আলম নূরজাহান/মেহরুনিসা
১৯৫৯ ছোটি বহেন যশোদা
কাগজ কে ফুল[১] বীণা ভার্মা/বীণা সিনহা
১৯৫৮ চলতি কা নাম গাড়ি[১][২] কামিনি
মেহেন্দি
১৯৫৭ মেরা সালাম
মমতাজ মহল (১৯৪৪-এর চলচ্চিত্র)l
নয়া জামানা
১৯৫৬ হালাকু মহারানি
১৯৫২ আসমান
অন্নদাতা
১৯৫১ আফসানা[১][২] মীরা
কাশ্মীর
১৯৫০ দাস্তান[১][২] রানি
১৯৪৬ রাজপুতানি
১৯৪৫ হুমায়ুন রাজকুমারী (বীণা কুমারী হিসাবে)
ফুল[১][২]
১৯৪৩ নাজমা নাজমা
১৯৪২ গরিব লতা (বীণা কুমারী চরিত্রে)
১৯৩৯ স্বস্তিক
  1. Veena (actress) profile on Indian Cinema Heritage Foundation website Retrieved 23 January 2022
  2. Remembering the royally graceful actress Veena – Birth anniversary special ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৩ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে Cinestaan.com website, Published 4 July 2017, Retrieved 23 January 2022

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]